আজকাল বাংলাদেশে হুজুরদের নারী নীতি বিরোধী আন্দোলনের ব্যপারে আমার একটি প্রশ্ন তা হচ্ছে যেহেতু বিষয়টা নারীদের স্বার্থের সঙ্গে সরাসরি জড়িত তাই এ আন্দোলনের সঙ্গে মুসলিম নারীদেরকও জড়িত রাখা উচিত ছিল নয় কি? কিন্তু মিটিং মিছিলে কোন নারীদেরকে তো দেখা যায় না!
আজ যদি মুসলিমা নারীরাও হুজুরদের সঙ্গে মাঠে নেমে স্লোগান দিতেন যে সরকারের এই নীতি আমরা মানি না কেননা আমরা মনে করি এটা ইসলাম বিরোধী। তাহলে আইন মন্ত্রী হজুরদেরকে তালেবান বলে গালি দিতে পারতেন না। স্যটেলাইট টিভিতে মিশরের গন আন্দোলনে হিজাব পড়া মহিলাদেরকেও রাস্থায় এসে স্লোগান দিতে দেখেছি। এরা নিশ্চয় মুসলিম ব্রদারহুডের সঙ্গে জড়িত আর না হলেও তারা নিশ্চয় বামপন্তি হবেন না। ইসলামে বিশ্বাসী মুমিনা বলেই আমার কাছে মনে হয়েছে।
মহিলাদের ব্যপারে বাংলাদেশের ইসলামী আন্দোলনের লোকদের কেমন যেন এক বিব্রত বোধ সবসময় তাড়া দেয় যার ফলে তারা নরমেল বা স্বাভিক হতে পারেন না কিন্তু এতে ক্ষতি কার হচ্ছে? একজন মহিলাকে একা পাঠিয়ে মক্কা শহর আবাদ করাতে পারলেন আল্লাহ আর আমরা মুসলিম পুরুষেরা আমাদের মা বোনকে ইসলামের ব্যপারে সামনে আনতে রাজিনা! ইসলামে নারী অধিকার নিয়ে পরুষেরা বড় বড় প্রবন্ধ লিখেন কিন্তু নারীদেরকে তেমন কোন বই পুস্তক লিখতে দেখিনা সে বিষয়ে। নারীরা নিজেরাই তো বলতে পারে যে ইসলামে তাদের কতটুকু অধিকার আছে? আজ যদি ইসলামী চরিত্রের একজন নারী লিডার বাংলাদেশে থাকতেন তাহলে হয়তবা এতদিনে খালেদা জিয়াও হিজাব পড়া শুরু করতেন।
বাংলাদেশে নারীকে আজ রাস্থায় দেখা যায়,অফিসে দেখা যায়, দোকানে দেখা যায়,স্কুলে দেখা যায়, কলেজে দেখাযায়, সিনেমায় দেখা যায়, মিডিয়ায় দেখা যায় এক কথায় সর্বত্রই তারা আছেন কিন্তু ইসলামী আন্দোলনে তারা নাই? আর থকলেও কেন দেখা যায় না? কারন আমাদরে হুজুরদের মনমানষিকতা আর আমাদের দেশের পুরুষশাসিত তথাকথিত ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা যারা মধ্যপ্রাচ্যসহ পরবির্তনশীল বিশ্বের কোন খবর রাখেননা। এমনকি তাদের নিজেদের ছেলেমেয়েদের মনমানষিকতা সর্ম্পকেও তারা বেখেয়াল!
আজ একবিংশ শতাপ্দীর এই যুগে ইসলামী আন্দোলনে যুবসমাজকে তথা তরুন তরুনীকে সামনের কাতারে আনলে লাভ কার হবে আর ক্ষতি কার হবে সে হিসাব করার মত ক্ষমতা বা বুদ্ধি চেতনা আমদের হুজুরদের মাঝে নাই । তাই বাংলাদেশের হুজুররা হচ্ছেন আরেক জগতের মানুষ ।
সাধারন মানুষের কাছে তাদের কথাবার্তার কোন আবেদন নাই, গুরুত্ব নাই! তাদের যদি বুদ্ধি থাকত তাহলে তাদের দাবী সঙ্গে নারী সমাজের কল্যানে বাস্তমুখি আরো কিছু দাবী যোগ করতে পারতেন যেমন যৗতুক প্রথা বিলোপ , ইভ টেইজিং বন্ধ করা , বিয়ের সময় নগদ মহরানা আদায় ইত্যাদি।
অতএব হুজুরদের নারী নীতি বিরোধী আন্দোলন ব্যর্থ হবে ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।