আট বছর পর উৎসব মুখর পরিবেশে দেশের কোথাও কোথাও ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে আবার কোথাও কোথাও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচনী তফশীল ঘোষনার পর থেকেই গণতন্ত্রে বিশ্বাসী সারা বাংলাদেশের মানুষের মাঝে ইউপি নির্বাচন কে কেন্দ্র করে শুরু হয় নির্বাচনী উৎসব। তারই ধারাবাহিকতায় উত্তর বঙ্গের সব কটি জেলায় এরই মধ্যে ঘুম হারাম হয়েছে প্রার্থীদের। নির্বাচনী আলোচনা-পর্যালোচনায় মুখরিত গোটা উপজেলা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ নির্বাচন সংক্রান্ত ইসির নানা সিদ্ধান্তের পক্ষে বিপক্ষে চায়ের টেবিল গরম করছে প্রতিনিয়ত।
উল্লেখযোগ্য আলোচনার বিষয় হিসেবে শিকদের নির্বাচনে অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞার বিষয় নিয়ে হঠাৎ করে ইসির মতামত, আবার হাইকোর্টে রিট করে কারো কারো নির্বাচনে অংশগ্রহণে সুযোগ প্রাপ্তি বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে আলোচকদের মাঝে। নির্বাচনের মনোনয়ন পত্রের নানা অসংগতির বিষয়ও উঠে আসছে ওই গরম চায়ের টেবিলে। বিশ্লেষকদের মতে মনোনয়ন পত্রে অনেক কিছু থাকলেও প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতার কলাম না থাকার বিষয়টি নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে শিক্ষিত ভোটরদের মাঝে। শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়ে বাধ্যবাধকতা না থাকলেও তথ্য ফরমে শিক্ষাগত যোগ্যতার কলাম থাকা উচিত ছিল। বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশাজীবি সংগঠনের প্রতিনিধিগণের মতে যেকোন পর্যায়ের নির্বাচনের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়ে বাধ্যবাধকতা থাকা উচিত।
তাদের মতে জনপ্রতিনিধিগণ অভিভাবকের ভুমিকা পালন করেন। আর শিক্ষিত অভিভাবকেই শিক্ষিত জাতী গঠনে সহায়ক ভুমিকা পালন করতে পারে। ....গনতন্ত্র মানে কি যা ইচ্ছে তাই? যে পড়তে জানেনা লিখতে জানেনা সে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হলে কিভাবে আজকের এই সভ্য-আধুনিক এবং সম্প্রতি প্রচলিত ডিজিটাল দেশে দাপ্তরিক কার্য সম্পাদন করবে তা আমাদের বোধগম্য নয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।