.
আমাদের দেশে কতজন ফ্রিল্যান্সার আউটসোর্সিং কাজের সাথে জড়িত তার সঠিক কোনো পরিসংখ্যান এখন পর্যন্ত কারো কাছে নেই। ইন্টারনেটে কে কোথা থেকে কাজ পাচ্ছেন তা জানা দুরূহ কাজ। মার্কেটপ্লেসগুলোতে অনেকে নিজেদের প্রোফাইল প্রাইভেট করে রাখেন, যা শুধু একজন ক্লায়েন্টই দেখতে পারেন। অনেকে আবার ক্লায়েন্টদের সাথে সরাসরি কাজও করে থাকেন। ফ্রিল্যান্সাররা স্বেচ্ছায় কোনো জরিপে অংশগ্রহণ না করলে বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে জানা কখনও সম্ভব নয়।
বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সাররা কে কোন মার্কেটপ্লেসে কাজ করছেন, কে কোন পদ্ধতিতে দেশে টাকা নিয়ে আসছেন, কে কত ডলার আয় করছেন ইত্যাদি তথ্য জানতে ‘কমপিউটার জগৎ’-এর পক্ষ থেকে একটি জরিপের আয়োজন করা হয়েছিল। বিভিন্ন বাংলা ব্লগ এবং ফ্রিল্যান্সিং গ্রুপে এই জরিপে অংশগ্রহণ করার জন্য ফ্রিল্যান্সারদের আহবান জানানো হয়েছিল। এতে সাড়া দিয়ে গত এক বছরে মোট ১৭৫ ফ্রিল্যান্সার জরিপে অংশগ্রহণ করেন। দেশে কয়েক হাজার ফ্রিল্যান্সারের তুলনায় সংখ্যাটি নিতান্তই নগণ্য। তা ছাড়া জরিপে অংশগ্রহণকারীদের একটি বড় অংশ এখনও কোনো কাজই পাননি।
তার পরও এ থেকে সামগ্রিক পরিস্থিতির একটি আংশিক ধারণা পাওয়া যাবে।
আপনার পেশা?
ফুলটাইম ফ্রিল্যান্সার ----৪২-------২৪%
চাকরিজীবী-------------৩৯------২২%
ব্যবসায়ী------------------৯-------৫%
শিক্ষার্থী-----------------৮৩-----৪৭%
গৃহিণী---------------------১------১%
ফ্রিল্যান্সারদের একটি বড় অংশ হচ্ছেন শিক্ষার্থী। অনেকে পড়ালেখা শেষ করে সরাসরি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করছেন এবং একে মূল পেশা হিসেবে গ্রহণ করছেন। চাকরিজীবীদের মধ্যে অতিরিক্ত আয়ের লক্ষ্যে ফ্রিল্যান্সিংয়ে যুক্ত হওয়ার প্রবণতা ইদানীং লক্ষ করা যায়। তাদের মধ্যে যারা ভালো করছেন তারা অনেকেই পরে চাকরি ছেড়ে পূর্ণকালীন ফ্রিল্যান্সিং শুরু করছেন।
যদিও এই জরিপে কতজন মহিলা ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন তা যাচাই করা হয়নি, কিন্তু বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস পর্যবেক্ষণ করে একথা নির্দ্বিধায় বলা যায়- নারীরা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে আউটসোর্সিং কাজে জড়িত রয়েছেন এবং ভালো আয় করছেন।
ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে প্রথম কিভাবে জানতে পেরেছিলেন?
কমপিউটার জগৎ ম্যাগাজিন থেকে ----৫১----২৯%
সংবাদপত্র থেকে-----------------------১৫------৯%
ইন্টারনেট থেকে-----------------------৪১----২৩%
বন্ধুর মাধ্যমে-------------------------৩৮---- ২২%
সেমিনারে অংশগ্রহণ করে--------------২-------১%
সাইট থেকে---------------------------৭--------৪%
অন্যান্য------------------------------২১-------১২%
দেশে ফ্রিল্যান্সিংয়ের প্রসারে কমপিউটার জগৎ ম্যাগাজিনের উল্লেখযোগ্য অবদান এই জরিপ থেকে সহজেই প্রতীয়মান হয়। পাশাপাশি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন বাংলা সাইটও নতুন ফ্রিল্যান্সার তৈরিতে সহায়তা করছে। গত দুই বছর ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে এক ধরনের সেমিনার প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গিয়েছিল। সেমিনারে অংশগ্রহণ করে যে রাতারাতি ফ্রিল্যান্সার হওয়া যায় না তা সবাইকে উপলব্ধি করতে হবে।
কাজ করতে হলে আগে সে কাজ ভালোভাবে জানতে হবে।
আপনি কোন সাল থেকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের সাথে জড়িত?
