আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লোটাস কামালের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কাছে নালিশ

সমাজের সব ভাইরাস থেকে মুক্তি চাই, জীবন এর এই ভাইরাস গুলো জীবন টা কে স্থবির করে দিতেছে

বিসিবির সভাপতি আহম মোস্তফা কামালের (লোটাস কামাল) বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কাছে নালিশ করবে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। বিশ্বকাপ ক্রিকেটের টিকিট নিয়ে অনিয়ম, বিশ্বকাপের জন্য বরাদ্দ দেওয়া ৩০৫ কোটি টাকার হিসাব না দেওয়া ও সংসদীয় কমিটিকে উপেক্ষা করায় কমিটি এ নালিশ জানাবে। বৃহস্পতিবার কমিটির সদস্যরা সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেন। বৈঠকে বলা হয়- এর মাধ্যমে বিসিবি সভাপতি আহম মোস্তফা কামাল (লোটাস কামাল) সংসদীয় কমিটিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছেন। এদিকে কমিটির এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পোষন করেছেন যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী আহাদ আলী সরকার।

কমিটির সভাপতি মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এ বিষয়ে বলেন, ‘বিষয়গুলো প্রধানমন্ত্রীকে মৌখিকভাবে জানানোর ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। কমিটির পক্ষ থেকে বিশ্বকাপের জন্য বরাদ্দ দেওয়া ৩০৫ কোটি টাকার হিসাব চাওয়া হয়েছে। ’ এদিকে পরপর কমিটির বেশ কয়েকটি বৈঠকে বিসিবি সভাপতি উপস্থিত না হওয়ায় কমিটির সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তবে সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবারের বৈঠকে উপস্থিত হতে পারবেন না জানিয়ে আগেই কমিটিকে চিঠি দেন বিসিবি সভাপতি। চিঠিতে তিনি কারণ হিসেবে বলেন, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকায় বৈঠকে উপস্থিত হতে পারছেন না।

এদিকে কমিটির বেশ কয়েক সদস্য বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনালে লোটাস কামালের পোশাক নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, ওইদিন তিনি সাদামাটা একটি টি শার্ট পরেছিলেন। এতে দেশের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। বৈঠকে বিসিবির নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির কথা তুলে ধরা হয়। বলা হয়, বিশ্বকাপের জন্য বরাদ্দ দেওয়া টাকার হিসাব দিতে চাইছে না বিসিবি।

এতে স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এছাড়া বিশ্বকাপ ক্রিকেট উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতীয় শিল্পীদের এনে ট্রাইনেশন বিগ শো-এর জন্য বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের ভাড়া পরিশোধ না করাসহ ১০ কোটি টাকা মূল্যের অ্যাথলেটিক ট্র্যাক নষ্ট করার ব্যাপারে জানতে চেয়েও বিসিবির কোনো জবাব পায়নি মন্ত্রণালয়। বিষয়টি সংসদীয় কমিটিকে জানাতে বলা হয়েছে। বৈঠকে অভিযোগ করা হয়, বিশ্বকাপ ক্রিকেট চলার সময় জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের কর্মকা- যথাযথভাবে মনিটরিং করেনি বিসিবি। বিশ্বকাপের দুটি ম্যাচে বাংলাদেশ দলের বাজে পারফরমেন্স নিয়ে আলোচনার সময় জানানো হয়- ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের আগের দিন ক্রিকেটাররা গভীর রাত পর্যন্ত কনসার্ট দেখেছেন।

আর দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের আগে তারা উত্তরার একটি দোকানে কাবাব খাওয়ার দাওয়াতে অংশ নেন। আর ওই কাবার খেয়ে খেলার আগের দিন রাত থেকেই তারা পেটের পীড়ায় ভুগছিলেন। এসব ব্যাপারে বিসিবির নজরদারি ছিলো না। একইসঙ্গে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের টিকেট নিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ আনেন কমিটির সদস্যরা । তারা বলেন, এসবের সঙ্গে বিসিবির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জড়িত।

এসময় কমিটির এক সদস্য বলেন, তিনি নিজে কালোবাজার থেকে প্রেসিডেন্ট বক্সের ৬টি টিকেট কিনেছেন। নিয়ম অনুযায়ি এসব টিকেট বাজারে বিক্রি হওয়ার কথা নয়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.