আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আসুস নেক্সাস ৭ ৩২জিবি (ডাটা সিম)রিভিউ

বাধঁ জোড়ার আওয়াজ > With Great Power, Comes Great Responsibility আগের কোন এক পোষ্টে এন্ড্রয়িড টেবলেট ৭ ই. এর এপস নিয়ে লিখেছিলাম আর সাথে কথা দিয়েছিলাম নেক্সাস ৭ এর রিভিউ লেখব । তারই উদ্দেশ্যে গুগল নেক্সাস ৭ ৩২জিবি সিম (ডাটা ট্রান্সফার শুধুমাত্র) নিয়ে আজকের পোষ্ট । এর ইতিবৃত্ত নিম্নে .... আমার কাছে এটি ৪.১ ভার্সনের অপারেটিং সিস্টেম(এন্ড্রু) আসে । ধীরে ধীরে গুগলের নিজস্ব প্রডাক্ট হওয়ায় দ্রুত আপডেট নেয় । এতে অবশ্যই ডাটা খরচ হয় ।

বর্তমানে স্ট্যাবল ভার্সন ৪.২.২ এর + পয়েন্ট গুলো হল । § দ্রুত কাজ করার ক্ষমতা, কোয়াড কোর না চতুর্গুণ প্রসেসর ১.৩ গি.হা. করটেক্স এ৯ § বর্তমান যুগের জন্য দাম অনুযায়ী সুপার লাইট মাত্র ৩৪৭ গ্রাম § বহনযোগ্যতা চরম, প্যান্টের পিছনে নিয়েই ঘুরতে পারেন § বর্তমান সময়ের জন্য উপযোগী টেগরা ৩ গ্রাফিক্স চিপ, যা দিয়ে এইচ ডি গেইম বা মুভির পূর্ণ মাত্রায় স্বাদ § দীর্ঘ সময় চালানোর উপযোগী, যা ৯ ঘন্টা ইন্টারনেট সার্ফ করার স্বাদ দিবে । § দ্রুত রুট ও আনরুট (এক ক্লিকেই সাবার) ও প্রয়োজনীয় ও এস এ সংযোজন বিয়োজন । § গুগলের নিজস্ব প্রডাক্ট বিধায় আপডেট ও সার্ভিস আগে দিবে অন্য টেব গুলির তুলনায় এর - পয়েন্ট গুলো হল । / ফিক্স ফোন মেমোরী, তার মানে এস ডি কার্ডের সুবিধা নাই, ক্লাউড বা ইউ এসবি বা এক্স. হার্ডডিস্কই ভরসা ।

/ টেলিফোন করা সম্ভব নয়, তবে রুট ও হ্যাক করে করা সম্ভব হতে পারে ভবিষ্যতে কিন্তু ডাটার মাধ্যমে স্কাইপে কল বা ইত্যাদি করা সম্ভব । / পিছনের ছবি তুলার ক্যামেরা নাই । যদিও ফ্রন্ট ক্যামেরা (১.২ মে.পি.)আছে । / আসুস এর পার্টস সাপোর্ট বা accessories খুব দুবর্লভাবে দিবে বা দিচ্ছে । কারন এর থেকে হাইকনফিগ গুলিকে তারা প্রাধান্য দিচ্ছে এখন ।

তবে কিছু সার্বজনীন সাপোর্টকারী accessories গুগল নেক্সাসে ৭ এ সহজেই ব্যবহার করা যাচ্ছে । বর্তমানের আলোকে বলা , ভবিষ্যতে পরিবর্তনযোগ্য এই পয়েন্ট । / বর্তমানে ওটিজি ক্যাবল দিয়ে অন্য কিছু কানেক্ট এর সময় সহজে চার্জ করা যাচ্ছে না । তবে এর সাপোর্টেড স্টেপ পাওয়া গিয়েছে, তবে সরল ও সহজলভ্য নয় বিধায় একে মাইনাস হিসেবেই দেখানো হয়েছে । যা বলার বলে ফেললাম মনে হচ্ছে ।

এগুলো তো গুগল থেকেও পাওয়া যায় । কিন্তু এগুলো শেষ না দিয়ে প্রথমেই দিলাম যাতে পূর্বেই চিন্তা বা বুঝতে সুবিধা হয় । এবার যাই আরো ডিপলি । ক্রয়ের পর প‌্যাকেট সহ এটি যেরকম এটি কর্ণিং তথা গড়িলা গ্লাস এর হলেও কেমনে কেমনে জানি একটা ছোট্ট স্ক্র্যাচ পড়ে গিয়েছে ! সম্ভবত আমার জিওটা এর উপর ঢিল দিয়েছিলাম । তবে স্ক্যাচ টাই এমনই স্ক্র্যাচ যা খালি চোখে দেখাই যাচ্ছে না ।

