অ আ
'বিশ্বাসকে বিদ্রুপ করার অধিকার নাই কারো'.... এইটা কি ফতোয়া দিলেন নাকি ভাইছাব?
শোনেন.. 'বিশ্বাস' হইলো একটা ধুনফুন, আপনে, মানে বিশ্বাসের ব্যাপারীগো আবিষ্কৃত বুলশিট। কেউ যদি ব্যক্তিগত পর্যায়ে বিশ্বাস করে, সে ওইটা নিয়া লুডু খেলতে পারে, নিজের ঘরের চিপায় বইসা, অথবা মনের ঘুপচিতে নিয়া ঘুরতে পারে এই রোগ।
কিন্তু পাবলিক ডমেইন, মানে যেইখানে হরেক কিসিমের পাবলিক ঘুরাফেরা করে, সেইখানে জিহাদ মারাইতে গেলে তো পিটনা খায়া সোজা হয়া যাইতে হবে, ঠিক?
দুর্বল মানুষের বিশ্বাস থাকবেই, তার কোমড়ের জোর জ্ঞান ও দক্ষতার নয়। সবকিছু কোনো একটা অস্তিত্বের কায় কারবার, এই ধরনের দুর্বলতা তার মাঝে থাকতেই পারে।
আর কিছু ধান্দাবাজ আছে, যারা এই বিশ্বাসকে নিয়া প্যাকেজ বানায়, তার লগে এক ছটাক ছৌদি বালছাল কালছার মিশায়া 'ইছলাম' নামে বোন্দা বানায়া তারপরে হাজির হয়, হক মাওলা বইলা মাইনষেরে গিলায়।
(অন্যান্য ধর্মও একই আকাম করে)
কোনো দরকার নাই এই বোন্দার ব্যবসা হইতে দেওনের।
মানুষ এক ধরনের ভেজিটেবল হিসেবে গইড়া ওঠে এইসব আবজাব গিল্যা গিল্যা।
মনের শান্তি হয়তো পায়, কিন্তু পৃথিবীতে, বা বাস্তব জীবনে চুড়ান্ত অপদার্থ রূপে বড়ো হয়। গোঁজামিল দিতে দিতে তার কিছু আর বাকি থাকে না।
পোকা হইয়া ফসল নষ্ট হইলো কেন?
...তিনি ব্যাজার হইসেন তোমার উপ্রে,
ক্যান ব্যাজার হইসেন?
... নিচ্চয় তুমি খারাপ কাম করছো, মোল্লায় দাড়িত হাত বুলাইতে বুলাইতে কয়।
মোল্লা মুসুল্লী খাওয়াও গো মিঞা, মিলাদ দ্যাও। তারপরে মাতব্বরের কাছে গিয়া দাদনের লাইগা হাত পাতো।
বাচ্চা মরলো পানিতে ডুইবা, ও আল্লা, আমি কি দুষ করসি?
...নিচ্চয় তুমি পাঁচোক্ত নামাজ পড়ো নাই। বেশি কইরা নামাজ পড়বা।
ইত্যাকার ইত্যকার।
নিরাপত্তা, বাচ্চার উপ্রে চোখ রাখা, কীটনাশক জাতীয় সতর্কতা ইত্যকার জাতীয় 'লজিক্যাল' চিন্তা কারো মাথায় ঢুকতে দেয় না।
ধর্ম, মানুষরে স্বাধীন চিন্তা করতে দেয় না, প্রশ্ন করতে দেয় না। প্রশ্ন করার জন্য মগজে যে কোষ সৃষ্টি দরকার, তাও হতে দেয় না।
ছোটকালে শিশু যখন প্রশ্ন করে, এইটা হইলো ক্যান, ওইটা ইরাম ক্যান!
আগের জেনারেশনের ভেজিটেবল বাপমা উত্তর দিতে না পাইরা সহজ বুদ্দি বাইর করে। ধমক দিয়া কয়, এতোকিসু জানতে নাই, আল্লা/ভগবানে বিশ্বাস রাখো, তিনি করসেন এইসব।
তবে দিন পাল্টায়তাসে..
কয়দিন আগে জাপানে সুনামি/ভুমিকম্পের কারন নির্ণয়ে কিছু আবাল খ্রীস্টান খালি কইসিলো 'গড-লেস' দেইখা জাপানের ইেই অবস্থা...
খালি কয়া সারছে.. পুরা দুনিয়া তাগোরে এমন মাইর দিসে... মাইরের চোটে এক বলদীনি খ্রীস্টানের দেখলাম ইউটিউব একাউন্টই বন্ধ কইরা দিতে বাধ্য হইসে।
নতুন জেন্রেশন যতো বেশি বিজ্ঞান আর যুক্তি জানবো, ধর্মের রূপকথা ততো বেশি ফাঁপা মনে হইবো।
তবে ভেজিটেবল বাপ মায়ের কারনে, অথবা সামাজিক দৈনতার ফসল হিসেবে জেমসবন্ড, কর্নেল ইত্যাকার মালের প্রডাকশন হইতেই থাকবো।
আশার কথা হইলো এরা আমগোর বিনোদনের বিনা টিকিটের শো হিসেবেই পরিগনিত হইতে থাকবো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।