আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নুনু বাবা !!!!!!!!!!!!!!!

জাতির নানা - একটি ভার্চুয়াল ক্যারেক্টার!!!!

এখনকার বাচ্চাদের চেয়ে আমরা অনেক বেশী প্রকৃতিপ্রেমী ছিলাম। সামান্য সুযোগে আমরা ঘরের বাইরে যেয়ে গোল্লাছুট বা ছি-বুড়ি খেলা শুরু করতাম। এরা খেলে wii. আমাদেরকে পিটিয়ে ঘরে আনতে হত, এদেরকে পিটিয়ে বাইরে পাঠাতে হয়। এরা ছবি আঁকে স্পাইডারম্যান, ব্যাটম্যান, এভেন্জার আর আমরা আঁকতাম বেগুন, আম, নৌকা , নদীতীরে ঘর, রাক্ষস!! আমার এক খালাত বোন আঁকত পুতুল, দেখতে অনেকটা কাকতাড়ুয়াদের মত খাড়া খাড়া চুল , ফুল তোলা ফ্রক। আমি আঁকতাম আম , গাছ , নৌকা এইসব।

মাঝে মাঝে আমাকে আব্দার করত কিছু এঁকে দেবার জন্য আমি যত্ন করে এঁকে দিতাম, জীবন ছিল সহজ। কিন্তু আমি সবচেয়ে মজা পেতাম উড়োজাহাজ আঁকতে। আহ কত রকমের উড়োজাহাজ যে এঁকেছি। আমি মুটামুটি খারাপ আঁকতাম না। আমার উড়োজাহাজ আঁকা বন্ধ হইলো এক বিরাট আবিষ্কারের মধ্যে দিয়ে!!!! তখন আমি শাহীন স্কুলে তৃতীয় বা চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ি।

কিছুদিন আগে আমার মুসলমানি হয়েছে। আমার শিল্প-প্রতিভা দিয়ে আমি বুঝতে পারলাম আমার এই যন্ত্রটার সাথে উড়োজাহাজের একটা বিরাট মিল আছে, বিশেষ করে মাথার দিকটা!!! লেজের দিকে চাকার পরিবর্তে আছে একটি থলে!!! আমার এক সহপাঠিকে বললাম, সেও স্বীকার করলো!!!!!! টিফিনের সময় আমরা সুযোগ পেলেই আঁকতে বসে যাই কে কত সুন্দর করে আঁকতে পারে। প্রথমে একটা লেজ ছাড়া উড়োজাহাজ আঁকতে হবে, কোনো চাকা দেয়া যাবে না আর গোড়ার দিকে একদম গা ঘেষে বড় করে একটা গোল ডব্লিও আঁকতে হবে। মাঝে মাঝে রং ও করি। খাতা ভরে ফেললাম।

শিল্পীর কল্পনা বলে কথা , ছোট বড় লম্বা চেপ্টা শতেক রকমের আঁকি, মাঝে মাঝে সমালোচনা করি পরস্পরের ছবির। একদিন এইটা নিয়ে লাগলো ঝগড়া, টিফিন পিরিয়ড শেষ। সমাজ-বিজ্ঞান বা এরকম কোনো ক্লাস হচ্ছে , আমরা লুকিয়ে লুকিয়ে আঁকছি। হঠাত দেখি পেছনে স্যার দাঁড়িয়ে!!! হুঙ্কার দিয়ে তিনি আমাদের ছবি আঁকার খাতা কেড়ে নিলেন!!! দুর্ভাগ্যজনক ভাবে আমি আঁকছিলাম আরবী খাতার মধ্যে!! খাতা উল্টিয়ে স্যার দেখেন এক পার্শে আলিফ-বা-তা-সা অন্য পার্শে আমার রং করা সুবিশাল বিশেষ ধরনের উড়োজাহাজ!!!! আমাদের কিছু না বলেই তিনি দুইটা বেত আনলেন এবং আমাদের ওপর দিয়ে ঝর বয়ে গেল। গা হাত পা ফুলিয়ে আমরা বাড়ি ফিরলাম।

পরদিন থেকে স্কুলে আমার নাম হয়ে গেল নুনুবাবা

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।