আসছে নতুন প্রজন্ম , আসবে নতুন দিন !
ছোট ছেলেদের জন্য মুসলমানি আর বড় মেয়েদের “মা হবার” ভয় এই দুইটি আতঙ্ক প্রকৃতিগত ভাবেই আবশ্যিক সাবজেক্ট ।
আমি তখন ক্লাশ ফোর/ফাইভে পড়ি । কান ফিসফিস শোনি আমাকে নাকি কাটাবে । আমার ছোট ভাই আমার চেয়ে দুই বছরের ছোটো তাকেও একসাথে কাম করবে বলে কয়েকদিন দেরি হচ্ছে । আমার তো জানে পানি নাই ।
কারন মুসলমানি নিয়ে বন্ধুমহলে যে কাহিনী শুনেছি আর আমি নিজে একটি ঘটনার কিছু অংশ দেখেছি ও, কিন্তু এটা থেকে পালাবার যে কোনো উপায়ও নাই ।
বন্ধুমহলের প্রচলিত গল্প: বড় একটি খাইট্টার উপর নুনুটা রেখে বড় একটা কাটারী দিয়ে এক কুপ । তারপর কিয়ামত.....
আমার দেখা অভিজ্ঞতা : কোথাও কোনো মুসলমানি হলে ছোট বাচ্চাদের যাদের মুসলমানি হয় নাই তাদের কাছে আসতে দিতো না । আমার একবার একটি ঘটনার কিছু অংশ দেখার কুভাগ্য হয়েছিলো । আমাদের পাশের বাড়ির সম্পর্কে আমার চাচা হয় তার কাম হবার সময় শেষের দিকের দৃশ্য একটু দেখেছি ।
লোকজনের ভিড়ের করনে দুর থেকে উঁকি মের দেখি কাকাকে যা করার করে ফেলেছে তারপরও চার পাঁচ লোকে ধরে আছে । ভিড়ের করনে চাচার নিচের অংশ দেখতে পারছি না । উপরের দিকে দেখি কাকার চখের পানি , নাকের পানির সাথে মুখ দিয়ে বাতাসা (মিষ্টি) বের হচ্ছে । আমিতো যা বুঝার বুঝে ফেলেছি, দে দৌয়োড় ...
তখনকার সময়ে ৯৯% মুসলমানি করাতো গুটকা (আজম) দিয়ে । কোনো প্রকার ব্যথানাশক ইনজেকশন না এমনকি করার পর একটি প্যারাসিটামলও না ।
ব্যান্ডেজ এর জন্য ব্যবহার করতো কাপড়ের ন্যাকড়া আর শুকনো গবরের ছাই । আল্লাহরই রহমত এতো কিছুর পরও খুব কম জনেরই ইনফেকশন হতো ।
একসময় আমার কিয়ামতের ডেড পড়লো । বন্ধুমহলে বেড়ে গেলো আমাকে ভয় দেখাবার প্রবণতা । বড়রা আমাকে উপদেশ দিতো, ভায় পাবার কোনো কারন নাই ।
এই কাম আমরা সবাই করেছি । তুই মাঝে মাঝে অস্ত্রটার মাথায় করাল্লা বালু দিয়ে রাখবি এতে মুসলমানির সময় ছোলানোর কষ্টটা কম হবে ।
একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি সারা বাড়ি উৎসব উৎসব ভাব । হাঠাৎ মনে পড়ে গেলো আজতো সেই দিন । মুখটা গেলো চুপসে ! কিছুক্ষণ পর সবাই আনন্দ করছে দেখে আমিও আনন্দতে যোগ দিলাম ।
মাকে বললাম টাকা দাও বোম (ফটকা) কিনবো । মা বিশ টাকা দিলেন , আমিতো অবাক যেখানে পাঁচ টাকার উপরে আশাই করি না সেখানে...? ফটকা কিনে আফাটে-কুফাড়ে (এখানে-সেখানে) ফোটাতে লাগলাম কোউ আমাকে কিছু বলছেনা । মনে মনে ভাবলাম কোরবানির আগে হয়তো এই ভাবে পশুকে আলগা ছেড়ে দেওয়া হয় ।
দুপুরের মধ্যেই আমাকে গোসল করিয়ে নতুন লঙ্গি পড়িয়ে পাটিতে (কোরবানির বেঁধিতে ) বসালো । আশে পাশের মুরুব্বিরা বললো, বাবা কিছু খাবা? আমি বললাম কিছু খাবো না ।
নির্দিষ্ট টাইমের একটু পরে গুটকা এলো । তিন/চার জান লোকে আমাকে শক্ত করো ধরলো । একজন ধরলো বিশেষ কায়দায় । আমার আর টানা দেবার সুযোগ থাকলো না । একজন আমার মাথা অন্য দিকে ঘুরিয়ে রাখলো যেনো নিচে দেখতে না পারি ।
গুটকা তার কাজ শুরু করলো । কিন্তু আমার কপাল খারাপ । হয় আমার চামড়া মোটা না হয় গুটকার চাকুতে ধাঁর ছিলো না । যেখানে এক ফ্যাসএ মাথার চামড়াটা কেটে যাওয়ার কাথা সেখানে তিন চার ফ্যাসেও কাটলো না । আশে পাশের মুরুব্বিরা গুটকার উপরে ক্ষ্যাপে গেলেন ।
যাক আবশেষে কাজটা শেষ হলো । আমাকে দুজন লোকে ধরে বিছানার উপর আদম করে শুইয়ে রাখলো ।
এর পর শুরু হলো গুটকাকে চার্জ করা । গুটকা অনুনয় বিনয় করে বললো , এই অনুষ্ঠানে অন্যএকজন গুটকার আসার কথা ছিলো । আমি আসার কারনে সে শত্রুমী করে যাদুর করে আমার চাকু বোঁতা করে দিয়েছে ।
কি আর করা যাবে গুটকাকে বিদায় করে দেয়া হলো । ছোট ভাইএর মুসলমানি করানো হলো একদিন পর অন্য গুটকা দিয়ে ।
এর পর শুরু হলো বন্দি জীবন । যে বয়সে এক ঘন্টা ঘরে বন্দি থাকার চিন্তা করতে পারি না সেখানে প্রায় ২০-২৫ দিন । ঘরে থাকতে থাকতে গায়ের রং ফরসা হয়ে গেলো ।
কোমরে বাইটার লগে সবসময় ভ্যান্যা পাত রাখতাম যাতে ছুত না লাগে । তিন চার দিন পর পট্টি খুলে দেয় । তার পর কালো রং এর কিসের জানি তেল গরম করে সেখানে লাগাতাম । ঘরে থাকতে থাকতে ফাফুর লাগতো । আমি সারা দিনই প্রায় তেল গরম করতাম ।
না লাগলেও করতাম । এর আগে আগুন দিয়ে এতো খেলার সুযোগ পাই নাই । দোয়াতের আগুনে বিভিন্ন বস্তুর পুরারাঙ্ক মাপতে মাপতে আমার দিন কাটতে থাকে ।
অবশেষে মুক্তির দিন আসে । মা কয়েকটি শর্ত সাপেক্ষে বাহিরে যাবার অনুমত দেয়
লঙ্গি পরে যেতে হবে
লঙ্গি হাত দিয়ে উঁচু কের ধরে রাখতে হবে যাতে ঘষা না লাগে
ধোলো বালিতে যাওয়া যাবেনা
বেশি দুরে যাওয়া যাবেনা
পুলাপানের সাথে মারামারি করা যাবেনা
..............................
..............................
আহ! কি সুন্দর পৃথিবীর আলো বাতাস !
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।