কোথাও যদি হারিয়ে আমি যাইগো কোন দিন , যেও ভুলে , আমায় যেও ভুলে
পহেলা জানুয়ারী। একটি নতুন বছর , বছরের প্রথম দিন। আমরা বাংঙালী হলেও ইংরেজী বছরের প্রথম দিনটা অনেকের কাছেই একটা বিশেষ দিন হয়ে গেছে। হবার পেছনে অনেক কারণ ও আছে। সেটা বলার জন্য আমার এই পোষ্ট না।
আমি বলতে চাই প্রায় ২৪ বছরের এই জীবনে অনেক গুলো ই ১ লা জানুয়ারী গেছে কিন্তু কোন টাই মনে গেথে নেই । কিন্তু ২০০৭ এর প্রথম দিনটা কে আমি কিভাবে ভুলতে পারি।
বাংলা , ইংরেজী কোন নবর্বষই আমার জন্য কোন কালেই বিশেষ দিন ছিল না আজও নেই। বরাবরই সাধারণ মানুষের মত থাকার চেষ্টা করি। হয়তো এভাবেই থাকব সারা জীবন।
কিন্তু ২০০৭ এর প্রথম দিনটা যেটা আবার পবিত্র ঈদুল আহযা ও ছিল আমার জীবনটাকে একটা নতুন প্রাপ্তি অথবা হঠাৎ পাওয়ার দিন বলা যায়।
৩১শে ডিসেম্বর রাত। দোকানে ব্যস্ততা থাকায় সাথীর সাথে ফোনে কথা বলার কোন সু্যোগ ই পেলাম না। রাতে যখন বাসায় ফিরলাম প্রায় সাড়ে এগারোটা বাজে। বাসায় দেখী পাশের বাসা থেকে মামা, মামী বাচ্চারা সবাই আমাদের বাসায়।
কথা বলার আর সময়ই পেলাম না। শুধু মেসেস বিনিময় হলো কিছু তাও বিলম্বিত।
১ লা জানুয়ারী ২০০৭। পূর্বপরিকল্পনা অনু্যায়ী সকাল সাত টায় আমি গ্রামের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লাম। বাসে বসে ওকে কল করেছিলাম কিনতু ও কোন কারণে রিসিফ করেনি।
হয়তো ঘুমাচ্ছিল।
পরে ও আমাকে ১০/১১ টার দিকে অনেক বার কল দিয়েছে কিন্তু আমি একটি বার ও শুনতে পাইনি ওর কল। কারণ আমার মোবাইল প্যান্টের পকেটে ছিল আর আমি চাচার প্যান্ট পড়ে মাংস কাটায় ব্যস্ত। পরে আমি মাংস কাটা শেষে যখন দেখলাম ওকে কল করার চেষ্টা করেও বিফল হলাম। কারণ নেটওয়ার্ক বিজি।
ঢাকায় ফিরতে ফিরতে প্রায় দুইটা বেজে গেল। বাসায় ফেরার পথে ও কল করতে পারলাম না, ও মোবাইল বন্ধ করেছে , রাগে অভিমানে। বাসায় ফিরে মা ছোট বো ন আমি তিনজনে মিলে রান্না সেরে খাওয়া দাওয়া গল্প গুজব করে সুন্দর একটা বিকাল কাটালাম। সন্ধ্যার দিকে পাড়ার ফোনের দোকান (আমার বন্ধুর) থেকে ওদের বাসায় কল করলাম এবং যথারীতি যা হবার মান অভিমান অনেক কথা। শেষের দিকে ও আমাকে অবাক করে দিয়ে জানাল রাতে দেখা হবে।
একটু পরে ও নানু বাসায় যাবে । রাত সাড়ে আট টায় রাজধানীর সামনে থাকতে বলল আমাকে । মাকে ফোনে জানালাম ফিরতে দেরি হবে। দোকানেই বসে রইলাম। এমন সময় আমার দুলা ভাই গ্রাম থেকে ফিরে বাসায় যাওয়ার পথে আমাকে দেখে তার বাসায় নিয়ে গেল ।
যখন আমি অস্থির ভাবে বার বার সময় দেখছিলাম , ভাইয়া বুজতে পারে আমি কোথায় যাব। সে আবার ওর কথা জানে। অনেক অনুরোধে টার বাসা থেকে বের হয়ে রাজধানী পৈাছলাম । দূর থেকেই দেখলাম ও ওর মামাতো বোনের সাথে দাড়িয়ে । মামাতো বোনকে তার বয়ফেন্ডের হাতে তুলে দিয়ে আমরা রিকশা নিয়ে ঘুরত থাকলাম।
অনেক সময় ঘুরলাম, অনেক মান অভিমান ,অনেক কথা।
এক সময় বাসায় ফেরার সময় হলো। রিকশা আবার রাজধানীর দিকে চলছে। কারও মুখে কোন কথা নেই । আমি ভাবছি ও আমার জন্য সবাইকে ফাকি দিয়ে আমাকে ঈদের শ্রেষ্ঠ উপ হার দিল আমি ওকে কি দিব।
কি দেওয়া ওকে। ভাবছি আর আমার সারা শরীর কাপছে। " এইশোন " আমার দিকে তাকাল আমি ওকে অবাক করে দিয়ে ওর গালে আমার ভালবাসার চিন্হ একে দিলাম । আর বললাম আমি তোমাকে ভালবাসি। আমার কাছে থাকা সবচেয়ে বড় উপ হার
আমি কখনো কাউকে কখনো এই উপহার দেয়নি।
কাউকে বলিনি এই কথা। আমি কিভাবে পারলাম। কোথায় পেলাম আমি এই শক্তি। তবে এটাই কি ভালবাসার শক্তি।
তোমাকে,
জানিনা তুমি কেমন আছ? কোথায় আছ? আজ আবার পহেলা জানুয়ারী এসেছে, কিন্তু আমি নেই তোমার পাশে।
তোমার কাছ থেকে অনেক দূরে। আমার দেয়া সকল কষ্ট আর ভালবাসাকে ভুলে তুমি ভাল থাক । নবর্বষের এই শুভ কামনা রইল।
আপনাদের সময় নষ্ট করার ক্ষমা প্রার্থী।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।