একদিন খাবার এর টেবিলে রোদের ঝলকানি আসলে এন্ড্রু পেডকে দূরে রাখতে গিয়েই হঠাত খেয়াল হল । খুবই একটি অস্বচ্ছ দাগ যা সহজে বুঝাই যায় না । আর অনুভূতি করা তো দূরের কথা । সুতরাং ড্রপ টেস্ট বা স্ক্র্যাচ এ পাস দিয়ে দিলাম । এরপরই আসি মুভি কোয়ালিটির ক্ষেত্রে ।

LED-backlit IPS LCD capacitive touchscreen, ১৬ মি. কালার সুতরাং বুঝতেই পারছেন কিন্তু একটা ফ্যাকড়া রয়ে গিয়েছে । আমার কাছে অন্ধকার বা আলোতে এর উজ্জ্বলতা সিস্টেম থেকে ০ তে নিয়ে আসলেও আমার কাছে দিনের আলোর মতই ব্রাইট লাগে ! আর একে অফ করার পদ্ধতি পেলাম না প্রথমে । যদিও অনেক ডার্ক করার মত আলাদা এপিকে রয়েছে যা আদতে স্ক্রীনকে ডার্ক করে কিন্তু ব্যাটারি সেইভ করে আলোর পরিমান কমায় না । পরে আরেকটা এপিকে অনেক ফোরাম ঘুরে ইনস্টল করলাম কাজে দিল কিন্তু স্ট্যাবল মনে হল না । ৯ ঘন্টার ব্লগিংকে টেনে ১২ বা ১৬ ঘন্টা করা টাফ কিছু হবে না মনে হয়।

এর সিস্টেম টুইক করার জন্য আলাদা ভাল কাস্টম স্ট্যাবল রম আছে যা স্টক রম বা ক্রয়ের সময় সরবরাহকৃত রম বা অপারেটিং সিস্টেম থেকে উন্নত । তবে এর কিছু মাইনাস বা দূবর্ল দিকও রয়েছে, যেহেতু শুধু রিভিউ তাই এর কাস্টম রম এর বর্ণনাতে যাচ্ছি না । ৪ ঘন্টা মিনিমাম একটু হেলে দুলে সর্বোচ্চ ৬ ঘন্টা গেমানো যায় । মুভির ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য । তবে এইগুলা টানা কাহিনী বললাম নরমালি ২৪ ঘন্টা যাবে ! এমনিক এর মধ্যে গেইম,মুভি,ব্লগ,এপসগুতাগুতি কারবার সহ।

আমার ২ দিনও দিব্যি গিয়েছে ! কেমনে যেন ? ! যদিও এটি capacitive touchscreen তবুও মনে হচ্ছে এটি আমার নখের স্পর্শেও কাজ করে । এটা সৌভাগ্য না দূর্ভাগ্য জানি না । কারন এই ধরনের টাচ স্ক্রীন নখের আচরে চলার কথা না তবে কাজেরই । আমার পেন্সিল এর রাবার এর মাথা দিয়ে কলম কি বোর্ড এর কাজ চালানো যায় । বর্তমানে ৩৪০ গ্রামে ৩২ জিবি তাও আবার ট্যাব এর সুবিধা সহ এত সস্তা দামে সম্ভব নয় ।

এর কাছাকাছি কনফিগ(অর্ন মার্কের টেব) গুলিও ভারী , গ্যালাক্সী ব্যতীত । এর বহনযোগ্যতা চরম, প্যান্ট বা জ্যাকেট এ নিয়ে ঘুরাঘুরি । তবে বাংলাদেশে এই সুযোগটা নাই, ছিনতাই একটা দৈনিক ঘটনা মাত্র । 1 GB DDR3-SDRAM আর রেম নিয়ে কিছু বললাম না, কম্পু বোদ্ধারা ভালই বুঝেন । কিন্তু সিস্টেম এর অর্ধেক রেম সর্বদাই ব্যস্তই দেখি ! কিন্তু এতে আমার তেমন সমস্যা করে না, এগুলা কাটিয়েই ৮ ঘন্টা ব্রাউজিং চলে ।

