আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডিসকাশন

I want to be a dedicated social worker. আসসালামুয়ালাইকুম। আশা করি সকলেই ভাল আছেন। ফেসবুকে DISCUSSION পেজ এ (amake quraner bekkha din 5 Oakto namaj kivabe porte hobe and Kayem korte hobe... I mean, Takbir, roko, shejda, Dorod etc...Jate kore ami Sohi vabe namaj porte pari... thanks..) পোস্ট করছিলাম আমাকে যে যে উত্তর দেয়া হল তা নিম্নে ক্রমানুসারে দিয়ে দিলাম। আসাকরি আপনারা যে যা জানেন (কোরআন অনুযায়ী) তা আমাকে জানাবেন। ধন্যবাদ।

Syyeed Einstine: Quraan mojide 5 wakt namajer kotha ba adesh nai. ache 2 wakt salat er kotha. salat sobder ortho valobasa. tai tai eti sthapon korte hoy. sura hud 114 ayate Allah diner duiprante rater ongshe salat korte bolechen. surjo udoyer age rater ongsho hocche suve sadik ei somoy Quraan study & fojor salat ar surjaster por rater onsho hocche esha'r salat jake sobai magrib bole etai esha'r wakt. ar ei 2 wakt salat 2 unit kore. ruku name kono alada position nai. ruku mane binoy. salate ache dariye Quraan pora ar sejda ei 2 obosthatei ruku ba bioyabonoto thakte hobe. ekbar dariye Quraan porar por 1 ti sejda 1 unit. evabe 2 unit fojore ar 2 unit esha'te. Syyeed Einstine: ki vabe ki korte hobe sob ache Quraan mojide. sura bani-israil er 107 theke sesh porjonto sura nesar 102-103 ar saptahik salat 62:9-11 Rafiqul Islam: Tahole islame 5 Oakto aslo keno? Sultan Ashiq Mahmud: সালাতঃ আরবী শব্দ صلاة (সালাত) যার অর্থ হচ্ছে যোগাযোগ প্রার্থনা। আরবী শব্দ صلاة টি এসেছেএই Sultan Ashiq Mahmud সালাতের প্রস্তুতিঃ শারীরিক প্রস্তুতিঃ যৌন সম্ভোগ পরবর্তি অবস্থায় সালাত আদায় করতে হলে গোসল বা সারা শরীর ধৌত করতে হবে (৪:৪৩;৫:৬)। যখনই সালাতে দাঁড়ানো হোকনা কেন তার জন্য প্রস্তুতি প্রয়োজন। এক্ষেত্রে শারীরিক প্রস্তুতিকে অজু হিসেবে অভিহিত করা যায়। অজুর ধাপসমূহ (৫:৬) হচ্ছে, ১.মুখমন্ডল ধোয়া ২.কনুই পর্যন্ত হাত ধোয়া ৩.মাথায় ভেজা হাত বুলানো (মাসাহ করা) ৪. পায়ের গোড়ালি পর্যন্তধোয়া/মাসাহ করা *পায়খানা, প্রশ্রাব আর পাদের কারনে অজু নষ্ট হবে (৫:৬)।

এক্ষেত্রে আবার অজু করতে হবে। মানসিক প্রস্তুতিঃ উত্তেজিত, বিশৃঙ্খল বা অচেতন মন নিয়ে সালাতে দাঁড়ানোযাবে না, মনোযোগি,বিনয়ী ও সচেতন চিত্তে সালাতে দাড়াতে হবে (৪:৪৩)। সালাতে বিনয় নম্র হতে হবে, হতে হবে যত্নবান (২৩:২;২৩:৯)। সালাতের খবর রাখতে হবে , এর ফলাফল সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে (২৯:৪৫; ১০৭:১-৭)। শুধুমাত্র আল্লাহকে স্মরণের জন্য (২০:১৪;২৯:৪৫) ও একমাত্র আল্লাহর প্রতিই হবে সালাত (৬:১৬২)।

এমন মনে করা যাবে না যে সালাতে আল্লাহর সাথে অন্য কারও (নবী রাসূল,পীর টির এর) নাম নিলে সালাতভালো হবে বা সালাতে আল্লাহছাড়া আর কাওকে ডাকা যাবে না (৭২:১৮)। Sultan Ashiq Mahmud সালাতের পোশাক ও কন্ঠস্বরঃ সুন্দর পোশাকে সালাত আদায় করা উচিৎ (৭:৩১)। কুরআন কোনও পোশাক নির্দিষ্ট করে দেয় নি। যেকোনও পোশাকে সালাত আদায় করা যায়। সালাতে থাকতে হবে স্বাভাবিক কন্ঠস্বর, উচ্চস্বরে এবং ক্ষীনস্বরেসালাত আদায় করা নিষেধ (১৭:১১০)।

