সারাদিন মোটরসাইকেল ড্রাইভ করলাম, কত জায়গায় ঘুরলাম, অনেক দুর-দুরান্তে গেলাম। কোনো সমস্যা হলো না। সন্ধ্যায় বাড়ী ফিরে আসলাম। এসেই গাড়ীর কাগজ-পত্রগুলো টেবিলের উপর রেখে দিলাম।
হঠাৎ মনে হলো, আমার তো বাসের টিকেট কাটতে হবে।
আবার গাড়ী নিয়ে রওনা হলাম। মেইন রোডে উঠে কিছুদুর যেতেই দেখি পুলিশ মোবাইল কোর্ট বসাইয়া আমার জন্য অপেক্ষা করতেছে ।
দুর থেকেই গাড়ী থামাইতে বলল, কাছে গেলে কাগজ-পত্র দেখতে চাইল
এই মাত্র সেগুলো টেবিলের উপর রেখে আসলাম।
তবে, আমার মানিব্যাগে ড্রাইভিং লাইসেন্সের রিচিভ্ড কপি ছিলো, দেখালাম। কাজ হলো না, বলে, গাড়ীর লাইসেন্স দেখানো লাগবে।
দেখলাম অনেককে আটকাইয়া দিছে, অনেককে মামলা ঠুকে দিচ্ছে।
আব্বাকে ফোন করলামআমারে পুলিশ ধরেছে, ছারাইয়া নিয়া যান
এর মধ্যে আমরা ভুক্তভুগিরা কয়েকজন মিলে আলাপ-আলোচনা করছিলাম। আব্বা ততক্ষনে কাগজ নিয়ে রওনা দিছে। যার যা জরিমানা হচ্ছে তাই দিয়ে বিদায় করে দিচ্ছে। আর তিন-চার জন আছে।
এমন সময়---
পুলিশ: আপনি কি করেন?
আমি: আমি যা করি সেটা বললাম ।
পুলিশ: আপনাকে অনেক আগেই ছেরে দিতাম। কিন্তু সবার সামনে দিলে
আমাদেরও তো জবাব দিতে হতে পারে, তাই দেই নাই। আপনি এখন
যেতে পারেন।
আমি: আপনারা নিয়ম মেনেই তো সবকিছু করবেন।
আমিও সেটা ফলো
করার চেষ্টা করছিলাম। ধন্যবাদ
বুঝলাম, যে ভুক্তভুগিদের মধ্যে একজন গিয়ে আমার ব্যাপারে পুলিশের কাছে কিছু একটা বলেছিলো। আমিও জানতাম, আমি পরিচয় দিলে, আর যেহেতু আমার কাছে ড্রাইভিং লাইসেন্সের রিচিভ্ড কপি ছিলো, আমাকে আটকাতো না। যাইহোক, আব্বাকে ফোন করে বললাম, আপনার পোলারে সম্মান কইরা ছাইরা দিছে ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।