আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জাপানে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতের নারী কেলেঙ্কারি!

mojnu@ymail.com

জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত একেএম মজিবুর রহমান ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে অপসারণের দাবি জানিয়েছে তার সাবেক সোস্যাল সেক্রেটারি কিয়োকো তাকাহাসি ও রিসিপসনিস্ট রিজা ইয়োশিদা। তাদের পক্ষে একজন আন্তর্জাতিক আইনজীবীও নিয়োগ করা হয়েছে বলে তারা জানান। এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে। এদিকে, মারইয়ামা নামে একজন আইনজীবী তাদের পক্ষে আদালতে লড়বেন বলেও জানা গেছে। অভিযোগকারীরা জানান, মজিবুর রহমান ভূঁইয়াকে দ্রুত তার পদ থেকে অপসারণ না করা হলে আন্তর্জাতিকভাবে তাদের বক্তব্য তুলে ধরা হবে।

বিষয়টি আরো সুষ্টভাবে সম্পন্ন করতে আমরা ইতিমধ্যে একজন আন্তর্জাতিকভাবে আইনজীবী নিয়োগ করেছি। এ ব্যাপারে মামলাও দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মজিবুর রহমান ভূঁইয়া ২০১০'র ১৩ আগস্ট জাপানের রাষ্ট্রদূত হিসেবে যোগদান করেন। তিনি স্ত্রীকে পাগল আখ্যায়িত করে দেশে রেখেই কর্মস্থলে যোগ দেন। সেখানে তিনি ভিসা সেকশনে ১০ বছর ধরে কর্মরত মিস রিজা ইয়োশিদাকে রিসিপসনিস্টের পরিবর্তে তার সোস্যাল সেক্রেটারি হিসেবে নিয়োগ দেয়ার চেষ্টা করেন।

কিন্তু মজিবুর রহমানের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য জানতে পেরে রিজা বেশ কয়েকবার তার এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। এতে ব্যর্থ হয়ে মজিবুর রহমান পরে মিস কিয়োকো তাকাহাসি নামে এক সুন্দরী তরুণীকে তার সোস্যাল সেক্রেটারি হিসেবে নিয়োগ দেন। যোগদানের প্রথম দিনেই সেক্রেটারির কাছে তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের প্রমাণ তুলে ধরেন। সুন্দরী তরুণী কিয়োকো তাকাহাসিকে তার রুমে জড়িয়ে ধরে চুমু খান ও আলিঙ্গন করেন। তবে, এতে ওই তরুণী প্রাথমিকভাবে কিছুই মনে করেননি।

তিনি ভেবেছেন এটাই হয়তো বাংলাদেশের সংস্কৃতি। পরে রাষ্ট্রদূত মজিবুর রহমান ওই তরুণীকে নিয়ে পার্কসহ বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণে যান। ওই সময়েও তিনি বেশ কয়েকবার কিয়োকোকে জড়িয়ে ধরে চুমো খান। এক পর্যায়ে কিয়োকো বিষয়টি কয়েকজনের কাছে খুলে বললে তিনি জানতে পারেন, এটা বাংলাদেশি সংস্কৃতি নয়। এটা আসলে রাষ্ট্রদূতের চারিত্রিক সমস্যা।

কিয়োকো বিষয়টি নিয়ে মজিবুর রহমানের সঙ্গে কথা বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মজিবুর রহমান ২২ এপ্রিল অবৈধভাবে সোস্যাল সেক্রেটারির পদ থেকে কিয়োকোকে বরখাস্ত করেন। কিয়োকো বলেন, যখন বুঝলাম মি. মজিবুরের আদর অন্যান্য বিদেশির সংস্কৃতিসুলভ সৌজন্যতা নয়, তখন ভয়ে আমার পেটে ব্যথার মতো শুরু হয়েছিলো। এ ব্যাপারে জানার জন্য রাষ্ট্রদূতের ০০৮১৮০৩৫০৬৩৬৬৩ নম্বরে টেলিফোন করা হলে তিনি বারবার কেটে দেন। এদিকে, মুজিবুর রহমানের এসব অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লোকাল স্টাফ এসকে শমসের আলী খোকন ও মো. জাহিদুল ইসলাম সহায়তা করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগ রয়েছে, জাপানের রাষ্ট্রদূত হিসেবে যোগদানের পরপরই মজিবুর রহমান বিভিন্ন অসামাজিক ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। তার এহেন কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। জাপানে অবস্থানরত বাংলাদেশের শুভাকাঙ্ক্ষী মহল তার অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ফিরিস্তি তুলে ধরে দেশের ভাবমূর্তি রক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান। এদিকে নারী কেলেঙ্কারি ও বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ থাকায় একেএম মজিবুর রহমান ভূঁইয়ার জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হওয়ার যোগ্যতা নেই বলে অনেক বাংলাদেশি অভিমত ব্যক্ত করেছেন। সূত্র: Click This Link


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।