আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জাতীর সাথে আওয়ামী জোকস!সংবিধান সংশোধন !!নব্য আওয়ামী 'বিশ্বাসঘাতক'!!!

পেশায় নাবিক নেশায় যাযাবর

সংবিধান সংশোধন হবে ? জাতি খুব ব্যাস্ত । জনৈক এম পি অ্যাডভোকেট শু সেন গুপ্ত , সংসদিয় কমিটির চেয়ারম্যান প্রতিদিন টেলিভিশনের পর্দায় হাজির হয়ে দৃঢ় প্রত্যায় ব্যাক্ত করছেন । আমি যতটুকু জানি এব্যাপারে আদালতের পূর্ণ নির্দেশনা আছে । তারপরও সংসদের কাজ হচ্ছে আইন তৈরি করা , অন্যভাবে বলতে পারি সংবিধান সংশোধন করা সংসদেরই একটি অন্যতম কাজ । এই কাজ টি করার জন্য জনগণ ভোট দিয়ে এম পি নির্বাচন করে দিয়েছে।

সংবিধান সংশোধন একটা চলমান প্রক্রিয়া । সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে পরিবর্তন হবে সেতাই স্বাভাবিক । বিশেষ প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতি সংসদ অধিবেশন ডেকে কাজটি করতে পারে । কোন দল যদি এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিতে চায় অবশ্যাই নিবে । সবাই এগিয়ে যাছে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ।

পৃথিবীতে আমরাই মনে হয় একমাত্র জাতি যারা পিছনে যাছি। সামনে না যেয়ে ২০১১ বসে ফিরে যেতে চাই ১৯৭১ এর সংবিধানে!! এবার আসুন কিছু রসিকতা দেখি । সংবিধান সংশোধন মূল সমস্যাটা কোথায় ? সংবিধানের ফাঁক ফোঁকর দিয়ে মিলিটারি অনুপ্রবেশ বন্ধ করা ? রাষ্ট্রের জন্য হুমকি এরকম আইন পরিবর্তন করা? আজকের কিছু নিউজ দেখি আওয়ামী লীগকে 'বিশ্বাসঘাতক' আখ্যা দিয়ে সংবিধান সংশোধনে গঠিত বিশেষ কমিটির বৈঠকে ব্যাপক সমালোচনা করেছেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নিমূল কমিটির নির্বাহি সভাপতি শাহরিয়ার কবির। তিনি বলেছেন- 'সংশোধিত সংবিধানে বিসমিল্লাহ, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ও ধর্মভিত্তিক রাজনীতির সুযোগ রাখার প্রস্তাব দিয়ে দলটি (আওয়ামী লীগ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। ' এছাড়া বৈঠকে আমন্ত্রিতদের আরো অনেকেই সংশোধিত সংবিধানে বিসমিল্লাহ, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ও ধর্মভিত্তিক রাজনীতির সুযোগ রাখার বিরোধিতা করেন।

বৈঠক শেষে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল অব বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর চেয়ারম্যান এডভোকেট সুলতানা কামাল শীর্ষ নিউজ ডটকমকে বলেন, সংবিধানে বিসমিল্লাহ, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ও ধর্মভিত্তিক রাজনীতির সুযোগ রাখার ব্যাপারে বৈঠকে প্রায় সকলেই বিরোধিতা করেছেন। সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার এ ব্যাপারে বৈঠকে বলেছেন- 'একদিকে ধর্মনিরপেক্ষতার বিধান আর অন্যদিকে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে রাখা সাংঘর্ষিক। জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরী বলেন, 'সংবিধানে বিসমিল্লাহ বা কোনো রাষ্ট্রধর্ম থাকতে পারে না। তবে বৈঠকে ধর্মভিত্তিক দল রাখার পক্ষে মতামত দেন সাবেক উপদেষ্টা এম. হাফিজ উদ্দিন আহমদ, অধ্যাপক আসিফ নজরুল ও সৈয়দ আবু মকসুদ। তার মানে কি এই “সংবিধানে বিসমিল্লাহ, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম” এটাই একমাত্র সমস্যা!! আজ দেশ আর কোন সিরিয়াস ইস্যু নেই।

বিনা বিচারে জনগণ মারা যাবে / পা কাটা যাবে কিন্তু নো প্রব্লেম( স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলবেন আমার করার কিছুই নেই),খাবারের দাম বাড়ছে/তেলের দাম বাড়ছে কিন্তু নো প্রবলেম (খাদ্যমন্ত্রি বলবেন বিরোধীদের ষড়যন্ত্র / বাণিজ্য মন্ত্রী বলবেন সাংবাদিকরা ব্যাবসায়িদের চেয়েও খারাপ)। শেয়ার বাজারের অস্তিত্ব আজ সংকটের মুখে,পুজি হারিয়ে বিনিয়গকারিরা রাস্তায় কিন্তু নো প্রবলেম (অর্থ মন্ত্রী বলেন ফটকাবাজি ব্যাবসা কেন করেন?)বিদ্যুত নেই,পানি নেই,গ্যাস নেই,রাস্তায় যানবাহন নেই,জামের কোন শেষ নেই। আমাদের একটাই সমস্যা“সংবিধানে বিসমিল্লাহ, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম”!!!!!!!!!!!! বিঃদ্রঃ আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে স্বাধীনতা সংগ্রামের দলিল হিসেবে সংবিধানে সংযুক্ত করার সুপারিশ করেছেন। সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ও বিসমিল্লাহ বাদ দিয়ে ৭ মার্চের ভাষণকে সংবিধানে সংযুক্ত যদি আমাদের সব সমস্যার সমাধান হয় । আমি নির্বাক ।

এই রসিকতার কোন তুলনা হয়না।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.