মাঠ পর্যায় থেকে রাজনীতি শুরু করে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থেকে মন্ত্রী হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করলেন পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পাবনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামসুর রহমান শরিফ ডিলু। তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে অনেকবার কারাবরণ করতে হয়েছে।
পারিবারিক সূত্র জানায়, শামসুর রহমান শরিফ ডিলু পাবনা জেলা স্কুলের ৫ম শ্রেণির ছাত্র থাকাবস্থায় ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের মিছিল থেকে প্রথম গ্রেফতার হন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে তিনি ঈশ্বরদী উপজেলার লক্ষ্মীকুণ্ডা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
তারপরই সক্রিয়ভাবে তিনি রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। প্রথমে লক্ষ্মীকুণ্ডা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরে ক্রমান্বয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, সাধারণ সম্পাদক, সভাপতি ও পরে ২০০৬ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে মনোনীত হন এবং বর্তমানেও সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন।
শামসুর রহমান শরিফ ডিলু ১৯৭৯ সালে পাবনা-৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে পরাজিত হন। পরে ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে অংশ নিয়ে তার নির্বাচনী ফলাফল সেনাবাহিনী ছিনিয়ে নেয় বলেও তার পরিবার দাবি করেন।
১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দল পাবনা-৪ আসনে তাকে মনোনয়ন না দিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিবকে মনোনয়ন দেয়। তারপরেও তিনি দলের কাণ্ডারি হয়ে কাজ করেছেন জন মানুষের জন্যে। পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে দল তাকে মনোনয়ন দিলে তিনি বিপুল ভোটের ব্যাবধানে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০০১, ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির আভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে ২ জন করে প্রার্থী থাকায় খুব সহজেই বিজয়ের মালা তার গলায় ওঠে। সর্বশেষ ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পাবনা-৪ আসনে সংসদ সদস্য হওয়ার পরে রবিবার বিকেলে বঙ্গভবনের দরবার হলে পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করেন।
শপথের পর তাকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।