জামাতে সালাত আদায় করার সময় ইমাম স্বাভাবিক স্বরে পাঠ করবে,আর ইমামের সাথে সালাত আদায় কারীরা মনোযোগের সাথে শ্রবন করবে (৭:২০৪)। সালাত যেহেতু উচ্চস্বরে বা ক্ষীনস্বরে পড়তে আল্লাহ নিষেধ করেছে। সুতরাং পুরু সালাত বা সালাতের কিছু অংশ উচ্চস্বরে বা ক্ষীনস্বরে পড়া আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করা। Sultan Ashiq Mahmud সালাতের দিকঃ সালাতে ইব্রাহিম নির্মিত কা’বার দিকে মুখ করে দাড়াতে হবে (২:১২৫,১৪৩-১৫০; ২২:২৬)। সালাতের কঠোর নিয়মানুবর্তিতাঃ সালাত আদায় করতে নিয়মিতভাবে মৃত্যু পর্যন্ত।

নির্ধারিত সময়সূচির মধ্য সালাত আদায় করা অবশ্য কর্তব্য (৪:১০৩)। এমনকি যুদ্ধক্ষেত্রেও সালাত আদায় করতে হয়, জীবনের নিরাপত্তা বজায় রেখে (৪:১০২)। হায়েজের সময় আল্লাহর সাথে সংযোগ স্থাপনে নিষেধ করা উচিৎ না। বিশেষ অসুবিধার ক্ষেত্রে সালাত সংক্ষিপ্তকরণ ও সালাতে শিথিলতার সুযোগ রয়েছে (৪:১০১-১০৩; ২:২৩৮-২৩৯)। তা বিশেষক্ষেত্র পরিচ্ছেদে আলোচিত হল।

বিশেষক্ষেত্রঃ পানি না পাওয়া গেলে অজু/গোসল/অজু+গোসলের পরিবর্তে ধুলির উপর হাত মেরে দু হাতও মুখমন্ডল মাসাহ করতে হবে (৫:৬)। যদি স্থির হয়ে দাঁড়ানোরকোনওউপায় না থাকে তাহলে যানবাহনের উপরে বা হেটে যেতে যেতেও সালাত আদায় করা যাবে (২:২৩৯)। যুদ্ধক্ষেত্রে জীবনের নিরাপত্তা বজায় রেখে সংক্ষেপে সালাত আদায় করতে হবে (৪:১০১-১০২)। সালাত আদায়ে কোনও জটিলতার সম্মুক্ষিন হলে বিবেকসুদ্ধ উপায়ে সালাত আদায়ের সালাত আদায়ের উপায় বের করে সালাত আদায়করতে হবে। সালাত মিস দেওয়া যাবে না।

Sultan Ashiq Mahmud ক্বাজা সালাতঃ সালাত নির্দিষ্ট সময়ে আদায় করা অবশ্য কর্তব্য (৪:১০৩)। তাই অনিবার্য কারনবসত একসময়ের মিস হওয়া সালাত অন্য সময়ে আদায় করা যাবে না। রোজার মত সালাতে কোনও ক্বাজা নাই। যা মিস হল তা হয়েই গেল। এজন্য শুধু অনুশোচনা করতে পারি।

জামাতে সালাত আদায়ঃ জুমুয়ার দিনের সালাত জামাতে আদায় করা অবশ্য কর্তব্য। অন্য দিনেরসালাত জামাতে আদায়করা অবশ্য কর্তব্য না। তবে একত্রে থাকা অবশ্যই কুরআন উৎসাহিত করে (৪:১০৩;২:৪৩)। কিন্তু অন্য সালাত একত্রে আদায় করা অবশ্য কর্তব্য না কিন্তু একত্রে পড়াটা ভালো। জুমুয়ার দিনের সালাতঃ জুমুয়ার দিনে যখন সালাতের জন্য ডাকা হবে সেদিন সবারই একসাথে সালাতের জন্য যাওয়া অবশ্য কর্তব্য (৬২:৯)।

অর্থাৎ জুমুয়ার দিনে অবশ্যই একত্রে সালাত আদায় করতে হবে। ব্যবসাবাণিজ্য কাজকর্ম বাদ দিয়ে সালাতের দিকে ধাবিতহতে হবে। Sultan Ashiq Mahmud সালাতে নারী পুরুষঃ নারী পুরুষ উভয়েরই সালাত আদায় করতে হবে (৯:৭১)। সালাতে নারী পুরুষের কোনও ভেদাভেদ নেই। পুরুষ নারী উভয়েরই আল্লাহর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে।

