গ্রামীণ সমাজের বাস্তবতা আর অশ্লীলতার বিপক্ষে অবস্থান।
বউ, শালিকা, ছোটবোন বিয়ের পরে কিছুক্ষন। এমন আড্ডা অনেকের জীবনকেই পুলকিত করেছে , জমেছে ভাল, ভাব বিনিময় আর স্মৃতিচারন পুরো বিবাহিত জীবনকেই আনন্দময় করে রেখেছে।
বর কনের বড়বোনদের বেয়াইন সুলভ মুহুর্ত আত্বীয়তার বন্ধন আরো গভীর করেছে ভাবের আদান প্রদানে।
মাঝখানে সমস্যা আর বিড়ম্বনার পাহাড় গড়েছে বিজ্ঞানের মহান অবদান মোবাইল ফোনের রিং টোন।
কল্পনায় আঁকা বাস্তবতার ছবি।
বড়বোন: রান্নাবান্না নিয়ে ব্যস্ত, মাঝে মাঝে পায়চারী।
বউ, শালীকা, ছোটবোনকে নিয়ে আড্ডা জমিয়েছেন নব বিবাহিত বর। (দরজা বন্ধ) চলছে লুডু খেলা।
বর: মাথা ঠিক নেই ছক্কা মারার জন্য।
শালীকা: দুলাভাইয়ের মনযোগ আকর্ষণে ব্যস্ত।
ছোট বোন: নতুন ভাবীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
বরের মোবাইল রিং টোন: বিয়া যে কত্ত মজা গো , বিয়া যে কত্ত মজা ...
শালীকার মোবাইল রিং টোন: হিন্দি গান (আগার বেওয়াফা তুজকো পেহছান যাতে খোদাকি কসম হাম মোহাব্বাতনা কারতে।
ছোটবোনের মোবাইল রিং টোন: অট্রহাসী ( হি হি হি হা হা হা )
নাস্তা নিয়ে বড় বোন রুমের দরজায় হাজির: এমন সময় (বিয়াযে কত্ত মজা গো , কত্ত মজা) ওদিকে ছোট বোনের মোবাইলে অট্র হাসী...
এদিকে বউয়ের মোবাইল রিংটোন: এই ফোনটা ধর না, কি হল ফোনটা ধরনা ....................
বড়বোন নাস্তা হাতে ভাবছে: দেখে গেলাম লুডু খেলছে এখন এ সব কি হচ্ছে ছি ছি (দুই বেয়াইন এক সাথে) ভাবছে ..
বরের বড় বোন: শালীকার সাথে আমার ভাইয়ের পূর্ব প্রেমছিল নাকি!!!.......
কনের বড় বোন : বিয়ে যে মজা এটা ঢাকঢোল পিটিয়ে বলতে হবে নাকি........কি বেয়াদপ রে বাপু ,কি দুনিয়ায় এল...
এমন সময় এক বেয়াইনের মোবাইল : য়ুআও য়ুআও কান্নার আওয়াজ, চলছেতো চলছেই..............
আরেক বেয়াইন: বাচ্চা এল কোথা থেকে চারি দিকে তাকিয়ে চোঁখ ছানাবড়া এমন সময় হঠাৎ নিজের মোবাইল ফোন বেজে উঠল ,
(বেদনা মধুর হয়ে যায় , তুমি যদি গাও)...............................................
এক দিকে বিয়ের মজা , অন্য দিকে য়ুআও য়ুআও , বেদনা মধুর , খসে গেল দুই বেয়াইনের মাথার সিদুঁর।
এদিকে বরের উঠে গেল ছক্কা , লাগল কাড়াকাড়ী , খুলে গেল দরজা (বাকিটুকু আপনারা কল্পনা করুন)
রিক্সা চালক যাত্রী নিয়ে গন্তব্যস্থলে যাচ্ছেন রিক্সার হেন্ডেল শক্ত হাতে ধরা অবস্থায় , গামছা দিয়ে মাজায় মোবাইল বাঁধা ।
চৌরাস্তা পার হবে চারি দিকে গাড়ীর আনা গোনা এমন সময় মোবাইল কল : এই ফোনটা ধর না , ফোনটা ধর না, কি হল ফোনটা ধর না
এমন কোকীল কন্ঠী ডাক, বার বার আহবান ধর না, চালক মাথা ঠিক রাখতে পারছে না, কি যে করি হেন্ডেল ধরি না ফোন ধরি, এদিকে যাত্রী মোবাইলে মরি মরি ( হি হি হি হা হা হা ) ব্যাপারটা কেমন জানি গোল পাকিয়ে ফেলেছে , রিক্সা চালকের আর যে দেরি সয় না এদিকে যাত্রী গিন্নির সাথে উচ্চস্বরে বাক্য বিনিময় ।
চালকের যেই না মাজায় হাত তো গাড়ী চিতপটাং এদিকে ট্রাফিকের পিটুনী ও দিকে গিন্নির চিল্লানী যাত্রী চাকার তলায় মোবাইল তো বাজছে (হি হি হি হা হা হা ) রিং টোনের অট্র হাসি কি যে অবস্থা কুরুচির সায়েস্তা।
নামাজ পড়তে যাওয়া মুসল্লিরা নিশ্চয় নামাজরত অবস্থায় মোবাইল কল আসুক এমনটি আশা করেন না। অনেকে অনিচ্ছা সত্বেও সাইলেন্ট করতে ভুলে যান।
এ যাবত অনেক মুসল্লিকে সমস্বরে ভৎষনা খেতে দেখেছি তার পরও এমন আজগুবী রিংটোন রাখার কি দরকার , কি ধরনের রুচি এদের বুঝে আসে না, আপনাদের আসে কিনা তা আপনারাই ভাল বলতে পারেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।