প্রধানমন্ত্রী ‘অসত্য কথা’ বলে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছেন বলেও তিনি অভিযোগ করেছেন।
রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সমাবেশে ফখরুল বলেন, “পাঁচ সিটি নির্বাচনে পরাজয়ের পর প্রধানমন্ত্রী বেসামাল হয়ে গেছেন। তিনি এমন এমন কথা বলছেন, সাধারণ মানুষ বলছে- তার মাথা ঠিক নেই। ”
নির্দলীয় সরকার ছাড়া বিএনপি কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না জানিয়ে বিএনপির মুখপাত্র বলেন, “গণতন্ত্রের কথা বলে গোটা পৃথিবীকে বোকা বানানো গেলেও এদেশের জনগণ নির্দলীয় সরকারের বাইরে নীল নকশার অপচেষ্টা সফল হতে দেবে না। ”
খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ‘প্রধানমন্ত্রী ও তার ছেলের কটূক্তির’ প্রতিবাদে মহানগর বিএনপির উদ্যোগে এই সমাবেশ হয়।
যুবদল, ছাত্রদল ও মহিলা দলের নেতা-কমীরাও এতে অংশ নেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ১/১১ পরে তিনি নাকি একমাত্র নেত্রী যিনি ওই সরকারের বিরোধিতা করেছেন। তার এই ভাষণ অসত্য। দেশের জনগণ ভুলে যায়নি, ওই সময়ে আজকের প্রধানমন্ত্রী হাসিখুশি মুখে ফখরুদ্দীন-মইনুদ্দীন সরকারকে তাদের আন্দোলনের ফসল বলেছিলেন। ”
গত পাঁচটি সিটি নির্বাচনে ক্ষমতাসীনদের হারের প্রসঙ্গ টেনে ফখরুল বলেন, “সিটি কর্পোরেশনে ক্ষমতাসীনরা অনেক অর্থ ব্যয় করেছে।
নানা কলা-কৌশল করেছে। কিন্তু জনগণ এই সরকারের বিরুদ্ধেই রায় দিয়েছে।
“এখন নানারকম কথা বলছেন। ক্ষমতায় থাকার জন্য সংবিধানের কথা বলে প্রধানমন্ত্রী যা কিছুই বলুন না কেন। এতে কোনো কাজ হবে না।
”
জনগণের অনাস্থা বুঝতে পেরেই প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় থাকার জন্য নানা যুক্তি দেখাচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।
স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেন, “জনগণের মনের ভাব বুঝতে পেরে সরকার এখন একদলীয় নির্বাচন তথা সংঘাতের পথে এগোচ্ছে। তারা দেশে একটি নীল নকশার নির্বাচন করতে চায়। প্রধানমন্ত্রীর মনের সেই কথাই তার ছেলে বলে দিয়েছেন। তার ছেলে বলেছেন, তার কাছে তথ্য আছে- আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগই জিতবে।
”
গত সাড়ে চার বছরে বিরোধী দলের সঙ্গে ‘তিক্ততা ও অবিশ্বাসের’ যে দেয়াল তৈরি হয়েছে, তা দূর করতে সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, “আমাদের কাছেও এখন তথ্য আছে। প্রধানমন্ত্রীর পুত্র জয়ের এই বক্তব্য থেকে প্রমাণ হয়- সরকার আগামী নির্বাচন নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রের লিপ্ত রয়েছে।
“আমি বলতে চাই, আমাদের কাছেও তথ্য আছে, আওয়ামী লীগকে জনগণ আর ক্ষমতায় আসতে দেবে না। ”
বিএনপির মহানগর সভাপতি সাদেক হোসেন খোকা বলেন, “সরকার দেশকে ইচ্ছাকৃতভাবেই গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
আওয়ামী লীগের ভেতরে সিনিয়র নেতাদের উদ্দেশ্যে আমরা বলব, এখনো সময় আছে- নীল নকশার নির্বাচনের পথ থেকে সরে আসুন, দেশকে রক্ষা করুন। ”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।