২০১১ ---------- ১৩------ --৭%
২০১০---------- -৭৩------৪২%
২০০৯----------৬৩------৩৬%
২০০৮----------২১-------১২%
২০০৭-----------৩---------২%
২০০৬-----------২---------১%
২০০৫-----------০---------০%
গত পাঁচ বছর ধরে দেশে ক্রমবর্ধমান হারে ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা বাড়ছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে আশা করা যায়, এ বছরই নতুন ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা আগের সব বছর ছাড়িয়ে যাবে।
আপনি কোন ধরনের কাজগুলো করে থাকেন?**
ওয়েবসাইট তৈরি-----------------৫৫--------৩১%
ওয়েবসাইট টেম্পলেট ডিজাইন---৪০--------২৩%
গ্রাফিক্স ডিজাইন-----------------৬৭---------৩৮%
প্রোগ্রামিং------------------------২৭----------১৫%
ডাটা এন্ট্রি----------------------১০৭----------৬১%
এনিমেশন তৈরি------------------১১-----------৬%
গেমস তৈরি-----------------------৩ -----------২%
অন্যান্য---------------------------৮৪---------৪৮%
সিইও----------------------------২৮----------১৬%
সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং------------১২------------৭%
জরিপ থেকে দেখা যায়, ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে ডাটা এন্ট্রির কাজ করার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। তার পরের স্থানে রয়েছে গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েবসাইট তৈরি এবং প্রোগ্রামিং।
অনেকে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) কাজও করছেন। যদিও জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস ওডেস্ক (http://www.oDesk.com)-এ বর্তমানে ওয়েব প্রোগ্রামিং এবং ওয়েব ডিজাইনের কাজ সবচেয়ে বেশি পাওয়া যাচ্ছে। তার পরের স্থানে রয়েছে সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং, লেখালেখি এবং গ্রাফিক্স/মাল্টিমিডিয়ার কাজ।
আপনি কোন কোন মার্কেটপ্লেসে নিয়মিত কাজ করে থাকেন?**
ওডেস্ক----------------৯-------- ৫১%
ফ্রিল্যান্সার-----------৩৬--------২১%
ভি-ওয়ার্কার ---------১৫----------৯%
গেট-এ-কোডার--------৯----------৫%
স্ক্রিপ্টল্যান্স-----------১১----------৬%
মাইক্রোওয়ার্কস-------৪৮--------২৭%
থিমফরেস্ট (এনভাটো)-৮----------৫%
জুমল্যান্সার্স-------------৬---------৩%
সরাসরি ক্লায়েন্ট থেকে -২৭--------১৫%
অন্যান্য----------------৬৬-------৩৮%
জরিপে অংশগ্রহণকারী অর্ধেকেরও বেশি ফ্রিল্যান্সার ওডেস্কে কাজ করছেন। ঘণ্টা হিসেবে কাজের জন্য ওডেস্ক বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় একটি মার্কেটপ্লেস।
এটি একজন ফ্রিল্যান্সারের ন্যায্যমূল্য পরিশোধ করে। অন্যান্য মার্কেটপ্লেসে প্রজেক্টভিত্তিক কাজে অনেক সময় দেখা যায়। ক্লায়েন্টরা মূল চাহিদার বাইরেও অতিরিক্ত কাজ দিয়ে থাকে, যাতে একজন ফ্রিল্যান্সারের সময় এবং অর্থের অপচয় হয়। একসময় ভিওয়ার্কার (রেন্ট-এ-কোডার) ও স্ক্রিপ্টল্যান্স সাইটের প্রচুর সুনাম ছিল। পরে ফ্রিল্যান্সার ডটকম সাইট সবাইকে আকৃষ্ট করে।
সব ছাপিয়ে ওডেস্ক এখন হয়ে উঠেছে অপ্রতিদ্বন্দ্বী। তবে সব সাইটেই প্রথম কাজ পাওয়াটা সময়সাপেক্ষ। তাই অনেকে হতাশ হয়ে মাইক্রোওয়ার্কার্স সাইটে খুব অল্প পারিশ্রমিকে কাজ শুরু করেন।
মার্কেটপ্লেস থেকে এ পর্যন্ত আপনি কতটি কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন?
