উত্থানে শুরু, পতনে শেষ
ল্যাবে সচল মরা ইঁদুরের হৃিপণ্ড
মরা ইঁদুরের দেহ থেকে হৃিপণ্ড খুলে নিয়ে গবেষণাগারে আবার তা সচল করতে সক্ষম হয়েছেন মার্কিন চিকিত্সা বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, মৃত হৃিপণ্ডকে ‘স্পন্দনশীল’ করার এ সাফল্য হয়তো একদিন আমাদের মানবদেহে প্রতিস্থাপন উপযোগী অঙ্গ আবিষ্কারের দিকে নিয়ে যাবে। সম্প্রতি ‘নেচার মেডিসিন’ সাময়িকী মার্কিন বিজ্ঞানীদের এ সাফল্য নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
সাময়িকীটি জানায়, এ গবেষণার একটি অন্যতম দিক হলো, এতে মানব শরীরে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শর্ত ‘স্টেম সেল’ ব্যবহার করা হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দেন যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর কার্ডিওভাসকুলার রিপেয়ারের বিজ্ঞানী ডরিস টেইলর।
টেইলর ও তার সহকর্মীরা ‘ডিসেলুরাইজেশন’ নামের একটি প্রক্রিয়া ব্যবহার করে মরা ইঁদুরের হৃিপণ্ডটির মৌল কাঠামো অক্ষত রেখেই তা থেকে সব ‘সেল’ বা কোষগুলো বের করে ফেলেন।
এরপর সদ্যজাত ইঁদুরের হৃিপণ্ড থেকে ‘হৃিপণ্ড-কোষ’ নিয়ে ইনজেকশনের মাধ্যমে মরা হৃিপণ্ডটিতে তা প্রবেশ করান। পরে তাতে ‘বিশেষ পুষ্টিসমৃদ্ধ তরল’ প্রবেশ করিয়ে হৃিপণ্ডটি বেড়ে ওঠার জন্য তাকে গবেষণাগারের বিশেষ পরিবেশে ফেলে রাখেন।
চারদিন পরেই ওই হৃিপণ্ডটির আস্তে আস্তে সংকোচন ও প্রসারণ শুরু হয়। তখন বিজ্ঞানীরা একটি পেসমেকার দিয়ে এর সংকোচন ও প্রসারণ প্রক্রিয়া সমন্বয় করতে শুরু করেন।
এ পর্যায়ে হৃিপণ্ডটিকে তরল পদার্থ ভরা একটি ছোট পাম্পের নলের সঙ্গে যুক্ত করে দেয়া হয়, যাতে হৃিপণ্ডটির ভেতরে রক্তের মতো করে তরল পদার্থ ঢুকতে ও বের হতে পারে। সাধারণ রক্তচাপের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ করার জন্য পাম্পটিতে কিছুটা চাপ প্রয়োগ করা হয়। এ প্রক্রিয়া চলতে থাকলে আট দিনের মাথায় হৃিপণ্ডটি নিজেই ‘স্পন্দনশীল’ বা সচল হয়ে ওঠে।
যুক্তরাষ্ট্রের এ নারী বিজ্ঞানী রয়টার্সকে বলেন, আমাদের স্বপ্ন মানব শরীরে প্রতিস্থাপন করা সম্ভব এমন অঙ্গ বানানো।
তিনি জানান, গবেষণাটি এখনও আঁতুড়ঘরেই আছে।
এ পরীক্ষা সফল হলে তা মানব শরীরে অঙ্গ প্রতিস্থাপনে যুগান্তকারী অবদান রাখতে পারে বলেও আশাবাদী তিনি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।