আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ব্লগার আস্তিকদের বলছি ( মাইন্ড খাইয়েন না )

যতোবার আমি শান্তি খুঁজেছি, ঠিক ততোবার আমার মাথায় শুধু একটি চিন্তাই এসেছে। সেটা হচ্ছে একটা ড্রিল মেশিন দিয়ে মাথার খুলিটা ফুটো করে দেওয়ার চিন্তা।

ব্লগে অনেক পোস্ট দেখি নাস্তিকতা আস্তিকতা নিয়ে । গালাগালির জন্য অনেক সময় এড়িয়ে যাই টপিক গুলো । যারা নাস্তিক আছেন , তাদের কিছু বলতে চাই না এখানে ।

শুধু যারা মুসলিম আছেন , তাদের জন্য কিছু বলতে চাই । আমরা বোধহয় সবাই ই জানি , ইসলাম শান্তির ধর্ম ,যে জিনিসটা আমরা প্রায় সবসময় ই ভুলে থাকি। ইসলামের মুল ভিত্তি হল ঈমান বা বিশ্বাস । আর বিশ্বাসটা গুরুত্বপূর্ণ কারন, স্রষ্টা অদৃশ্য । মুসলিম এবং অবিশ্বাসীদের মুল পার্থক্য হল এই বিশ্বাসেই ।

আমরা বিশ্বাস করি যে এই পৃথিবীর জীবনের পরেও আর একটি জীবন আছে , যেখানে অবিশ্বাসীদের বিশ্বাস যে জীবনের সমাপ্তি এই পৃথিবীতেই । যেখানে মুল চিন্তাধারাতেই এত বড় একটা পার্থক্য , সেখানে আরও অগ্রসর হলে যে মতের বেমিল হবে তা সহজেই অনুমেয় । মানুষের জ্ঞানের একটা সীমা আছে । মানুষ কখনো তার ওই সীমার বাইরে যেতে পারেনা । একটা ছোট্ট উদাহরন দেই ।

মহাবিশ্ব এর সীমানা কিন্তু কোন মানুষ পরিমাপ করে বের করতে পারেনি । ধরে নেই , এটার একটা সীমা আছে । তাহলে ,ওই সীমাটার বাইরে কি আছে ??? আরেকটি মহাবিশ্ব ?? তবে তার বাইরে কি ?? এটার কি আদৌ শেষ আছে ?? আচ্ছা ধরে নিলাম , মহাবিশ্ব প্রসারণশীল। বিজ্ঞান তাই বলে । কিন্তু প্রসারন টা হচ্ছে কোথায় ?? নিশ্চয়ই প্রসারন হয়ে বড় হবার জন্য একটা জায়গা দরকার ।

সেই জায়গাটা আসছে কিভাবে ?? বিজ্ঞান মানুষের তৈরি , তাই এটার একটা সীমা আছে । সীমার মাঝে থেকে অসীম কে ছোঁয়া যায়না । সে যাই হোক , বিজ্ঞান কোনোদিন প্রমান করতে পারে নি যে স্রষ্টা নেই । পারবেও না । বিজ্ঞান শুধুমাত্র কিছু হাইপোথিসিস দাড়া করাতে পারে ,যেটা মানব দ্বারাই সৃষ্ট ।

ঠিক একইভাবে আপনিও কোনদিন প্রমান করতে পারবেন না যে স্রষ্টা আছেন। আপনি যদি প্রমান করতে চান , তাহলে আপনাকে তো ইসলাম অস্বীকারই করতে হবে । কারন ,জানা মতে নবী ছাড়া আর কেউ মোজেজা দেখাতে পারে না । আপনি নিশ্চয়ই আপনাকে নবী দাবি করবেন না । আর অবিশ্বাসীদের আপনি কিভাবে মোজেজা ছাড়া এটা প্রমান করাবেন ?? পারবেন না ।

প্রমান করা এত সহজ হলে তো নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা বিশ্বাসের জন্য জান্নাত দিতেন না। বিশ্বাস করাটা কঠিন এবং তার জন্যই জান্নাত। তাই নয় কি ??? যুক্তি তর্ক হাজার টা দেওয়া যায় । ফলাফল একই থাকবে । যেটা সত্য সেটা তো আপনার যুক্তি তর্ক দিলে পরিবর্তন হয়ে যাবেনা ।

যে অবিশ্বাস করে , তাকে আপনি বিশ্বাস করাতে পারবেন না । যে বিশ্বাস করে , তাকেও আপনি অবিশ্বাসী বানাতে পারবেন না । ধরেন ,আপনাকে একজন গালি দিল । আপনি কি তাকে ভালো ভাবতে পারবেন ?? গালি দিয়ে কি সে আপনাকে তার পক্ষে কিছু বুঝাতে পারবে ?? উল্টো তার সম্পর্কে আপনার একটা খারাপ ধারনা তৈরি হবে । অনেক মুসলিম দেখলাম বিভিন্ন টপিকে গালাগালি করে ।

গালাগালি করে কি আপনি আপনাকে ভালো দেখাতে পারবেন ?? আপনার ধর্ম কে উঁচু করতে পারবেন যদি গালি দেন ?? কথায় কথা বাড়ে । একসময় প্রলম্বিত হয় । এবং ছিঁড়ে যায় । অবিশ্বাসীরা একজন বিশ্বাসীকে অপমান করতে চাইবে এটা স্বাভাবিক । ইসলাম , কুরআন ,আল্লাহ এবং রাসুল প্রসঙ্গে অপমান করলে আপনার গায়ে লাগবে এটা জেনেই তারা হয়ত কাজটা করে থাকে ।

বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধা বা ভক্তি থাকলে কেউ তো এভাবে অপমান করে না । এখন আপনিও যদি তাদের মতোই তাদের অপমান করতে চান কিনবা গালিগালাজ করেন , তাহলে তাদের সাথে আপনাদের পার্থক্য রইলো কই ?? আমি বলছিনা, গালি হজম করতে । গালি হজম করতে না চাইলে দুই দিন ধৈর্য ধরেন , যে প্রসঙ্গে মতের পার্থক্য হয়েছে ওই বিষয়ে ভালভাবে জানেন এবং শেষে সুন্দরভাবে বুঝিয়ে বলেন । একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের এতোটুকু তো মার্জিত হওয়া উচিত অবশ্যই । তাই নয় কি ? মহানবী (সঃ) কে আমরা অনুসরন করি ।

তিনি তো অনেক কষ্ট সহ্য করেছেন কাফির দের জন্য । তাদের গালি খেয়েছেন , পাথর পর্যন্ত মারা হয়েছে তাকে । অনেক অপমানের মধ্যে থেকেছেন । একবার ও কি শুনেছেন , উনি কাউকে গালি দিয়েছেন?? কিনবা মেরেছেন ?? ধরেছেন ?? আমার খুব খারাপ লাগে যখন দেখি , মুসলিমরা যুক্তি তর্ক ছাপিয়েও নাস্তিকদের পোস্টে যেয়ে গালাগালি করে । আপনার বিশ্বাস যদি শক্ত হয় , তাহলে আপনার গালাগালির কি দরকার ?? আপনি যদি পরিপূর্ণ ভাবে জেনে থাকেন , তাহলে উত্তর দেওয়াটা ভালো ।

না পারলে খামোখা মুসলিম জাতিকে নির্বোধ প্রমান করার দরকার নেই। আপনাদের কাছে অনুরোধ রইলো ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.