সালাতের নিয়মেও নারী পুরুষের কোনও পার্থক্য নেই। Sultan Ashiq Mahmud কুরআন বর্নিত সালাতসমূহেরনামঃ ১. সালাতুল ফজর বা ভোরবেলার সালাত (২৪:৫৮) ২.সালাতুল ইশা সন্ধ্যাবেলার সালাত (২৪:৫৮) ৩.সালাতুল উসতা বা মধ্যবর্তি সালাত (২:২৩৮) সালাতসমূহের সময়সূচীঃ সালাতের নাম থেকেই বুঝা যাচ্ছে সালাতে সময়টা কেমন হবে। তারপরও আরও পরিষ্কারভাবে সময় পরিধি দেওয়া আছে সুস্পষ্ট কুরআনে। ফজরের (ভোরের) সালাত এবং ইশার (সন্ধ্যার) সালাতঃ "তোমরা সংযোগ প্রার্থনা (সালাত) পালন করবে দিনের দুই প্রান্তে, এবং (প্রতিটি প্রান্তিক সালাত)রাতের নিকটঅংশে । পূণ্য কাজ পাপ কাজকে দূর করে দেয়।

যারা মনোযোগ দেয় তাদের জন্য এটি এক স্মারক। " (১১:১১৪) দিনের দু প্রান্ত বলতে কি বুঝি? সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত। যার সময়কাল হল১ মিনিট। আর একমিনিটে সালাত আদায় করার সময় কি থাকে? কিন্তু এখানে বলেছে দিনের দুপ্রান্ত থেকে রাতের দিকে যাবে। ওয়া জুলফান মিনাল লাইলি বিষয়টা পরিষ্কার করে।

আর রাতের নিকটতম অংশ ভোর ও সন্ধ্যা। এরকম উদাহরণ বাংলা বাক্যেও আছে। যেমন, ডাক্তার বলতে পারে"তিনবেলা ঔষধ সেবন করবেন এবং ভাত খাওয়ার একঘন্টার মধ্যেই। " দ্বারা আলাদাভাবে ঔষধ সেবন বুঝায় না। তাতে চারবার ঔষধ সেবন করতে হবে না।

বরং''এবং'' এর পরের অংশ তিনবেলাকেই আরও সুন্দরভাবে বর্ণনা করে। * ইশা অর্থ হল সন্ধ্যা। দেখুন ৩:৪১; ৬:৫২; ১২:১৬; ১৮:২৮; ১৯:১১; ১৯:৬২; ৩৮:১৮; ৩৮:৩১; ৪০:৪৬; ৪০:৫৫; ৭৯:৪৬। *সময় হিসেবে যে দুটি আছে তা হল সন্ধ্যা বা ইভিনিং। তাছাড়া এমনিতেও সব যায়গায় সন্ধ্যা হিসেবেইব্যবহৃত হয়েছে।

হাদিসের প্রভাব বাদ দিলে শুধুমাত্র কুরআন অনুযায়ী২৪:৫৮ এ রাতের যায়গায় সন্ধ্যা হবে। Sultan Ashiq Mahmud মধ্যবর্তী সালাতঃ "সূর্য্য ঢলে পড়ার সময় থেকে রাত্রির অন্ধকার পর্যন্ত সালাত পালন করবে। ফজরে (ভোরে) কোরআন (পাঠও) সংরক্ষণ করবে। নিঃসন্দেহেফজরের (ভোরের) কুরআন পরিলক্ষিত হয়। " (১৭:৭৮) এখানে একটি সালাতের সময়সীমা দেওয়া হয়েছে।

সূর্য্য দুপুরে ঢলে পড়ার পর থেকে এ সালাত শুরু হয়। সন্ধ্যা হওয়া মাত্রই এটা শেষ হবে। সূর্য্য ঢুবে যাওয়ার সাথে সাথেই রাতের অন্ধকারের সূচনা হয়। একারনেই রাত পর্যন্ত রোজা পূর্ণ করা মানে হল সন্ধ্যাপর্যন্ত (২:১৮৭), আমরা সন্ধায় ইফতার করি। Sultan Ashiq Mahmud সালাতের বর্ননাঃ সালাতের সংক্ষিপ্ত কাঠামোবর্ণিত হয়েছে ৪:১০২ এ।

