স্ত্রীকে হত্যা করে গাড়িতে লাশ নিয়ে রাজধানীতে ঘুরে বেড়িয়েছে স্বামী। কিন্তু বিধিবাম পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয় ঘাতক স্বামী। নিহত গৃহবধূর নাম সৈয়দা কামরুন নাহার নাদিয়া (৩৫)। স্বামী শিকদার শফিকুর রহমান ওরফে রেজাউল (৩৮) এবং তার গাড়িচালক রবিউল (২৫)-কে গ্রেপ্তার করেছে শাহবাগ থানার পুলিশ। আটক করা হয়েছে রেজাউলের প্রাইভেট কার।
যার নম্বর ঢাকা মেট্টো-ক ১১-২৮৯১। এ গাড়িতে নাদিয়াকে এমনভাবে বসিয়ে রাখা হয়েছে যেন কোন অসুস্থ রোগী। তার শরীর চাদর দিয়ে ঢাকা ছিল। পুলিশ জানায়, সকাল ১১টার দিকে রেজাউল রায়ের বাজারের একটি বাসায় তার স্ত্রীকে খুন করে। পরে লাশ গুম করার জন্য রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ায়।
রাত ৮টার দিকে শাহবাগস্থ পুলিশ কন্ট্রোল রুমের সামনের রাস্তায় রেজাউলের নিজ গাড়ি থেকে নিহতকে উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় দু’জনকে। পুলিশের রমনা জোনের এসি সালমা সৈয়দ পলি রাত সাড়ে ৯টার দিকে জানান, রেজাউলের কথাবার্তায় চরম অসংলগ্নতা রয়েছে। লাশ এখনও গাড়িতে বসানো অবস্থায় আছে। সুরত হাল করা হলে বোঝা যাবে নাদিয়াকে কিভাবে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি জানান, নিহতের ভাই সারা দিন ধরে রেজাউল এবং নাদিয়াকে খুঁজছিল। ফোন ধরে রেজাউল তাদের অবস্থান একেকবার একেক জায়গার কথা জানান। রাতে তাদের অবস্থান মৎস্য ভবন এলাকায় নিশ্চিত হয়ে সুজন পথচারীদের সহায়তায় রেজাউলের গাড়ি ধাওয়া করে। পরে পুলিশের সহায়তায় শাহবাগ মোড়স্থ পুলিশ কন্ট্রোল রুমের সামনের রাস্তা থেকে গাড়িসহ ঘাতকদের আটক করা হয়। নাদিয়ার এক মাত্র ভাই সুজন জানান, আমার বাবা-মা আগেই মারা গেছেন।
বড় ভাই কিছু দিন আগে মারা গেছেন। এ বোনটিই আমার এক মাত্র স্বজন। আমার অমতে পালিয়ে বোনকে প্রায় ৬ মাস আগে রেজাউল বিয়ে করেছে। এরপর থেকে সে নাদিয়াকে প্রায়ই নানাভাবে নির্যাতন করত। তার নির্যাতনেই আমার বোন মারা গেছে।
গ্রেপ্তারকৃত রেজাউল জানান, আমি নাদিয়াকে হত্যা করিনি। আমরা দু’জনেই একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। আমি বরিশালের একটি ওয়েল কোম্পানিতে চাকরি করি। পুরো সপ্তাহ সেখানে থাকি। প্রতি বৃহস্পতিবার সস্ত্রীক ঢাকায় আসি।
একইভাবে গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় এসে রায়েরবাজারস্থ মায়ের বাসায় উঠি। রোববার সকাল ১১টার দিকে নাদিয়া অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তির চেষ্টা করি। আমার কাছে টাকা না থাকায় নাদিয়াকে গাড়িতে উঠিয়ে ড্রাইভারকে বলি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে। আমি টাকার জন্য মতিঝিলের একটি ব্যাংকে যাই। পরে জানতে পারি নাদিয়া মারা গেছে।
লাশ কি করব বুঝতে না পেরে এদিক-সেদিক ঘুরাফেরা করতে থাকি। অপর গ্রেপ্তারকৃত রেজাউল জানায়, সকাল ১১টার দিকে রেজাউল আমাকে ফোন করে বাসায় আসতে বলে। বাসায় গিয়ে দেখি নাদিয়া বাথরুমের সামনে মেঝেতে পড়ে আছে। এ সময় রেজাউল তার আত্মীয়দের সঙ্গে বিষয়টি শেয়ার করে। তারা তাকে লাশ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে।
রেজাউল বলে মরা মানুষ হাসপাতালে নিয়ে কি হবে?
সুত্র
[link|http://www.mzamin.com/index.php?option=com_content&view=article&id=8119:2011-04-24-16-54-47&catid=49:2010-08-31-09-43-32&Itemid=83|
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।