তক
ইনজুরির কারণে বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছিলেন দেশসেরা পেসার মাশরাফি বিন মর্তুজা
ঘরের মাটিতে বিশ্বকাপ, অথচ খেলা হচ্ছে না তার। এটা ভেবে মাঠেই কেঁদে ফেলেছিলেন আনমনাচিত্তে। চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি সেদিন। ফিজিওর ‘আনফিট’ সার্টিফিকেটের কারণেই সব স্বপ্ন চুরমার হয়ে যায় নড়াইল এক্সপ্রেসের। বিশ্বকাপ শেষ।
পূর্ব সূচি অনুযায়ী ঘরের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ। প্রত্যাশা অনুযায়ী এবার দলে নেয়া হলো মাশরাফিকে। অনুশীলনও করলেন ২৯ মার্চ থেকে। দু’টো প্রস্তুতি ম্যাচও খেলে নিজেকে পরখ করে নিলেন। কিন্তু না! অসিদের বিপক্ষে ময়দানি লড়াইয়ে নিজেকে শামিল করতে নারাজ মাশরাফি।
আসন্ন এই সিরিজ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিতে চাইছেন। গুটিয়ে নেয়ার এই কারণ রাগ কিংবা অভিমান নয়। ফিটনেস লড়াইয়ে নিজেকে ‘আনফিট’ মনে করাতে নিজেই নিজেকে সরিয়ে নিতে চাইছেন। তবে চূড়ান্তভাবে সিদ্ধান্তটা আজ নেবেন নড়াইল এক্সপ্রেস। আজ অনুশীলনে যদি আগের অবস্থাতেই থাকেন, তবে এ সিরিজে বল হাতে দেখা যাবে না তাকে।
এমন সংবাদটা অবশ্যই বাংলাদেশী ক্রিকেট পাগল মানুষগুলোর জন্য দুঃখজনক। তবে উপায় নেই, ডান পায়ে যে ব্যথা সেটা আবারও জেগে উঠেছে। অনুশীলনের সময় বল করতে গেলেই চিন চিন ব্যথা অনুভব করছেন মাশরাফি। এমন ইনজুরি নিয়ে আর যাই হোক, ক্রিকেট খেলা সম্ভব নয়—সেটা সবাই জানেন। তাই মাশরাফিও নিজের এবং দলের ভালোর জন্যই সরে যেতে চাইছেন।
তবে এ বিষয়ে এখনও স্পষ্ট কিছুই জানা যায়নি মাশরাফির কাছ থেকে। তবে ক্রিকেট মহলে এরই মধ্যে বিষয়টি চাউর হয়ে গেছে। এ বিষয়ে মাশরাফির কাছে জানতে চাইছে কূটনৈতিক জবাব পাওয়া গেলো তার কাছ থেকে। জানালেন, আমি তো কাউকে বলিনি আমি সিরিজে খেলব না। আমি বলেছি আমি নিজের ফিটনেস পরখ করছি।
যদি আমার নিজের কাছে মনে হয় আমি সিরিজের জন্য ফিট না তাহলে অহেতুক সমস্যা সৃষ্টি করব না। এর মানে তো এই নয় আমি সিরিজ খেলব না। আর যদি বড় কোনো সমস্যা হয় তবে সেটা সবাই জানবে।
সিরিজে খেলছেন না মাশরাফি—ঘটনাটা হালকা করে দেখার অবকাশ নেই। কারণ, দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে তিনিই একমাত্র ক্রিকেটার যাকে দলে না নেয়ায় হরতাল পালিত হয়েছে।
দলের নির্ভরযোগ্য এই পেসার আচমকা খেলবেন না সেটা জানতেই সংবাদ মাধ্যমগুলো নানা দিক দিয়ে খোঁজ নেয়া শুরু করে আসল ঘটনা উদঘাটনের জন্য। তবে মাশরাফির কাছ থেকে তেমন সাড়া মেলেনি। তবে তার ঘনিষ্ঠ কয়েকজনের কাছ থেকে জানা যায়, তিনি গত কয়েকদিনের অনুশীলনে ইনজুরির জায়গায়টাতে ব্যথ্যা অনুভব করছেন। যার কারণে বলে তেমন গতি পাচ্ছেন না। এদিকে দলের কোচ জেমি সিডন্সও নাকি তাকে বলেছেন, সমস্যা হলে সরে দাঁড়াতে।
বিষয়টি নিয়ে কোচ এবং শিষ্যর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে অনেক সময় ধরে। মাশরাফি সিডন্সকে জানিয়েছেন তার সমস্যা। লাইন লেংথ ঠিক থাকলেও ডান পায়ে জোর পাচ্ছেন না। তাই তিনি নাকি স্ট্যান্ডবাই হিসেবে থাকা নাজমুল হোসেনকে বলে রেখেছেন ‘মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে’। কারণ, তাকে মাঠে নামতে হতে পারে।
মাশরাফির সঙ্গে ইনজুরিরর একঘরে বসবাস ক্যারিয়ারেরর শুরু থেকেই। প্রতিনিয়ত তাকে যুদ্ধ করতে হচ্ছে ইনজুরি নামক ব্যাধির বিরুদ্ধে। এখনও চলছে তার যুদ্ধ। কবে শেষ হবে সেটা কেউ বলতে পারে না। তবে আপাতত যে সমস্যা আছে সেটা দূর করতে চলতি মাসেই নাকি আবার স্ট্রেলিয়া উড়ে যাচ্ছেন এই পেসার।
শৈল্য চিকিত্সকের শরণাপন্ন হবেন। অস্ত্রোপচার করাবেন ইনজুরির স্থানটায়।
আমার দেশ প্রত্রিকা হতে নিয়া
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।