যে মুখ নিয়ত পালায়......। । বাংলাদেশের অনলাইন নিয়া একটা ব্যাপার লক্ষ করলাম। আমার অবজারবেশন ভুল ও হইতে পারে।
ব্লগে- অনলাইনের আগ্রাসী কিছু নাস্তিক আছেন।
তারা দেশের বাইরে থাকেন। ভালো চাকরি বাকরি করেন। ধুম প্রতিষ্টিত বলা যায়। এরা বাংলাদেশ রে উন্নত বৈদেশ এর মত প্রগ্রতিশীল দেখতে চান হয়ত। এজন্য তারা শুরু করেন ব্লগে ধর্ম রে আক্রমন।
বুঝা যায় ধর্মই হল সব দোষের মুল। এই ধর্ম বস্তুরে তারা এমনভাবে বানানি দেন যে ধর্মের প্রাণ থাকলে নিজেই বাংলা-অনলাইন থেকে পালাইত।
তারা শিক্ষিত। অনেক পড়ুয়া। তাদের লেখার শক্তি, স্যাটায়ার করার ক্ষমতা অনেক ভালো স্বভাবতই।
ফলে কিছু লোক তাদের লেখা পছন্দ করে। আর ব্লগের মৌলবাদি থেকে শুরু করে নিরীহ ধর্ম পালনকারীদের অনেকে গিয়া প্রতিবাদ জানান। তো মোটামোটি তারা হয়ে যান হিট।
এই হিট অবস্থা দেইখাই কিছু উঠতি তরুন মনে করে আমারো হিট হওয়া চাই। সেও শুরু করে ধর্ম বিদ্বেষী লেখা।
ধর্মের কিছু সাধারন ব্যাপার আছে- বিভ্রান্তিকর। যেগুলা নিয়া একটা স্কুলের ছেলেও কথা বলতে পারে। তারা এইগুলা নিয়া কথা বলে নিজেরে সক্রেটিস, আরজ আলী মাতুব্বর এইসব বড় ব্যাক্তিদের নতুন সংস্করন ভাবা শুরু করেন।
আর আমাদের দেশের কি অবস্থা? দেশ এখন অনেক পিছায়া আছে। এখনো লোকজন ফটোশপে এডিট করা ছবি দেখে চাঁদে মানুষের মুখ দেখা গেছে বিশ্বাস করে।
এই দেশে মৌলবাদ থাকব স্বাভাবিক।
এই মৌলবাদিদের আক্রোশের শিকার হয়/হচ্ছে এদেশের হিটাকাঙ্খি কিছু তরুণ।
কোন লেখার জন্য কাউকে আক্রমণ করা খারাপ। লেখার জবাব লেখায় হোক। এটা শিক্ষিত লোক মাত্রই স্বীকার করবেন আশা করি।
তবে দেশের অবস্থা টা বুঝতে হবে তো। আপনি যদি সিলেটের বন্দর পয়েন্টে দাড়াইয়া ধর্ম বিদ্বেষী একটা ভাষণ দেন লোকজন প্যাদানী দিবেই। এরা তো ভাই যুক্তি বুঝবে না- ধর্ম নিয়া আপনার উচ্চস্তরের(!!) স্যাটায়ার বুঝবে না।
আরো ব্যাপার আছে। ধরেন কোন ধর্ম বিদ্বেষী নাস্তিকের সাথে কারো ব্যাক্তিগত শত্রুতা।
তো সে কিছু মৌলবাদি রে তার পোস্ট গুলা দেখায়া ক্ষেপায়া তুলে যেকোন গর্হিত কাজ করায়া ফেলতে পারে।
সব বুঝেন আর এইটা কেন বুঝেন না সমাজ পরিবর্তন একটা গ্রামার মেনে হয়। হুট করে সমাজ পরিবর্তন করতে গেলে হিতে বিপরীত। এইটা মানুষ নিয়া কারবার।
মুল কথায় যাই, হিটাকাঙ্খী তরুণ আহত বা নিহত হইবার পর ঐ বৈদেশী নাস্তিকেরা কয়েকটা পোস্ট লিখেন।
মৌলবাদের গোষ্টি উদ্ধার করেন। অবশ্য তাতে এই দেশের মৌলবাদের কোন বাল ও হয় না।
যার গ্যাছে সেই শুধু বুঝবে। যার পোলা মারা গেছে সেই মা ই বুঝবে।
তাই সবাইরে বলি, ভাই, এই নেটের দুনিয়া- অনলাইন দুনিয়া এইটা এমন কিছু না যে হিট হতেই হবে।
হিটাকাঙ্খা আপনার জীবন ব্বিপন্ন কইরা তুলতে পারে। ভার্চুয়াল দুনিয়া হইল ঠুনকো একটা ব্যাপার। এইটারে এত সিরিয়াসলি না নিয়া নিজের লাইফ রে সিরিয়াসলি নিতে পারেন। কামে দিব।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।