সবুজের বুকে লাল, সেতো উড়বেই চিরকাল
২১ বছরর পর ৯৬ সালে আঃলিগ ক্ষমতায় আসার পর প্রথমেই যেই কাজটি করেছিল, সেটা হলো ইতিহাস বিকৃতি। তাদের কপাল ভালো। বেহুদা কাজে "বিশাল বিশাল" বুদ্ধিজীবি সুশিল নামের অপদার্থগুলি এক পায়ে খাড়াই ছিল। জো হুক্কুম বলে কাজে নেমে পড়লো। আর মিডিয়ার মিথ্যাচারের দাপটে আপাতত বেশ কি্ছু মানুষ বিভ্রান্ত হলো বটে।
২০০৭ সালে ভারত মার্কিন ষড়যন্ত্রে আওয়ামি লিগ "দুই তৃতিয়াংশ" ভোটে নির্বাচিত হবার পর শুরু হয়েছ সেই মিথ্যাচারের গতিকে আরো বেগবান করা।
গতকাল ছিল ১৭ই এপ্রিল। মুজিবনগর দিবস। এ দিনেই স্বাধীন বাংলাদেশের প্রবাসি সরকার গঠিত হয়। তাজউদ্দিনের দীপ্ত কন্ঠে ঘোষিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশের কথা।
সরকারিভাবে এই অনুষ্ঠানটি পালন করা হয়েছে। কুস্টিয়ার মেহেরপুরের সেই ঐতিহাসিক আম্রকানননে বক্তৃতা করতে গিয়ে শেখ হাসিনা ইতিহাসকে উলটো করার সুযোগটা হাতছাড়া করেননি। বলেই বসলেন, জেড ফোর্সের অধিনায়ক জিয়াউর রহমান নাকি মুক্তিযুদ্ধ করেননি। উলটো ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতা দখল করে স্বাধীনতা বিরোধীদের রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
হাসিনা কোন কচি খুকি নন।
আর স্বাধীনতার নয় মাস তিনি মা বোন ছোট ভাই সহ মাসিক ১৫০০ পাকিস্থানি রুপি মাসোহারায় আরামসে দিন গুজরান করেছেন। তার পক্ষ্যে তো স্বাধীনতা যুদ্ধের কোন কিছুই জানা সম্ভব ছিল না। তাহলে কে মুক্তিযোদ্ধা ছিল, কে ছিল না, সেটা জানলেন কি করে?
জিয়া তো শুধু জামাতকে না, আওয়ামি লিগকেও রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছিলেন। আমার মতে সেটাই ছিল সবচেয়ে বড় ভুল। আর একারনেই ভারতের দালাল হিসাবে কুখ্যাত হাসিনা রাজাকারের নাতির সাথে নিজের মেয়েকে বিয়ে দিয়ে স্বাধীনতার সোল এজেন্ট হিসাবে নিজেকে উপস্থাপনের সুযোগ পেয়েছে।
জিয়ার মন্ত্রি সভায় শাহ আজিজকে স্থান দিয়েছিলেন, এটাই বার বার হাসিনা গং রা তুলে থাকেন। অথচ স্বাধীনতার পর পুর্ণ নিরাপত্তা দিয়ে হাসিনার পিতাই কিন্তু পাকিস্থানে ও আই সি সম্মেলনে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেই কথাটা তুলতে কি হাসিনার গলায় কাটা বিঁধে?
বঙ্গবন্ধুকে অসম্মান করছি না। তবে যদি স্বাধীন বাংলাদেশের শাসক হিসাবে বিচার করা হয়, তাহলে জিয়ার কাছে বঙ্গবন্ধু হেরে যাবেন।
সেই হিংসাতেই আদালত কর্তৃক রঙ হেডেড হাসিনা আর তার পোষা কুকুরগুলি এবার কুৎসা ছড়ানোর কাজে দলবল নিয়ে নেমেছে।
২০০৭ সালের নির্বাচনের আগে সদ্য প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া কাচা মাথা আর বুদ্ধির কিছু ছেলেমেয়েকে চেতনার বড়ি গিলিয়ে পার পেয়ে গেলেও, মাত্র দুই বছরের দুঃশাসনেই সেই মাদকতার অবসান ঘনিয়ে আসছে। যতই দিন যাচ্ছে ততই আওয়ামি লিগের বুলি সর্বস্ব চেতনা আর ভারতের প্রতি নগ্ন দালালির বহিঃপ্রকাশ হওয়াতে তারা রীতিমত আতংকিত হয়ে আবোল তাবোল প্রলাপ বকছে।
বাংলাদেশের ইতিহাসে যে যাই হোক না কেন, অন্তত আওয়ামি লিগ যে কোনদিনও স্বাধীন বাংলাদেশে বিশ্বাসি নয়, তার স্পস্ট প্রমান, আঃ লিগে অবিশ্বাসি মুক্তিযোদ্ধাদের চরিত্র হননে লিপ্ত হওয়া।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।