অভিলাসী মন চন্দ্রে না পাক, জোছনায় পাক সামান্য ঠাই
আমেরিকান সাম্রাজ্যবাদ নিয়ে অনেক কিছুই শুনেছেন হয়তো কিন্তু এটা এখনো ততটা এস্ট্যাবলিশ্ড নয়। তবে নোয়াম চমস্কি যখন এ বিষয়ে যুক্তি-প্রমান দেখায় তখন কিন্তু সিরিয়াস না হয়ে পারা যায় না।
বোস্টন ইউনিভার্সিটি'র এক সেমিনারে নোয়াম চমস্কি এই পয়েন্টে তার স্বভাবজাত অত্যন্ত চমৎকার এক লেকচার দিয়েছে।
তিনি অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত ভাবে প্রমান করেছে যে যুক্তরাষ্ট্র জন্ম থেকেই একটি সাম্রাজ্যবাদী শক্তি, তাদের জাতির পিতাদের স্বপ্নই ছিল একটি সাম্রাজ্য কিন্তু তৎকালীন ব্রিটিশ সামরিক শক্তির কারনেই সেই স্বপ্ন পূরণ হয় নাই। কানাডা এবং কিউবা দখল করার চক্রান্ত ব্রিটিশদের দ্বারাই প্রতিহত হয়েছিল।
তারপরেও ফিলিপাইন এবং আরো কিছু দেশ তারা ঠিকই দখল করেছিল।
শান্তি'র দুত বলা হয় যেই আমেরিকান প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসনকে নোয়াম চমস্কি তার স্বরুপ হাতে ধরে দেখিয়ে দিয়েছে। যুক্তি দিয়ে দেখিয়েছে যে তারই ওকালতি'র পর মুক্তবাজার অর্থনীতি'র ধারক লিবেরালিজম কিভাবে আগ্রাসী হয়ে উঠে।
পরে কিভাবে ল্যাটিন আমেরিকা ও সাউথ-ইস্ট এশিয়াকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডাস্ট্রিয়ার সেক্টরের নকশা করা হয় এবং এবং যুক্তরাষ্ট্র কিভাবে নিরাপত্তা'র অযুহাতে নিকারাগুয়া ও পানামা'র মত দেশ আক্রমন করে।
আমরা ওয়ার অন টেরর বলতে বুঝি ৯/১১ এর পর আমেরিকার চালু করা যুদ্ধ কিন্তু এটা সম্পুর্ণ মিথ্যা।
মুলত রোনাল্ড রিগ্যানের সময়েই সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ শুরু হয়। চমস্কি এসব সহ আরো অনেক বিষয়েই উপমা এবং উদাহরন সহ বুঝিয়েছে।
চমস্কি পরিষ্কার করে বলেছেন যে, কিভাবে এবং কেন আমেরিকা সবসময় শত্রু খুঁজে বের করে। আগে ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন, ওদের পতনের পর কিছুদিন ড্রাগ বিরোধী যুদ্ধ করে ল্যাটিন আমেরিকায়, এবং এরপরই শুরু হয় ইসলাম বিরোধী যুদ্ধ। রাশিয়া আর আগের অবস্থায় নেই তারমানে যুদ্ধ তো থামে নাই, নতুন খুঁজে বের করা হলো মধ্য প্রাচ্যকে।
ইরানকে কিভাবে টার্গেট করা হচ্ছে ইত্যাদি।
তার সাথে রয়েছে নোয়াম চমস্কি'র চমৎকার রসিকতা এবং আরো চমৎকার প্রশ্ন-উত্তর পর্ব। সব বলে দিলে তো মজা পাবেন না সাথে আমারো একটা পেপার সাবমিট করতে হবে সকালে কিন্তু ব্লগের নেশা কাটাতেই এই ভিডিও শেয়ার করা তাই ক্ষমা করে নিজ দায়িত্বে দেখে নিন, শুধু এটুকুই বলবো, এই ভিডিও দেখা আপনার সময়ের উত্তম মূল্য প্রদান করবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।