লাদেন, ওটা আবার কে? আমি তো জানি আমেরিকা মুসলিম বিশ্ব'কে ধ্বংস করার জন্য এক কল্পিত ব্যক্তি'কে পৃথিবী'ময় ছড়িয়ে দিয়েছিল যার কল্পিত নাম, "লাদেন"। আমি এটাও বলতে পারি, লাদেন মারা গেছে এটা প্রচার করা আমেরিকা'র জন্য যতটা সহজ, ঠিক তেমনি আমেরিকা চাইলে কালকেই তাকে আবার এই বলে বাঁচিয়েও দিতে পারে যে, "লাদেন আসলে মরে নাই। ওটা একটা মিথ্যা রটনা ছিল। " আর এর স্বপক্ষে অসংক্ষ প্রমানও তারা দাড় করিয়ে দিতে পারে।
ভেবে দেখুন লাদেনে'র মৃত্যু আমেরিকার জন্য সুসংবাদ না দু:সংবাদ।
অবশ্যই দু:সংবাদ। কেননা লাদেন কোন ব্যক্তি নয়, লাদেন একটি বস্তু যা আমেরিকার প্রয়োজন অনুযায়ি রূপ বদল করতে পারে, স্থান বদল করতে পারে কিংবা কার্য সম্পাদন করতে পারে। এই লাদেন ইস্যুতে আমেরিকা চাইলেই যে কোন দেশে হামলা করতে পারতো, যেমন তারা আফগানস্তান কিংবা পাকিস্তানে করেছে। গোটা বিশ্ব'কে উত্বপ্ত করে রাখত যেন প্রমানিত হয় যে তারাই বিশ্বের চালক কিংবা সবচেয়ে শক্তিশালি রাষ্ট্র। লাদেন যদি না ই থাকে তাহলে আমেরিকা কি নিয়ে বিশ্ব মাতাবে, কাকে ধরার জন্য আক্রমন করবে কোন মুশলিম দেশকে, তাদের অত্যন্ত শক্তিশালী ক্ষেপনাস্ত্রগুলো কি করে গোটা বিশ্বের সামনে উপস্থাপন করবে আর কি করে প্রমান করবে যে তারা রাজা এবং বিশ্বে'র শান্তি রক্ষার্তে তারা প্রানপন লড়াই করে যাচ্ছে? গোটা বিশ্ব শান্তিতে থাকবে আর নাক ডেকে ঘুমাবে, আমেরিকা অন্তত এটা সহ্য করতে পারবে না।
যে অস্ত্র তৈরি কিংবা রাখার অপরাধে অন্য যেকোন দেশকে একঘরে করে দেয়া যায় (যেমন ইরান), সেই একই অস্ত্র কিংবা তার চাইতেও শক্তশালী অস্ত্র বানানোর একচ্ছত্র অধিপতী তো আমেরিকাই। কিন্তু তা ব্যবহার করবে কোথায় যদি লাদেন লামক সেই কল্পিত বস্তুটি না ই থাকল.......
শক্তি'র মৃত্যু নাই - ধ্বংস নাই। লাদেন হচ্ছে সেই শক্তি যার শুধু জন্মই আছে, মৃত্যু? অসম্ভব ;-))
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।