মেহেরপুরের কায়েম কাটামোড়, রাজনগর, বন্দর সহ ৫ টি পয়েন্টে অবরোধ কারিরা অবরোধ করে রাখে। সড়কে কাঠের গুড়ি ফেলে, আগুন জ্বালিয়ে সরকার বিরোধী বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করে অবরোধকারীরা।

এসময় তারা কয়েকটি ককটেলের বিষ্ফোরণ ঘটায়। এছাড়া কায়েম কাটা মোড়ে পুলিশ- অবরোধকারীরা মুখোমুখি অবস্থানের খবর পাওয়া যায়। প্রথম সকালে মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যলয়সহ শহের বেশ কিছু স্থানে ককটেলের বিস্ফোরন ঘটিয়েছে আবোরধ কারীরা।

আজ ভোর থেকে মেহেরপুর -চুয়াডাঙ্গা সড়কের রাজনগর, মেহেরপুর-মুজিবনগর সড়কের বন্দর মোড়  এবং গৌরিনগর এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটর নেতাকর্মীরা । মেহেরপুর-কাথুলী সড়কের কায়েম কাঁটা মোড় এলাকায় জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী তারিক মো: সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে ১৮ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা সড়ক অবরোধ করার চষ্টো করে। পূর্ব থেকে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা কায়েমকাটা মোড়ের রাজপথ দখল করে রাখে। এসময় আবোরধকারিরা ও পুলিশ পুখামুখি অবস্থান নেয়। অবরোধকারীরা আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি ককটেলের বিষ্ফোরন ঘটায় ।

তবে কেউ হতাহত হয়নি। শেষ খবর পাওয়া পর্যনত্ম এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

মেহেরপুর-মুজিবনগর সড়কের বন্দর মোড় এলাকায় জেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী ফারুক হোসেনের নেতৃত্বে  ১৮ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা অবরোধ করে। ১৮ দলীয় জোটের শতশত নেতাকর্মী দেশী অস্ত্র হাতে সড়ক অবরোধে অংশ নেয়।

মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়কের রাজনগর এলাকায় জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে সড়কে গাছের গুড়ি ও ডালপালা ফেলে ও  টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করে রাখে।

মেহেরপুর-মুজিবনগর সড়কের গৌরিনগর এলাকায় মেহেরপুর ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি'র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মাসুদ অরুন, জেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির আলহাজ্ব সিদ্দিকুর রহমান, মুজিবনগর উপজেলার জামায়াতের আমির মশিউর রহমান, সেক্রেটারী খান জাহান আলীর নেতৃত্বে ১৮ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা সড়কে গাছের গুড়ি ও আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করে রাখে। এ সময় তারা বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করে।

এদিকে অবরোধ কারীরা প্রথম সকালে মেহেরপুর ডিসি কোটের সামনে, পাবলিক লাইব্রেরী সামনে, মহিলা কলেজ মোড় সহ শহরের বিভিন্ন স্থানে ৮/১০ টি বোমার বস্ফিরন ঘটায়।

অবরোধের কারনে মেহেরপুর থেকে ছেড়ে যায়নি দুরপাল্লা ও অভ্যান্তরিন রুটের কোনো যানবাহন। বন্ধ রয়েছে সবজি বহন কারী ট্রাক গুলোও।

যে কোনো ধরনের নাশকতা এড়াতে জেলার বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত  পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে মেহেরপুর পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।  

।