আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আচানক আমরা

নিতান্তই আজাইড়া মানুষ আমি।

আমার এক বন্ধু সেদিন বলছিলো, “বাংলাদেশে নাস্তিকদের সংখ্যা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম। এক কারন কি জানিস? এদেশে এখনো আমরা বেঁচে আছি!” শুধু তাই না। অনেক আনন্দেই দিন কাটাই আমরা। সত্যি, অনেক অবাক লাগছিলো আজ যখন দেখলাম, রাজধানীর প্রধান সড়কে কোন আলো নেই!! ঘরের ভেতরে লোডশেডিং হচ্ছে হজম করা যায়, কিন্তু তাই বলে রাজপথে! অন্ধকারে আমাদের বাস ড্রাইভার মশায় কিভাবে যে পথ চলে তা বর্হিবিশ্ব দেখলে গিনেস বুকে তার নামটা অন্তত উঠে যেতো এতোদিনে।

তার ওপর বৃষ্টির দিনে যদি বাসে থাকেন, খুব সহজেই দেখা মিলবে নির্ভিক সেই সব বাস ড্রাইভারদের যাদের বাসে কোন উইন্ডো ওয়াইপার নাই। বৃষ্টির ফোঁটায় ঘোলা হয়ে থাকা গ্লাসে আন্ধা-গুন্দা বাস চালায় এরা। আর আমরা বাসে ঝিমাই। সত্যি অবাক লাগে এসব দেখে। তারপরও কিন্তু খুব একটা রোড অ্যাকসিডেন্ট হয় না।

কেমনে হবে? বাসগুলা তো দৌড়ানোর সুযোগই পায় না। হেঁটে হেঁটে চলে। এই যে এতো এতো লোডসেডিং এটারও অনেক উপকারীতা আছে বৈকি! লোডসেডিং আছে বলেই তো দেশে কাকের চেয়ে কবির সংখ্যা বেশি। লোকে যান্ত্রিক জীবনের ফাঁকে চাঁদ দেখার আর স্বপ্ন দেখার সুযোগ পায়। ইভ টিজিং আছে বলেই তো বাঙালী মেয়েরা এতো সুন্দর।

আর একটা মজার জিনিস বলে শেষ করছি। সেদিন দুই পপকর্ন বিক্রেতা বাচ্চার ঝগড়া হচ্ছিলো রাস্তায়। একটা আরেকটার কলার ধরে শুধু বলছে, “ আমার মা তুইলা গালি দিলি ক্যান শুয়োর?” এইসব সাধারন জিনিস কেউ দেখেও দেখে না। এইটাই তো স্বাভাবিক ছিলো। কিন্তু হায়! এ কি হেরিলাম! ফেইসবুকে দেখি এক বন্ধু তার অন্য বন্ধুকে ওয়ালে লিখেছে “*** র পো, ফোন কর এখুনি ” বন্ধুও নির্বিকার! মানে বন্ধুত্বের খাতিরে মেনেই নিয়েছে যে সে একটা *** র পো... আমি বলছিনা ওই পপকর্ন বিক্রেতা বাচ্চাদের মতো ওদের ঝগড়া করা উচিত, কিন্তু সহজ প্রতিবাদ তো করতে পারতো।

কষ্ট পাই। আপনিও কি পান?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.