পান্না মাস্টারের ১৫০ ধর্ষণের কাহিনী প্রকাশিত হওয়ার পর জনমনে প্রশ্ন উঠে,একটা মানুষ এতটা পশু হতে কী করে?? হ্যাঁ,পারে। আমাদের সমাজব্যবস্থা আমাদের সে সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। বর্তমান সমাজের কর্পোরেট নারী বাণিজ্য ধর্ষক যেমন তৈরি করে, তেমনি এর কোন বিচার না হওয়ার ব্যবস্থা সৃষ্টি করে ধর্ষককে অনুমোদন দেয়।
এখন সবচেয়ে লক্ষনীয় ব্যাপার হল, সুশীল সমাজের এ ক্ষেত্রে নিরবতা। রাতের বেলা টকশো কাঁপানো এই বুদ্ধিজীবীরা যে পান্নাকে নিয়ে কোন কথা বলবে না সেটা আমাদের কাছে বিস্ময় হয়ে আসে না।
এদের মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকার কারণ মূলত এই যে-
১। ধর্ষিতারা মুসলিম। তারা হিন্দু বা আদিবাসী নয়,কাজেই অসাম্প্রদায়িকতার ব্যবসা করা যাবে না।
২। পান্না জামায়াত-শিবির করেনা,কাজেই চেতনা ব্যবসা করা যাবে না।
৩। পান্নার দাড়িটুপি নেই,কাজেই একে ইসলাম না মুসলমানের দোষ হিসেবে প্রচার করা যাবে না।
৪। এটা ঢাকার কোন স্কুলে হয়নি
আর তাই মোচু মিজানরা এখন নিশ্চুপ। নারীবাদী রোকেয়া প্রাচীরা পান্নাকে তওবা করতে বলে না।
বিটিভিতে দিনরাত পান্নার ভিডিও দেখানো হয়না। সুলতানা কামালদের চুলে টান পড়েনা। নবনীতাদের মুখ লাল হয়ে যায়না। আবুল মকসুদেরা একাত্তর টিভিতে এসে পান্নাকে নিয়ে দুটো কথা বলেনা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি তাকে অমুসলিম ঘোষণা করেনা।
পান্নার বিরুদ্ধে মানববন্ধন হয়না।
হ্যাঁ, শফি সাহেবের মুখে তেঁতুলের কথা শুনে এদেরই শাড়ি-লুঙ্গি খুলে গিয়েছিল। কারণ শফির মাথায় টুপি,মুখে দাড়ি। পান্নার তো আর তা না।
মুখবন্ধঃ
আমরা শুধু ৯০% মুসলিমই হইছি, আর কিছু শিখিনি।
আজকে যদি কোন নেতার সাথে কিছু হইত, ঠিকি এই জনতা/নেতার ভক্তরা একটা কিছু করে ফাটায়ে ফেলত। বাট এখন কারও কোন রা নাই। ১৫০ টা মেয়ে রেপড। এন্ড ইয়েট দিস পান্না ইজ নট হ্যাঙ্গড, নরমাল আইনেই যেটা আছে!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।