দিল ঠান্ডা তো দুনিয়া ঠান্ডা।
সামুতে অনেকদিন থেকেই মাইক্রোওয়ার্কস এর কথা শুনতে পাই। একদিন চিন্তা করলাম দেখি না, ট্রাই করে।
মাইক্রোওয়ার্ক ট্রাই করে দেখে মনে পড়ল, বছর খানেক আগে আমাজন এর এরকম একটা জিনিস ট্রাই করে দেখছিলাম। কিন্তু কি কারনে কে জানে, সেটার কথা তেমন উচ্চারন হয় না।
গতকাল আবার একবার আমাজন এর এমটার্ক ট্রাই করে দেখলাম। কয়েকটা কাজ করলাম। তারপরে আজ দেখি একাউন্টে ব্যলান্স জমা হয়েছে।
আবার মাইক্রোওয়ার্কস এ গেলাম। দেখি সেখানেও গোটা দশেক কাজ জমা হয়ে আছে।
তবে বেশিরভাগ কাজই ফোরাম পোস্টিং এবং সাইটে আর্টিকেল এবং ব্যাকলিংক তৈরি করা নিয়ে।
একটা দুটা ট্রাই করে দেখলাম, এতে বেশ ভাল একটা ব্যাকগ্রাউন্ড লাগে। আপনাকে পি-আর ২ অতবা ৩ সাইট থেকে দীর্ঘস্থায়ী ব্যাকলিংক আনতে হবে কিংবা নির্দিষ্ট ফোরামে পোস্ট করতে হবে। অনেক সময়েই এসব ফোরামে একাউন্ট খুলেই পোস্ট করা যায় না। অপেক্ষা করতে হয়।
ততদিনে কাজ কি আর বসে থাকবে?
তার মানে দাড়াচ্ছে, এই কাজগুলা আসলেই সবার জন্য না। অতি দক্ষদের জন্য না হলেও, একেবারে নভিসদেরও কাজ না এটা।
সেদিক থেকে আমার মনে হল আমাজন এর এমটার্কটা বেটার। কাজের সংখ্যা লগইন করেই দেখি অনেক আর কাজগুলোও সাদামাটা। সত্যিকার অর্থেই কোন কিছু কাজ না জেনেই অনসাইট কাজ শিথে নিজের স্বাভাবিক জ্ঞানবুদ্ধি ব্যবহার করেই কাজগুলো করা যায়।
আর একটা ব্যপার যেটা আমি দেখলাম মাইক্রোওয়ার্কস এর, সঠিক কিনা জানি না, সেটা হল, মাইক্রোওয়ার্কস এর একটা কাজ একবারই করা যায়। কিন্তু আমাজন টার্ক এ আপনি যদি কোন একটি নির্দিষ্ট কাজ ভাল পারেন, সেটা করে যেতে পারবেন ততক্ষন পর্যন্ত যতক্ষন কাজ শেষ না হয়ে যাবে এবং কাজের সংখ্যা প্রায়ই হাজার এর কম না। কেউ যদি বসে বসে বিলাই আর কুকুর এর ছবি আলাদা করার কাজ মনে ধরায়ে ফেলেন, বসে বসে সেটাই করতে থাকেন। কোন সমস্যা নাই।
একবার ট্রাই করে দেখুন।
আমাজনের কিন্তু রেফারাল আর্নিং নেই।
আপনাকে বেশ কিছু টেস্ট দিতে হতে পারে। ঠিক মনে নেই। অনেক দিন আগে একাউন্ট খুলেছিলাম। তবে যেটুকু মনে আছে, তা হল, টেস্টগুলোও সাদামাটা।
তবে পরের দিকের এডভান্সড টেস্ট আছে আরও বেশি দামী কাজ পাবার জন্য।
পেমেন্ট সিস্টেম দু ধরনের।
আপনি আপনার এমাউন্ট ব্যংক াথবা অন্য কোন নিস্টেম এর ট্রান্সফার করিয়ে নিতে পারেন অথবা সেটা আপনার আমাজন একাউন্টে পাঠাতে পারেন।
আমাজন একাউন্টের টাকা দিয়ে আপনি এটা সেটা কেনাকাটা করতে পারেন।
আমার হঠাৎ এটা নিয়ে পড়ার মানেটা হল, সম্প্রতি ইবুক জিনিসটা আমাকে খুব মনে ধরেছে।
সিম্ফনী এফ টি ৩০ এর বড় স্ক্রীন এবং তার ইবুক রিডার এর কারনে এখানে সেখানে বসে বই পড়াটা অনক সহজ আর মজার। একটু কষ্ট হয়। তবে কিনে না পড়তে পারার কষ্ট থেকে অনেক কম। তারপরে আবিস্কার করলাম, বিশ্ববিখ্যাত আমাজন কিন্ডল ইবুক রিডার এর দাম মাত্র ১৩৯ ডলার। তার মানে বাংলাদেষি টাকায় প্রায় দশ হাজার টাকার কাছাকাছি....
এত কম!!! আমার তো প্রথমে বিশ্বাসই হয় নাই।
তার পরে দেখি ঘটনা সত্যি।
এর সুবিধাও কম না।
স্ক্রীন সাইজ সেবার বই এর মত।
ব্যটারী নাকি একমাস থাকে কোন নতুন চার্জ ছাড়া।
পিডিএফ এখন সেখানে পড়া যায়।
চিন্তা করলাম, একটা যদি কেনা যায়, তবে তো কয়েকবছরের জন্য কোন চিন্তা নাই। এখন মোবাইল দিয়ে ক্লাসে বসে বই পড়ি, তখন কিন্ডল দিয়ে বই পড়বো।
হাজার হাজার ইবুক কি এমনি এমনি ডাউনলোডাইসি?? খরচ হয় নাই? পরিশ্রম হয় নাই?
এই হইল আমার কাহিনী।
এখন আমাজনে একটা ট্রাই মাইরা দেখেন । আমিও দেখি।
ইবুকটার সমান টাকা বানাইতে পারলে সবারে মিষ্টি খাওয়াব!!!
এক কথা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।