যখন শুনি কেউ এদেশের খেয়ে-পড়ে দুর্ণাম করে এ দেশের তখন শরীরে জ্বালা ধরে যায়, ইচ্ছে করে পিষে মারি শা__দের।
বাংলাদেশী পরিচয়ে মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজারেও রোহিঙ্গারা !
সৌদি আরব, কাতার, আরব-আমিরাত, ইরাক, কুয়েতসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা বাংলাদেশী পরিচয়ে শ্রম বাজার দখল করে নিচ্ছে। আর এতে বাংলাদেশী শ্রমিকেরা পড়েছে সমস্যায়। মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা বিভিন্ন পন্থায় বাংলাদেশী পাসপোর্ট নিয়ে মধ্য প্রাচ্যের দেশ গুলোতে গিয়ে চুরি, ডাকাতি,ছিনতাই,ধর্ষণ,খুনসহ নানা অপরাধমূলক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ছে। আর তাদের সকল অপরাধের দায়ভার বহন করতে হচ্ছে প্রবাসী বাংলাদেশীদের।
এ নিয়ে সেখানে প্রবাসী বাংলাদেশী শ্রমিকদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে বলে জানিয়েছে মধ্যপ্রচ্য থেকে সদ্য ফিরে আসা শ্রমিকেরা। রোহিঙ্গাদের অপরাধের দায়ভার বহন করতে গিয়ে বাংলাদেশ ক্রমেই মধ্যপ্রাচ্যের বিশাল শ্রমবাজার হারাতে বসেছে। সৌদি আরবে মক্কা থেকে সদ্য ফিরে আসা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির নুরুল হাকিম জানান, রোহিঙ্গাদের অপরাধ কর্মকান্ডে মক্কায় থাকা প্রায় ২০ হাজার বাংলাদেশী শ্রমিক চরম বিপাকের মধ্যে আছে। মক্কায় যে সংখ্যক বাংলাদেশী আছে তাদের চেয়ে দ্বিগুন রয়েছে বাংলাদেশী পাসপোর্টধারী মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক। তারা সেখানে বাংলাদেশী পাসপোর্ট নিয়ে গেলেও তারা কথায় কথায় বাংলাদেশ নিয়ে তাচ্ছিল করে থাকে।
দুবাই ফেরত চকরিয়ার মফিজ উদ্দিন, ইরান থেকে আসা সুমন জানান মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নাগরিকরা বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিয়ে বর্তমানে বাংলাদেশী পাসপোর্ট নিয়ে মধ্যপ্রাচ্য পাড়ি দিচ্ছে। তারা জানান,রোহিঙ্গাদের ব্যবহৃত অধিকাংশ পাসপোর্ট কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা এবং ঢাকা পাসপোর্ট অফিস থেকে ইস্যু করা। তারা আরো জানান রোহিঙ্গারা ভালোভাবে বাংলা জানার কারণে সেখানকার বাংলাদেশী বসতির আশেপাশেই তারা আস্তানা গাড়ছে। অনেকটা নিরক্ষর এসব রোহিঙ্গারা বেশিরভাগই আইন-কানুন সম্পর্কেও অবগত নয়। ফলে তারা প্রায়ই সেখানে আইন ভঙ্গ করাসহ নানাবিধ অপরাধকর্মে লিপ্ত হচ্ছে।
এরপর যখন তারা ধরা পড়ছে তখন পাসপোর্ট বাংলাদেশী হওয়ার কারণে এর খেসারত দিতে হচ্ছে বাংলাদেশীদের।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান তোফায়েল আহাম্মদের জানান বান্দরবানের আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি, জেলা সদর, রোয়াংছড়ি ,লামা, কক্সবাজারের চকরিয়া, টেকনাফ, উখিয়া, রামু, আমিরাবাদ, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, দোহাজারী, পটিয়া, চন্দনাইশসহ বিভিন্নস্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থেকে কৌশলে রোহিঙ্গারা চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের কাছ থেকে নাগরিকত্বের সনদ সংগ্রহ করে সেগুলো পাসপোর্ট অফিসে জমা দিয়ে বাংলাদেশী পাসপোর্ট গ্রহণ করছে।
অনুসন্ধ্যানে জানা গেছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের একটি চক্র এবং দালাল শ্রেণীর লোকেরা বিশাল অংকের টাকা নিয়ে রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট বানিয়ে দিয়ে থাকেন। পাসপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশের নাগরিক স্বীকৃত হওয়ার পর তাদের সকল কাজের দায়ভার বাংলাদেশকেই বহন করতে হচ্ছে। এসব নাগরিকের দ্বারা সংঘটিত সকল আইনবিরোধী কাজের দায়-দায়িত্ব পড়ছে বাংলাদেশের ওপর।
এ দিকে রোহিঙ্গাদের অর্পকর্মের কারণে মধ্যপ্রাচ্যের সরকার পাসপোর্টে বি এম (বার্মিজ মুসলিম) সীল লাগিয়ে দিচ্ছে। তারা যাতে কোনভাবেই অন্যদেশের নাগরিক হিসাবে নিজেদের পরিচয় দিতে না পারে সেজন্য এই সীল ব্যাবহার করা হচ্ছে। এ বিষয়ে বান্দরবান পাসপোর্ট অফিসের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান,সরকার রোহিঙ্গাদের সনাক্ত করতে এবং বাংলাদেশী পরিচয়ে যাতে বিদেশে যেতে না পারে সে জন্য রোহিঙ্গা অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোতে পাসপোর্ট নিতে হলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে (পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষেত্রে রাজার) কাছ থেকে রোহিঙ্গা নাগরিক নয় এই মর্মে বিশেষ ছাড়পত্র আনতে হয়। এর পরই পরিক্ষা-নিরিক্ষার পর পাসর্পোট ইস্যু করা হচ্ছে। তার পরও যে কিছু রোহিঙ্গা পার্সপোর্ট করে বিদেশে যাচ্ছেনা তা বলা যাবে না।
আর এই জন্য প্রথমত দায়ী জনপ্রতিনিধিরা।
তথ্যসূত্র : http://the-editor.net
প্রথম আলো ব্লগ থেকে কপি কৃতঃ
http://prothom-aloblog.com/posts/16/73459
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।