দেশকে ভালবাসি স্বাধীনতার চার দশক পর ব্যাপক গণদাবির পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান মহাজোট সরকার একাত্তর সালের যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী ঘাতকদের বিচারের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) গঠন করে। যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লা ওরফে কসাই মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদন্ডের রায়ে দেশব্যাপী ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয় এবং সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। অন্যদিকে মামলাগুলোর বিচারকাজ শুরু হওয়ার পর থেকেই জামাতে মওদুদী ও ছাত্রশিবিরের সন্ত্রাসী ক্যাডাররা তাদের নেতা কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী রাজাকার আল-বাদর খুনিদেরদেরকে বাঁচাতে দেশব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তারা পুলিশের উপর অতর্কিত হামলা, গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং পুড়িয়ে মানুষ হত্যার মতো সহিংসতাও চালিয়ে যাচ্ছে।
সর্বশেষ গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে একাত্তর সালের দীর্ঘ ৯ মাসে মানবতাবিরোধী হত্যা, লুণ্ঠন, নারীদের সম্ভ্রমহানিসহ ৫৩ ধরনের অপরাধের মামলায় মাও. সাঈদী ওরফে দেইল্লা রাজাকারকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছে।
রায় ঘোষণার পরপরই সন্ত্রাসী জামাত-শিবির ক্যাডাররা সারা দেশব্যাপী ইতিহাসের নজীরবিহীন সংঘর্ষ, হত্যা, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটাচ্ছে। অথচ এসব যালিম ও কুখ্যাত সন্ত্রাসী মইত্যা, মইজ্জা, দেইল্লা, গো’আযম, কসাই মোল্লা ও বাচ্চু রাজাকাররাই ’৭১-এ এদেশের ৩০ লক্ষ বাঙালিকে নির্দয়ভাবে শহীদ করেছিল। প্রায় ৫ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহরণ করেছিল। এক কোটিরও বেশি মানুষের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে সর্বস্বহারা করেছিল। লুণ্ঠন করেছিল নিরপরাধ সাধারণ মানুষের ধন-সম্পদ।
অতএব, দেশবাসীর চরম ঘৃণার পাত্র এসব কুলাঙ্গার যুদ্ধাপরাধী রাজাকার, আল-বাদরদের মধ্যে যাদের রায় মৃত্যুদন্ড ঘোষণা দেয়া হয়েছে তাদের অবিলম্বে ফাঁসি দিয়ে অবশিষ্ট দেশদ্রোহী যুদ্ধাপরাধী ধর্মব্যবসায়ী রাজাকারদেরকে একইভাবে মৃত্যুদ- কার্যকর করা হোক। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।