কোনো প্রকার জ্বলানী ছাড়াই চলছে মোটর সাইকেল ভাবা যায়। কিন্তু এই অসম্ভব কাজকেই সম্ভব করেছে ফরিদপুরের মধুখালীর আলী জোবায়ের (২৮) নামের এক লেদ মিস্ত্রি। সামনে পেছনে সৌর প্যানেল বসিয়ে মোটর সাইকেল চালানোর পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন তিনি।
জোবায়েরের বিস্ময়কর এই উদ্ভাবন নিয়ে উপজেলার গ্রামের সর্বত্র এখন চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। জ্বালানী তেলের দুঃসহ দাম থেকে মুক্তির আশায় স্বস্তির ছায়া নেমে এসেছে জনপদটিতে।
সমগ্র উপজেলার বিভিন্ন স্কুল কলেজে প্রদর্শনী চলছে জোবায়েরের মোটর সাইকেলটির।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সামনে পেছনে সৌর প্যানেল লাগানো মোটরসাইকেলকে ঘিরে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভীড়। মোটরসাইকেলটি তৈরিতে দুইটি সৌর প্যানেল ও ১২ ভোল্টের তিনটি ছোট ব্যাটারি মোট ৩৬ ভোল্টেই চলছে মোটরসাইকেলটি।
কোনো গিয়ার ফাংশন নেই, এক হর্স মটর, চেইন একটি, দুইটি ৩.৫০-১০ সাইজের গাজী টায়ার, দুই চাকাতেই ব্রেক, কন্ট্রোল বক্স, সমগ্র বডি প্লেন সিট দিয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে। একই সঙ্গে দুই থেকে তিন জন যাত্রী মটরসাইকেলে চড়তে পারবেন এবং ঘন্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারবে এই যানটি।
সবচেয়ে আশ্চর্যজনক ব্যাপার হচ্ছে সম্পূর্ণ গাড়িটিই দেশিয় যন্ত্রপাতি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। মটরসাইকেলটি তৈরি করতে সময় লেগেছে প্রায় মাস তবে এখন তিনি ১৫ দিনেই একটি মোটর সাইকেল তৈরি করতে পারবেন বলে জানান উদ্ভাবক জোবায়ের।
জোবায়ের আরো জানান, এই মোটর সাইকেল তৈরিতে তার খরচ হয়েছে ৩৫ হাজার টাকা। তবে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকায় এই মটরসাইকেল তৈরি করা সম্ভব।
মোটরসাইকেলটির উদ্ভাবক আলী জোবায়ের তার উদ্ভাবিত সৌর মটরসাইকেল সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, কৌতুহল ও জ্বালানী তেলের অতিরিক্ত দামের কথা বিবেচন করে এই পরিকল্পনাটি মাথায় আসে।
কিন্তু তিন বছর আগে তার সমস্ত যন্ত্রপাতি আগুনে পুড়ে যাওয়ায় তখন আর হয়ে উঠেনি। এখন সুযোগ আসায় এটি তৈরি করেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।