একটিও নয়------------------------৬৯------------৩৯%
১-৩টি------------------------------২৫------------১৪%
৪-১০টি-----------------------------৩০------------১৭%
১১-৫০টি----------------------------২২-----------১৩%
৫১-১০০টি----------------------------৯------------৫%
১০১টি বা তার থেকে অধিক ---------১০-----------৬%
আমাদের দেশে অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা এখনও নতুন ফ্রিল্যান্সারদের তুলনায় অত্যন্ত কম। এ জরিপে দেখা যাচ্ছে একটিও কাজ পাননি এরকম ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা হচ্ছে ৩৯%।
তবে বাস্তব পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। ওডেস্কে রেজিস্ট্রেশন করা ২০,৬৬৫ বাংলাদেশীর মধ্যে ৯০.৭% এখনও কোনো কাজ পাননি। এ থেকে অনেক বিষয় অনুমান করা যায়- কাজের জন্য পর্যাপ্ত জ্ঞান ও দক্ষতার অভাব, সঠিক দিকনির্দেশনার অভাব, ইংরেজিতে অদক্ষতা ইত্যাদি।
প্রথম কাজ পেতে আপনার কত সময় লেগেছিল?
এখনও কোনো কাজ পাইনি ----------------৭১---------৪১%
১ সপ্তাহ থেকে কম-------------------------২৬--------১৫%
১ থেকে ২ সপ্তাহ----------------------------১৩---------৭%
১ মাসের মধ্যে------------------------------২৪--------১৪%
২ থেকে ৩ মাস-----------------------------২০--------১১%
৩ থেকে ৬ মাস------------------------------৬---------৩%
৬ মাসের থেকে বেশি সময় ------------------১১---------৬%
প্রথম কাজ পাওয়াটা কারো কারো ক্ষেত্রে এক সপ্তাহেই হয়ে যায়, আবার কারো কারো ক্ষেত্রে ৬ মাসের বেশি সময়ও লাগতে পারে। তবে কাজে দক্ষতা থাকলে বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সারই এক মাসের মধ্যে কাজ পেয়ে যান।
পরিপূর্ণ প্রস্ত্তত না হয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করলে হতাশাই দীর্ঘস্থায়ী হয়ে পড়ে।
ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে এ পর্যন্ত আনুমানিক মোট কত ডলার আয় করেছেন?
এ প্রশ্নের উত্তর মাত্র ৮৫ ফ্রিল্যান্সার দিয়েছেন। এদের মধ্যে সর্বনিম্ন মোট আয় হচ্ছে ১০ ডলার এবং সর্বোচ্চ ৩৬,০০০ ডলার। এদের আয়ের মোট যোগফল দাঁড়ায় ১৮১,৮০০ ডলার।
ন্যূনতম ১০০ ডলার ----------- -১৮ জন
১০০-১,০০০ ডলার-------------৩৭ জন
১,০০০-৫,০০০ ডলার-----------২২ জন
৫,০০০ ডলারের অধিক----------৬ জন
অর্থ উত্তোলনের জন্য আপনি কোন কোন পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকেন?
পেওনার মাস্টারকার্ড-----------৬৬---------৪৩%
মানিবুকার্স---------------------৭০----------৪৬%
পেপাল-------------------------৩২----------২১%
ব্যাংকওয়্যার ট্রান্সফার----------১৯----------১৩%
চেকের মাধ্যমে-----------------১৬----------১১%
ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন--------------১১-----------৭%
অ্যালার্টপে----------------------৩২----------২১%
অন্যান্য-------------------------৩২----------২১%
বর্তমানে মার্কেটপ্লেসগুলোতেই পেপালের বিকল্প হিসেবে বিভিন্ন পদ্ধতি চালু রয়েছে।
বিশেষ করে পেওনার ডেবিট মাস্টারকার্ড এবং মানিবুকার্সের সাহায্যে প্রায় সব জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস থেকে টাকা দেশে আনা যায়। তবে যারা সরাসরি ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে কাজ পান, তাদের ক্ষেত্রে পেপাল না থাকা একটি বড় ধরনের অসুবিধা। যদিও আমাদের দেশে পেপালের সার্ভিস নেই, তথাপি জরিপে দেখা যায় ২১% ফ্রিল্যান্সার পেপাল ব্যবহার করছেন। এক্ষেত্রে তারা বিদেশে অবস্থিত তাদের আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের সাহায্যে পেপালের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করছেন। অনেকে আবার ভিন্ন কোনো দেশের ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে পেপালে অ্যাকাউন্ট তৈরি করছেন এবং তা পেওনার মাস্টারকার্ড দিয়ে ভেরিফাই করিয়ে নিচ্ছেন।
