আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আপনার বউ অথবা গার্লফ্রেন্ডকে কিভাবে ঝগড়ায় হারাবেন- তার এক ডজন উপায়

আমি একটু তার ছিঁড়া

আপনার বউ অথবা গার্লফ্রেন্ডকে কিভাবে ঝগড়ায় হারাবেন- তার এক ডজন উপায় ১। আপনার কাছে যতরকমের লজিক আছে সব নদীতে-পুকুরে ফেলে দেন। বউ এবং গার্লফ্রেন্ড - এর নিজেরা কখনোই কোন প্রকার যুক্তি ব্যবহার করেনা, মানেওনা। যৌক্তিক এবং অযৌক্তিক - দুই ধরনের আক্রমন চালিয়ে যান। কোন থামাথামি নাই।

২। ঝগড়া চলাকালীন কোনও রকম কম্প্রোমাইজ করবেন না। আপনাকে আর্গুমেণ্টে পুরোপুরি জিততে হবে। হাফ/কোয়ার্টার জিতলে কোন লাভ হবেনা। কেননা উনারা বড়ই ছলনাময়ী, আপনার সাথে প্রেমের অভিনয় করে মিষ্টি ব্যবহার দেখিয়ে সব নিয়ে যাবে।

পারলে এইসব মোহনীয় জিনিষ থেকে দুরে থাকুন। আখেরে অবশ্যই কাজে দেবে। ৩। আপনি সস্তা কথা বলতে ছাড়বেন না। তাকে মোটা (ভূটকী হলো বেস্ট শব্দ), কিংবা শুকনা(পাটকাঠি বা এই টাইপের যা মনে আসে বলে যাবেন), অথবা তার যত বদভ্যাস আছে সব গুলো দিয়ে আক্রমন করুন।

মেয়েরা সে মোটা এটা শুনলে তারা সমস্ত লজিক হারিয়ে ফেলে, উনার মাথা পুরোপুরি আউট করতে চাইলে এখনি ইউজ করে দেখুন। আর বদভ্যাস নিয়ে কথা বললে দেখবেন রাগের ছোটে মাথা দিয়ে ধোয়া বের হচ্ছে, কিন্তু মুখ দিয়ে একটা কথাও বের হচ্ছেনা। ৪। মেয়েদের ইতিহাস/পাতিহাস ভালোমত মনে থাকেনা। সুযোগ পেলেই যত পুরানো জিনিষ আছে সব মনে করেন, সামনে এনে সমানে পচায়ে যান।

নিশ্চিত বিজয় হবেই হবে। ৫। উনাকে কখনোই কথা বলতে দিবেন না। কথার মাঝখানে বার বার ইণ্টারাপ্ট করে যান যাতে তাঁর চেইন অব থট নষ্ট হয়ে যায়। আর সব উল্টাপাল্টা লেগে যায়।

দেখবেন উনি আর কথাই খুঁজে পাচ্ছেন না। ৬। সবসময় হাসেন, উনি যতই/যেকোন সিরিয়াস কথা বলুক আপনি আরো বেশী করে হাসেন। এতে উনি একেবারেই হিতাহিতজ্ঞানশূন্য হয়ে যাবেন। ৭।

সিরিয়াস আলোচনার মধ্যে ধপাস করে একটা পাদ দিতে পারেন তাকে আরো হিতাহিত জ্ঞানশুন্য করার জন্য। (এইটা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সাকসেসফুল পদ্ধতি, অবশ্য ব্যবহার করতে গেলে বুকের পাটা এবং বেশ কিছুটা নির্লজ্জ হওয়া চাই। ) ৮। বেশী খ্যাচম্যাচ করলে দ্রুত জিজ্ঞেস করবেন, "তুমার কি মাসিক হইতাসে নাকি, এর লাইগাই কী এত ক্যাওম্যাও করতাস?" তারপর এটিএম শামসুজ্জামান অথবা হুমায়ুন ফরিদি ইষ্টাইলে একটা পশ্চাতদেশ জ্বালানো হাসি দিবেন, কাহিনী পুরোপুরি খতম। (মাগার উনি কানলে কিন্তু আপনে গইলা যায়েন না।

) ৯। সমানে তাকে তার বান্ধবীগুলো কিংবা আপনার পুরানো যত গার্লফেরেণ্ডের সাথে তুলনা দিয়ে যান, সে নিজেরে ছোট ভেবে অটোমেটিক ঠান্ডা হয়ে যাবে। দুই চারদিন থেকে দীর্ঘদিন কথাবার্তা বন্ধ থাকতে পারে, মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে বইলেন। ১০। কান্নাকাটি ঝগড়ার সময় করবে না এইটা এই ইহজনমে হয়নাই।

কান্নাকাটি শুরু করার সাথে সাথে কইবেন, "তুমি হালায় দুই বছরের ছোট/গ্যাঁদা বাচ্চা নাকি, কোনও ম্যাচিউরিটি নাই তোমার মধ্যে। " এইটা মোটামুটি অব্যর্থ, কারণ মেয়েরা ম্যাচিউরড হইতে ভালোবাসে। কান্নাকাটি স্টপ হয়ে যাবে সাথে সাথেই। ১১। সব কিছু ফেইল করলে বলবেন, "তুমি তোমার শ্বাশুরীর মতো আনরিজনেবল।

তোমার শ্বাশুরীও ঠিক তোমার মত করতো। " মেয়েরা তাদের সব সময় তাদের শ্বাশুরীর থেকে ডিফারেন্ট হতে চায়, একটা অলিখিত প্রতিযোগিতা থাকে সবসময়। ১২। সব চেয়ে ডেনজারাস বুদ্ধি হলো উনার বয়স নিয়ে খোঁটা দেয়া। খালি ঝগড়ার মাঝে বলে দেখেন, "আসলে তোমার অনেক বয়স হয়ে গেসে তো বা তোমার বয়স হচ্ছে তো, বুড়ি হলে বুদ্ধিশুদ্ধি লোপ পায়"।

এইটা কইলে কিন্তু দুইএকটা এটম বোমা ফুটতে পারে। প্রিপারেশন নিয়ে বলবেন। কিন্তু যুদ্ধে বিজয় নিশ্চিত। নেন, বিনা পয়সায় দিয়া গেলাম, বিফলে মুল্য ফেরত! শুধু পড়লে হবে না, এপ্লাই করেও দেইখেন, আর আমারে রেজাল্ট জানায়েন । ইন্টারনেট হতে সংগৃহীত ।


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.