আমি নতুনের জন্ম দেই
গত দুই মাসের বেশি সময়। দেশে অস্থিরতা। শুরুটা শাহবাগ দিয়ে। তাদের প্রতি মানুষ সংহতি, শ্রদ্ধা ও সম্মান জানিয়েছে। সরকার আইনের সংশোধন করেছে এবং যুদ্ধাপরাধের বিচারের সঠিক রায় হবে এমন পরিবেশ তৈরি করছে।
বিচার হবে।
সরকার সরাসরি পক্ষ নিল। অবশ্য তাদের ইলেকশনের ইশতেহারেও বিচারের কথা সংযুক্ত ছিল।
বিরোধী দল একথা সেকথা কইল। শ্রদ্ধা জানাইল।
পরোক্ষভাবে পক্ষও নিয়েছিল। কিন্তু ক্রমেই সরে এল।
পাশাপাশি, আরেক পক্ষ। যারা বিচারের বিরুদ্ধে। সেটা থাকতেই পারে।
তারা শাহবাগের বিপক্ষে অনেক কত্রহাই বলল। শেষে আস্তিক-নাস্তিক দ্বন্ধ লাগিয়ে দিল। এবার বিরোধী দল এদের সঙ্গে যোগ দিল। দলের প্রধান শাহবাগকে নাস্তিকের আড্ডাখানা বলে গালি দিল। এরাশাদ সাহেব বিরুদ্ধে নামল।
তরুন প্রজন্ম কষ্ট পাইল। আমিও সে দলের একজন।
এখন শুরু হয়েছে নতুন খেলা।
তথাকথিত ইসলামের রক্ষক নামে হেফাজতে ইসলামের জাগরন। সরকার চাইল নিয়ন্ত্রন করতে।
বিরোধী দল পক্ষ নিল। এরশাদও পক্ষ নিল। সেটাই স্বাভাবিক।
এদিকে সরকার আবার শাহবাগের বিপক্ষে এটা সেটা বলতে শুরু করল।
মানে সরকার কোন পক্ষেই নাই।
নিরপেক্ষ। এটা কতটুকু সত্য সেটা ভাববার বিষয়।
আবার বিরোধী দল প্রথমে শাহবাগে কিছুটা ঝুকলেন। ধীরে ধীরে বিরোধীতা করে নাস্তিক বলতে শুরু করলেন। মতিঝিলে গিয়ে নিশ্চিত করলেন তারা মুলত হেফাজতের পক্ষেই।
আবার হেফাজতের বিপক্ষবাদী আরেকদল আলেম এদেরকে বেদাতি বলেও উল্লেখ করেছেন। পালটা হিসেবে হেফাজত তাদেরকে কুলাঙ্গার বলেছেন। এতে এটাও প্রমানিত হয় যে, আসলে এই আলেমগন কোন ইসলামের হেফাজত করছেন না। নিজেদের সুবিধাভোগিতার হেফাজত করছেন। দুই পক্ষই।
আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি সহ সকল দলই যখন যেখানে ভোট আছে সেখানেই দৌড়াচ্ছে। আজব বটে! হুজুওরগন যাকে তাকে নাস্তিক বলে এটাও প্রমানিত হয় যে, তারা সুবিধাভোগি।
আসলে কি লিখতে গিয়ে কি যে লিখছি নিজেই গুলিয়ে ফেলেছি।
যত্তসব ফালতুর দেশে আসলে কিছু লেখাও মুশকিল। বেহায়া আর ফালতু লোকে দেশ ভরে গেছে।
মোদ্দা কথা এদের সকলের উপরেই আমি খুব বিরক্ত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।