টেগরা ৩ চিপ(Quad-Core-Prozessor mit 1,3 GHz) এ Nvidia GeForce ULP এর 416 MHz সুতরাং ভেঙ্গে বলার প্রয়োজন মনে করছি না । বর্তমানে ভারী আর নান্দিক গ্রাফিক্স এ টেব এর গেমিং এ বেস্ট সাপোর্টেড ডিভাইস । ইউ টিউব এ দেখুন ছোট উদাহরন বর্তমানের আধুনিক এইচডিএমআই পোর্ট নাই আর ইউএসবি ৩ এর পোর্টও নাই । প্রবলেম নাই কারন আমার জিনিস পত্র এখনও পোর্ট ২ তেই আছে । সুতরাং এটা কোন ফ্যাক্ট না ।

তবে ভবিষ্যতে এইচডি এম আই কে মিস করব । কিন্তু ব্লুটুথ ও ওয়াইফাই এর পাশাপাশি এনএফসি বা Near Field Communication হয়ত পুশিয়ে দিবে । তবে এর বর্তমান কোন কার্যকারিতা দেখছি না ব্যবহারের । অবশ্য, ওয়াইফাই টু ওয়াইফাই ট্রান্সফার পদ্ধতিটা খুবই কাজের । জাভা সাপোর্ট করে না আর ফ্ল্যাশও নয় তবে ৪.২.২ এর আগে পর্যন্ত ম্যানুয়েলী ইনস্টল করে ফ্ল্যাশ যোগ করেছি ।

৪.২.২ আপডেট এ ডিএক্টিভেট করে দেয় তবে কাস্টম রম ব্যবহার করে রিএক্টিভেট সম্ভব অথবা মুভি দেখার জন্য ফায়ার ফক্স বা ফ্ল্যাশ সাপোর্টকৃত ড্রয়িড ব্রাউজার গুলিতেও চলে তবে স্ট্যাবল নয় । এইচটিএমএল৫ সম্ভবত ভবিষ্যত ! 720p এর ভিডিও রেকর্ড করা যায় । ভিডিও কল অবশ্যই করা যায় । গুগল টক বা স্কাইপে বস জিনিস । তবে ইয়াহু ভিডিও কলিং এর সাপোর্ট এখনও দেই নি ।

আপন কেউ নাই, আর সময়ও নাই, মেয়ে বান্ধবী থাকলে চিন্তা করা যেত , তাই কল করে টেস্ট করা হয় নাই । এটা যেহেতু ছবি তুলার ক্যামেরা নয় আর কথা বলার জিনিস নয় তাই একে ফোনের মত বা ক্যামেরার সুবিধার মত ব্যবস্থা না থাকলেও চলবে । ফ্রন্ট ক্যামেরার ১.২ মে. পি. যথেষ্ট মনে করছি । যদিও সেমসাং তাদের ক্ষেত্রে ভিন্ন চিন্তা করেছে । তবে লুকিয়া বা অলক্ষ্যে পিছনের ক্যাম দিয়ে কারউ ছবি তুলা যে অপরাধ তাকে গ্রহন করেই নেক্সাস ৭ এই সুবিধা দেয় নি ।

জিপিএস সুবিধা আছে ২জি ৩জি নেটওয়ার্ক এর সুবিধা দিয়েছে তবে জিএসএম সুবিধা বা কল করার সুবিধা দেয় নাই, শুধু ডাটা ব্যবহার করা যাবে ! কিন্তু মজার ব্যাপার হল এটিতে জিএসএম কল করা সম্ভব সব ধরনেরই হার্ডওয়্যার সাপোর্ট আছে । এস এম এসও সেই মোতাবেকই নাই । তাই বলে আমাদের এন্ড্রু গিক বা ঝানুরা বসে নাই , আগামী কয়েক মাসে বা বছরের শেষে এর উপর আমরা একটা ফলাফল পাব কিভাবে একে সাধারন ফোন এর মত ব্যবহার করা যায় । যদি ডায়াল পেড নাও থাকে , একটা বানিয়ে নিব । যদি এর নন রিমুভেবল ব্যাটারী নামক কানাঘুষা আছে কিন্তু আমাদের ড্রয়িড কাগুরা এর গুষ্ঠি উদ্ধার করে আরেকটা ব্যাটারী রিপ্লেস করে দেখিয়ে দিয়েছে ।

