গত সোমবার ০৯-০৫-০ তারিখে আমাদের অফিসে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫০ বছর উদযাপন করা হলো। অফিসের অনেকেই গান, কবিতা ও আলোচনায় অংশগ্রহণ করেছে। অনুষ্ঠানে থাকা অবস্থাতেই আমার মাথাতে প্রশ্ন আসলো প্রায় কয়েক যুগ হয়ে গেল আমাদের মাঝে কোন বড় মনীষীর আগমন ঘটেনি। এর কি কারন থাকতে পারে? এর জন্য কি আমরা দায়ী কিনা? প্রোগাম শেষে আমি সবার উপস্থিতিতে প্রোগাম পরিচালক যিনি আমাদের কোম্পানীর কোম্পানী সেক্রেটারী এবং ডিরেক্টরের, তার কাছে আমার ভাবনার কথা তুলে ধরলাম। সেটা হচ্ছে আমরা যেভাবে পরিবার পরিকল্পনা প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছি একটিই ভালো তাতে হয়তো আমাদের মাঝে তাকেই আসতে দিচ্ছি না যে হয়তো আমাদের জন্য অনেক কিছু করতে পারতো যে কিনা হতে পারতো রবীন্দ্রনাথ বা নজরুল ।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতা যদি পরিবার পরিকল্পনা গ্রহণ করতো তাহলে আমরা হতো রবীন্দ্রনাতের মতো সাহিত্যিকের ছোয়া পেতাম না। কাজী নজরুল ইসলাম এর পিতা যদি জম্ম নিয়ন্ত্রনের কথা ভাবতেন তাহলে আমরা হয়তো বিদ্রোহী কবির দেখা পেতাম না। সেকস্ পিয়ারের পিতা যদি পরিবার পরিকল্পনা গ্রহন করতো তাহলে এক জন যুগ সেরা সাহিত্যিকের সাহিত্যর ছোয়া পেতাম না। এরকম আরো অনেক উদাহরন আছে বিখ্যাত মানুষদের। যদি আমরা বর্তমান সাহিতিৗক ও ব্যক্তিত্ব জাফর ইকবাল এর কথা বলতে পারি।
তারা ও অনেক বড় পরিবার। তিনি সবার ছোট পরিবারের মধ্যে।
তার বিজ্ঞানমনস্ক লেখা কি পেতাম যদি তিনি পৃথিবীতে না আসতেন।
আমার কথা শুনে অফিসের সবাই কৌতুকবোধ করেছিল যে কি আলোচনার মাঝে কি পরিবার পরিকল্পনা কিন্তু আমি সিরিয়াস ছিলাম এবং আমি জানতাম আমার ভাবনা যুক্তি হীন না।
তাহলে কি বলা যায় না যে পরিবার পরিকল্পনা গ্রগন করে হয়তো আমরা বেশী খেতে পরতে পারছি, পিতার সম্পত্তিতে হয়তো ভাগের সংখ্যা কম হচ্ছে কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে আমরা আমাদেরই মধ্যে শূন্যতা সৃষ্টি করছি।
বড় কিছু হতে হলে চাই সুন্দর পরিবেশ, স্বাধিনতা, কারো বাধা ধরায় না থাকা।
উপরোক্ত গুনীরা সেই পরিবেশ পেয়েছিলেন। যা আমরা বর্তমান প্রজম্মকে দিতে পারছি না শুধু বেশী খাবার, ফাস্টফুড, আইসক্রিম, রাত জাগার জন্য মোবাইল এবং কম্পিউটার। কেউ হয়তো এ থেকে বের হতে চায় কিন্তু তার গলা ও আমরা চেপে ধরি। এক মাত্র ছেলে বা মেয়ে চোখের সামনে থেকে দুরে রাখতে চাই না, তাদের উপর মানষিক চাপ বাবা তোমাকে ইঞ্জিনিয়ার বা ডাক্তার হতে হবে, মা তোমাকে মডেল হতে হবে।
আমরা যেটা মনে হয় ভবিষ্যত প্রজম্মকে যদি আমরা সুন্দর পরিবেশ দিতে না পারি তা এমনও হতে পারে আমাদের প্রজম্ম হবে অসুস্থ, রোগা, বিকলাঙ্গ, মানষিক ভারসাম্যহীন যার কিছুটা আচঁ আমরা পত্রিকা, টিভি দেখলেই অনুমান করতে পারি।
আমি জম্ম নিয়ন্ত্রন বা পরিবার পরিকল্পনার বিপরীতে কিছু বলছি না আমি বিকল্প কোন ভাবনার কথা বলছি যাতে আমাদের মাঝে প্রতি সেকেন্ডে যাদের আগমন ঘটতে যাচ্ছে তাদের মাঝ থেকে যারা অনেক বড় কিছু করে দেখাতে পারতো তাদের বঞ্চিত করছি নাতো।
আমাদের দেশে অনেক দামী ! দামী ! বুদ্ধিজীবীরা আছেন যারা তাদের পিতামাতার ৪র্থ বা ৫ম বা ৬ম মানুষ। হয়তো তারাই এর সঠিক জবাব দিতে পারবে।
এটা আমার প্রথম লেখা।
হয়তো কথা গুলো গুছিয়ে লিখতে পারিনি। ভুল হলে সংশোধন করে দিবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।