মেহেরপুর শহরের ওয়াপদা সড়কে লিচু বাগানে আকরাম আলী (৩০) নামে যুবলীগের এক কর্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় যুবলীগের কর্মীরা মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল এলাকার সড়ক অবরোধ করেন ও দোকানপাট বন্ধ করে দেন। তাঁরা লাঠিসোঁটা নিয়ে সড়কে মহড়া দেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় শহরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) অলক কুমার দাস জানান, হাসপাতালে নেওয়ার পর যুবকের মৃত্যু ঘটে। তাঁর পেটে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। মৃত্যুর আগে জবানবন্দিতে তিনি ঘটনার বিবরণ ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত যুবকের নাম বলেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শহরের ওয়াপদা সড়কে জাতীয় পার্টির নেতা খন্দকার আমিরুল ইসলামের লিচু বাগান যুবলীগের কর্মী রিপন ও ঢাকার এক ব্যবসায়ী যৌথভাবে লিজ নেন। দুপুরে জোর করে যুবলীগের কর্মী আকরাম আলী বাগানে লিচু খেতে যান।
এ সময় রিপন ও আকরাম আলীর মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এর একপর্যায়ে আকরাম আলী লাঠি দিয়ে রিপনকে আঘাত করেন। রিপন তাঁর পকেটে রাখা ছোরা দিয়ে আকরাম আলীকে কুপিয়ে জখম করেন।
মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক জানান, জবানবন্দিতে আকরাম আলী জানান, লিচু বাগানে রিপনের সঙ্গে তাঁর কথা-কাটাকাটি হয়। তখন রিপন ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কুপিয়ে জখম করেন।
মেহেরপুর জেলা যুবলীগের সভাপতি সাজ্জাদুল আনাম জানান, আকরাম আলী যুবলীগ কর্মী ছিলেন। তাঁকে লিচু বাগানে ডেকে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনার বিচার চেয়ে যুবলীগ প্রতিবাদ কর্মসূচি দেবে।
নিহত আকরাম আলীর বাবা মুজিবুর রহমান জানান, মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে লাশের ময়নাতদন্ত শেষে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।