. আমার নাইবা হলো পারে যাওয়া...
সাধারনত সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ ঘুম থেকে উঠে যাই। কিন্তু পয়লা বৈশাখে ঘুম ভেঙ্গেই দেখি ঘড়ির কাটা ন'টা ছুঁই ছুঁই। নিজের উপর প্রচন্ড রাগ হলো। তাড়াহুড়ো করে নাস্তা সেরে রান্না ঘরে ঢুকলাম। যদিও আগের রাতে কিছুটা কাজ গুছিয়ে রেখেছিলাম, তারপরও হাত চালিয়ে মুগডাল দিয়ে রুই মাছের মুড়িঘন্ট, রুইমাছ ভাজা, পাটশাক ভাজা, ডিম বেগুন ভর্তা করে সাহায্যকারিনী মেয়েটিকে বললাম গোসল করে নতুন কাপড় পরে সাজুগুজু যা করার তা যেন করে নেয়।
তারপর গোসলে ঢুকলাম। ঘড়ি তখন ১১টা। এদিকে মেয়েকে বলেছি সাড়ে এগারোটার ভিতর তার বাসায় পৌছে যাবো। কুম্ভকর্ণ নতুন পাঞ্জাবী পরে বেরিয়ে গেলো। ( গত রোজার ঈদে উপহার পাওয়া) গোসল সেরে আলমারী ঘেটে পুরনো একটা শাড়ী বের করে পরে নিলাম।
কেন জানিনা মেজাজটা গরম হতেই থাকলো। বাসা তালা দিয়ে বের হয়ে একটা সিএনজি নিয়ে গাট্টি-বোঁচকা নিয়ে রওনা হলাম। ব্লুবার্ড ইস্কুলের সামনে যেয়েই আটকে গেলাম। বাংলালিংক আর একটা কিসের যেন অনুষ্ঠান হচ্ছে। লাল,সাদার ভিড়ে এগুনোর কোন উপায় নেই।
প্রায় আধ ঘন্টা পরে আস্তে আস্তে কচ্ছপ গতিতে ঠ্যাঙ্গাতে ঠ্যাঙ্গাতে গিয়ে পৌছানো গেলো।
ভাতিজা পরিবার, ভাতিজি পরিবার, দুই দেবরের পরিবার এলো। মেয়ের দুই ননদ আমার আগেই চলে এসেছিলো। শুরু হলো আড্ডা, খাওয়া-দাওয়া, বাচ্চাদের হুল্লোড়। চলতে থাকলো সন্ধ্যা পর্যন্ত।
কুম্ভকর্ণ অবশ্য আগেই চলে এসেছিলো। সন্ধ্যার পরে বাসায় ফিরে বেল বাঁজাতে বাঁজাতে হয়রান হয়ে ধুমাধুম দরজায় ধাক্কা দিয়া শুরু করলাম। কুম্ভকর্ণ তাঁর নামের মাহাত্ব্য বজায় রেখে ঘুম জড়ানো এক চোখ কোনমতে একটু খুলে দরজা খুলে দিলো। পয়লা বৈশাখের কাহিনী শেষ হলো। এখন খাবারের কিছু ফটুক দেখুন।
ডিম বেগুনের ভর্তা।
পাটশাক ভাজা।
শুটকি ভর্তা।
কলার মোচা ভুনা।
আলুর দম।
সর্ষ ইলিশ।
মুড়িঘন্ট।
মুরগীর মাংস।
বাদ পড়েছে মাছ ভাজা, কইমাছ ভুনা আর ফিরনি। ওগুলোর ছবি আর তোমার সময় পাওয়া যায়নি।
তার আগেই গাপুস গুপুস শুরু।
কাঁচামরিচ, পেঁয়াজ, লেবু।
ভোজন পর্ব।
আমার লাড্ডু গোপাল।
বড় পরী।
ছোট পরী।
বিচ্ছু বাহিনী।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।