অর্থাৎ সালাতের সংক্ষিপ্তকাঠামো হচ্ছে ১. দাঁড়ানো ২. অন্তত একটা সিজদাহ যুদ্ধাকালিন বা আতঙ্কের সময় সালাত সংক্ষিপ্ত করার বিধান দেওয়া হয়েছে। আর অন্যান্য ক্ষেত্রে এর চেয়ে অধিক হবে। এই কাঠামোর পূনরাবৃত্তি হতে পারে। ৪:১০২ এ ইমামের দুবার পূনরাবৃত্তি হয়েছে এই কাঠামোর। আমরা এই কাঠামোকে এক ইউনিটবলতে পারি।

অর্থাৎ যুদ্ধক্ষেত্রে এক ইউনিট পড়তে হবে অন্য সময় আরও বেশি। অর্থাৎ অন্তত দুই ইউনিট পড়া উচিৎ। তবে কুরআন সালাতের কোনও ইউনিট সংখ্যা বেধে দেয় নি। মনোযোগিতা বজায় থাকলে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে অনেক সময় নিয়ে সালাত আদায় করা যাবে। তবেবিচ্ছিন্ন মন নিয়ে সালাত আদায় করা উচিৎ হবে না (৪:৪৩)।

Sultan Ashiq Mahmud সালাতে পাঠ্য বিষয়ঃ ২৯:৪৫ এ সালাতে কুরআন থেকে পাঠ করতে বলা হয়েছে। আর ১৭:১১১ এ নির্দিষ্ট কিছু শব্দ সালাতে পাঠ করতে বলা হয়েছে। আর সসম্ভ্রমে তাঁর তাকবীর (“আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ”) দিতে বলা হয়েছে। "তুমি নিজের সালাত আদায়কালে স্বর উচ্চগ্রাসে নিয়ে গিয়ে পড়বে না এবং নিঃশব্দেও পড়বে না। এতদুভয়ের মধ্যমপন্থা অবলম্বন কর এবং বলো " সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর যিনি না কোন সন্তান রাখেন , না তাঁর সার্বভৌমত্বে কোন শরীক আছে এবং যিনি দুর্দশাগ্রস্ত হন না , তাই তাঁর কোনও সাহায্যকারীর প্রয়োজন হয় না ।

" এবং তুমি স-সম্ভ্রমে তাঁর তাকবীর (মাহাত্ম ঘোষনা) করতে থাকো। " (১৭:১১০-১১১) আল্লাহ সালাতের মাধ্যমে প্রার্থনা করতে বলেছেন (২:৪৩; ২:১৫৩)। তাই সালাতে প্রার্থনামুলক বাণী পড়া যাবে। সূরা ফাতিহা পুরুপুরি প্রার্থনামুলক। সূরা বাকারার শেষের দুটি আয়াতেও প্রার্থনা আছে।

এই প্রার্থনামুলক বাণীগুলো সালাতে পড়া যাবে। সালাত হচ্ছে আল্লাহর সাথে যোগাযোগ। আমরা তাঁর সাথে কথা বলি তাঁর কাছে চাই। এখানে তাঁরসাথে চাইতে কোনও সমস্যা নাই। “প্রার্থনামুলক বাণী” আর “১৭:১১১ এর অংশ” দাঁড়ানো অবস্থায় পড়তে হবে।

“১৭:১১১ এর অংশ” টা পাঠ করা অত্যন্ত গুরূত্বপূর্ণ। সিজদায় মধ্যে পড়তে হবে “আমাদের পালনকর্তা পবিত্র,মহান। আমাদের প্রভুর প্রতিশ্রুতি সত্য। ” (১৭:১০৭-১০৮) Sultan Ashiq Mahmud প্রচলিত সালাতের কুরআন পাঠ জনিত সমস্যা ৪:৪৩ এ আমরা দেখি অবচেতন মননিয়ে সালাত আদায় করা নিষেধ, আর আমরা সালাতে পাঠ করি তা না বুঝেও সালাত আদায় করা নিষেধ। সালাতে আমরা আল্লাহর সাথে যোগাযোগ করি (সালাত অর্থই যোগাযোগ প্রার্থনা)।

আমরা যা বলছি তা আমাদের জানতে হবে। কারন সালাতে আল্লাহকেই বলা আল্লাহর কাছেই আমরা চাই। তাকেই ডাকি। যেমন, একজন আল্লাহর কাছে যদি বলে "আমরা কি আপনার বক্ষ উম্মুক্ত করে দেইনি? আমরা লাঘব করেছি আপনার বোঝা, যা ছিল আপনার জন্যে অতিশয়দুঃসহ। আমি আপনার আলোচনাকে সমুচ্চ করেছি।

