আমি সুন্দর করে গুছিয়ে কথা বলতে পারিনা। গুছিয়ে লিখতে পারি কিনা তার একটা চেষ্টা চালাচ্ছি।
যে বাইকটি কিনবেন সেটা শো-রুমেই ভালমত পরীক্ষা নিন।
আপনার বাইকটি যখন বিদেশ থেকে আমদানী করা হয় তখন এটা একটা ক্রেটের সংগে বেঁধে নিয়ে আসা হয়। নতুন বাইকে ছোটখাট অনেক সমস্যা থাকতে পারে।
এখানে একটা চেক লিস্ট দেওয়া হলো। কেনার সময় ব্যাপার গুলো মিলিয়ে নিলে সার্ভিসিং এর জন্য বার বার দোকানে আসার ঝামেলা থেকে বাঁচবেন। আমি নিজে যখন প্রথম মোটর সাইকেল কিনেছিলাম তখন আমার বাইকের প্রটেক্টরটা ভাঙ্গা ছিল। বাসায় ফিরে দেখি এই অবস্থা। যা এক বছরেও চেঞ্জ করে পাওয়া যায়নি।
> সামনের ও পেছনের টায়ার ঠিক মত লাগানো আছে কিনা- টায়ারে গায়ে দেখুন তীর চিহ্ন আছে। সেটা মোটর সাইকেল যেদিকে যাবে সেদিকে দিক নির্দেশ করছে কিনা দেখে নিন।
> টায়ারের পাম্প বা এয়ার প্রেসার টায়ারে যা লেখা আছে সে মত পাম্প রাখবেন। সাধারনত: স্ট্যান্ডার্ড বাইকে ৪২ পিএসআই পেছনের টায়ারে এবং ৩০ পিএসআই সামনের টায়ারে বাতাস প্রয়োজন।
> ফ্রন্ট এক্সেল বোল্ট টাইট করুন।
> ব্রেক চেপে দেখে নিন এর কার্যকারিতা ঠিক আছে কিনা।
> এখনকার বেশির ভাগ বাইকই অবশ্য স্পোক লেস। রীম বাঁকা হওয়ার সম্ভবনা তবুও রীম সোজা আছে কিনা ভালমত দেখে নিন। স্পোক থাকলে সেগুলো ঠিক মত লাগানো আছে কিনা দেখুন।
> স্টিয়ারিং হ্যান্ডল ঠিকমত যেন ঘোরে চেক করুন।
স্টিয়ারিং যে নাট বল্টু দিয়ে লাগানো থাকে সেগুলো যথেষ্ঠ টাইট কিনা খেয়াল করুন।
> বাইকে চেপে বসে খেয়াল করুন ফর্ক বা শক অ্যাবজর্বার ঠিকমত ওঠানামা করছে কিনা।
> আপনার বাইকটির সীট যদি অ্যাডজাস্টটেবল হয়; তাহলে আপনার উচ্চতা অনুযায়ী অ্যাডজাস্ট করে নিন।
> ক্লাচ কেবল আর থ্রটল কেবল ঠিক করে নিন। দেখে নিন গিয়ার ক্লাচ করা অবস্থায় সহজেই চেন্জ করা যাচ্ছে কিনা।
নইলে ক্লাচ অ্যাডজাস্ট করতে বলুন।
> বাইকটি স্থির থাকা অবস্থায় ইঞ্জিন অয়েল যথেষ্ঠ আছে কিনা দেখে নিন।
> চেন অতিরিক্ত ঢিলা বা টাইট থাকলে প্রয়োজনমত অ্যাডজাস্ট করে নিন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।