এর সাথে সফলভাবে ১ টেরা হার্ড ডিস্ক ও ইউএসবি ৮ জিবি সংযুক্ত ও রিড করা হয়েছে । মোটামোটি ফাস্ট বলা চলে । আলাদা ওটিজি ক্যাবল লাগে এর জন্য । ঐটার বদৌলতে মাল্টি ইউএসবি পোর্ট তৈরী করে কি-বোর্ড ও সংযুক্ত করা সম্ভব, জয়স্টিক ও মাউস ! জয়েস্টিক ওটিজি ক্যাবল এ সংযুক্ত অবস্থায় চার্জ এমনকি লিনাক্সের উবুন্টু ও এস পর্যন্ত ইনস্টল করা যায় , তবে এর বড় সড় সীমাবদ্ধতাতে ভরপুর । আমার টেস্ট এ পর্যন্ত ৩০০ এর কাছাকাছি এপস কালেকশন রয়েছে ।

৩২ জিবি হলেও ২৮ জিবি ফ্রি দেখিয়েছে প্রথমে, মানে ৪ গিগার মত জায়গা সিস্টেম এর জন্য । ২৮ জিবির মধ্যে এখন ৩-৪ জিবি ফ্রি আছে মানে ২৪ জিবি ভর্তি, তাতেই স্লো মনে হচ্ছে না । একটু আটকে যাচ্ছে কারন ভিডিও ও ছবি থেকে এপস গুলিই রান করছে বেশী তাই বলে মোটেই স্লো মনে হচ্ছে না । যথেষ্ট গতি সম্পন্ন । তবে ২৪ জিবি দখল করার পরও কেমন জানি নাই নাই মনে হচ্ছে ! ৬৪ বা ১০০ আপ হইলে ভাল লাগত, বাঙালী তো আমি , খাইতে পারছি শুইতে চাই, এইটাও পাইলে ঘুমাইতে যাই একে ডার্ক সাইটে কতটুকু ভয়ানক হেল্প করা যায় তার হালকা বর্ণনা পাবেন Click This Link এখানে ।

এতে কিছু ওয়াইফাই হ্যাকিং টুলসও সাপোর্ট দিচ্ছে, যদিও প্রতিবেশীর রুটার এর কোড ভাংতে পারি নাই । তবে পথে আছি । যেহেতু ফোরাম গুলিতে কয়েকজন ভেঙ্গে ফেলার দাবী করেছে সুতরাং আমিও বাদ যাব না । প্রশ্ন করতে পারেন এইটা কোন কামের । উত্তরে বলতে পারি আমি আমার মোবাইল পড়তে নারাজ ।

খুব পিচ্চি লাগ এই টেবলেট টা আমার রিডার এর অল্টারনেটিভ যা অনেকদিন যাবত খুজছিলাম । অন্তত মোবাইল থেকে ভাল । আর ল্যাপটপ নিয়ে ফিক্সড বা হালকা ফ্লেক্সি হইতে পারি কিন্তু ট্যাবলেট দিয়ে সুপার ফ্ল্যাক্সি অনুভব করি ! ট্রেনে, ট্রামে মোবাইল এর থেকে সুন্দর করে এটাতেই পড়া সম্ভব । ডেক্সটপ পিসি এর আরেক সুবিধা ল্যাপটপ হতে পারে কিন্তু ৭ ই. ভ্রমনের জন্য ল্যাপটপ থেকে বড় সঙ্গী । তবে কিছু ট্যাবলেট পিসি ল্যাপটপের অনরূপ ব্যবহার করা যায় এইটা সম্ভবত ভবিষ্যত কিন্তু বর্তমানে সস্তায় নাই ।

এইটাই আমার ভরসা । হয়ত ৩-৫ বছরে এই ধরনের কিছু দেখব । কিন্তু ততদিনে ব্যবহারের স্বাদ থেকে তো দূরে থাকতে পারি না । আর গেমান হিসাবটা আলাদাই, অন্তত ডবল দামের মোবাইল থেকে অর্ধেক দামে গেমানোর চান্স কেন মিস করব ? যদিও এটা অপশনাল । পড়াশুনাই টার্গেট ।

ধন্যবাদান্তে Click This Link Click This Link Click This Link Click This Link গুগলী মামা ও তোমারআমার চোঙ্গা দাদা ড্রয়িড পাগলাদের উৎসর্গ করলাম । (ইউটিউব দেখতে Click This Link) ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৮ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.