তবে একসময় পেপাল বিষয়টি ধরে ফেলে এবং সাথে সাথে অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে ফেলে।
উল্লেখ্য, ** চিহ্নিত প্রশ্নগুলোতে একাধিক উত্তর নির্বাচন করার সুযোগ ছিল। ফলে মোট শতাংশ ১০০%-এর বেশি হতে পারে।
ওডেস্কে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদের বর্তমান অবস্থা
জরিপে দেখা যায়, বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে ওডেস্ক। ওডেস্কে অন্তত একটি কাজ করেছেন এরকম বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে কে কোন ধরনের কাজ করছেন এবং কে কতটুকু ভালো করছেন তা নিচের চার্ট থেকে বোঝা যায়-
কাজের ধরন------------------- রেটিং------------কাজের অভিজ্ঞতা
Web Development------৯৫৭---৪.৫ - ৫.০-----১,৩৮৯------১ ঘণ্টা বা ১ ডলার আয় ১,৯১৫
Software Development--৩৬৩-৪.০ - ৪.৫-------২৭৬------১০০+ ঘণ্টা ৮৮৫
Networking &
Information Systems-----১৯৬-৩.০- ৩.৯-------২১৭-----১০০০+ ঘণ্টা ১৩০
Writing & Translation ----৭৪৮-২.০- ২.৯--------৭৯
Administrative Support---১,৩৩১----১.০ -------১.৯--------৯০
Design & Multimedia -------৮১৪
Customer Service-------------৩৩৫
Sales & Marketing----------১,১৬৯
Business Services-----------৩০৩
ওডেস্কে প্রাপ্ত বিভিন্ন পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, কম খরচে যেসব দেশ আউটসোর্সিং কাজ করে থাকে তাদের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়।
বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদের গড় রেট প্রতিঘণ্টায় ৬.৫৩ ডলার। এক্ষেত্রে প্রথম অবস্থানে রয়েছে ফিলিপিন্স, যাদের গড় রেট ৫.৯৬/ঘণ্টা। অন্যদিকে রেটিং বা কাজের মানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বেশ পিছিয়ে রয়েছে। গড় রেটিং ৪.১১ নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ৪৮তম, যেখানে প্রথম অবস্থানকারী লাটভিয়ার গড় রেটিং ৪.৮২। বাংলাদেশের ঠিক আগের অবস্থান অর্থাৎ ৪৭তম স্থানে রয়েছে আমাদের পাশের দেশ ভারত।
ওডেস্কে বাংলাদেশী টিম বা এজেন্সিগুলো বেশ ভালো করছে। গত এক মাসে গড় রেটিং ন্যূনতম ৪.০ এবং ৪০০ ঘণ্টার ওপর কাজ করেছে, এরকম একটি তালিকায় শীর্ষ ৫০-এ ৬টি বাংলাদেশী এজেন্সি রয়েছে। তন্মধ্যে Creative Innovation নামে ঢাকা থেকে পরিচালিত একটি টিম ৮ম স্থানে রয়েছে। আর ‘কমপিউটার জগৎ’ ম্যাগাজিনে গত বছর ফিচার করা টিম ‘আলফা ডিজিটাল’-এর অবস্থান ৫১তম।
বাংলাদেশীদের মধ্যে ওডেস্কে সবচেয়ে বেশি ঘণ্টা কাজ করেছেন ‘মিনহাজ পারভেজ’ নামে এক ফ্রিল্যান্সার।
তিনি মূলত ডাটা এন্ট্রি, আর্টিকেল সাবমিশন এবং এসইও-এর কাজ করে থাকেন। ২০০৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত তিনি ৩৩টি প্রজেক্টে মোট ৯ হাজার ঘণ্টার ওপর কাজ করেছেন। তার গড় রেটিং ৪.৯৯। তিনি গত তিন বছরে ওডেস্ক থেকে ৩০ হাজারের অধিক ডলার আয় করেছেন। বর্তমানে ওডেস্কের সব ফ্রিল্যান্সারের মধ্যে মিনহাজ পারভেজের অবস্থান ১৭তম।
তবে শীর্ষ ৫০-এ আর মাত্র এক বাংলাদেশীকে খুঁজে পাওয়া যায়। তিনি হচ্ছেন ‘দেলওয়ার হোসেন’ নামে আরেকজন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর। তিনি মোট ৮ হাজার ঘণ্টা কাজ করে শীর্ষ ২৮তম স্থানে অবস্থান করছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।