" (৯৪:১-৪) বা, “নিশ্চয়ই আমরা তোমাকে কাওছার (প্রাচুর্য্য) দান করেছি। ” (১০৮:১) তাহলে তা কি হাস্যকর হয়ে যায় না? অথবা যদি বলে, “বল,….”। আল্লাহ বলেছেন, সালাতে বিনয়ী থাকতে (২৩:২), আল্লাহ বলেছেন সালাতের মাধ্যমে প্রার্থনা করতে (২:৪৫;১৫৩), আল্লাহ বলেছেন সালাতে আল্লাহর মাহাত্ম্যঘোষনা করতে (১৭:১১১), আল্লাহ বলেছেন সালাত তার স্মরনের জন্য (২৯:৪৫), সালাত শুধুমাত্র তার প্রতি। সুতরাং যে সমস্ত সূরা বা আয়াত সমূহ বিনীত আবেদন প্রকাশ করে সেগুলো সালাতে পাঠ্য হতে পারে। প্রার্থনা দেওয়া আছে এরকম কিছু কুরআনের আয়াত হল (১:১-৭), (২:১২৭, ১২৮, ২০১, ২৮৬), (৩:৮, ১৬, ২৬, ২৭, ৩৮, ৫৩, ১৯১, ১৯২, ১৯৩, ১৯৪), (৪:৭৫), (৫:৮৩,৮৪), (৭:২৩, ১২৬), (১১:৪৫), (১২:১০১), (১৪:৪০, ৪১),(২০, ২৫, ২৬, ২৭, ২৮, ২৯, ১১৪), (২১:৮৩, ৮৭, ৮৯, ১১২), (২৩:২৮, ২৯, ৯৩, ৯৪, ৯৭, ৯৮, ১১৮), (২৪:৬৫, ৬১), (২৫:৭৪), (২৬:৮৩,৮৪, ৮৫), (২৭:১৯), (৩৭:১০০), (৪০:৭, ৮, ৯), (৪৩:১৩,১৪), (৫৯:১০), (৬০:৪,৫), (৬৬:৮,১১)।

এক এক জনের আবেদন বা প্রার্থনা এক এক রকম হতে পারে। প্রার্থনা যে কুরআনের আয়াতই হতে হবে এমন না। তার ব্যক্তিগত সমস্যার জন্য সে আল্লাহর নিকট চাইতে পারে। মনে মনেওআবেদন থাকতে পারে। প্রচলিত তাশাহহুদ, দরুদ ও সালাম ফিরানো সবই কুরআন বিরুদ্ধ ।

সালাত আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য। এর সব কিছুই হবে আল্লাহর প্রতি নিবেদিত। Sultan Ashiq Mahmud সালাতের ভাষাঃ সালাত যেহেতু যোগাযোগ প্রার্থনা। তাই আমরা সালাতে প্রার্থনা করি। যে কেউ প্রার্থনা করে আল্লাহ তা শুনেন।

আল্লাহ সব ভাষা বুঝেন। আমাদের বলতে হবে সেভাষায় যে ভাষা আমরা বুঝি (৪:৪৩)। কেউ আরবি ভাষায় পড়লে অবশ্যই তাঁর পঠিত অংশের অর্থ জানা থাকতে হবেআর সালাতে তাঁর প্রতি সচেতন থাকতে হবে। Sultan Ashiq Mahmud কিয়ামঃ কিয়াম হচ্ছে দাঁড়ানো। সালাতে দাড়ানোর কথা বিভিন্ন যায়গায়ই আছে।

যেমন ৪:১০২; ৫:৬। দাঁড়ানোরমাধ্যমেই সালাতের সূচনা হয়। তাকবীরঃ তাকবীর হচ্ছে আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষনা। আল্লাহসর্বশ্রেষ্ঠ (আল্লাহু আল কাবীর), আল্লাহরাব্বুল আলামিন, আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল (আল্লাহু গাফুরুর রাহীম), ইত্যাদি। তাকবীরে কথা বলা আছে ১৭:১১১ এ।

এজন্যেই সালাতেরশুরুতে, উঠতে বসতে সালাতে তাকবীর দিই। এটা কুরআন সম্মত। সিজদাঃ নত হওয়া। শারীরিক মানসিক দুইটা রূপই এর আছে। আল্লাহর সামনে মস্তক ও মনের নতি স্বীকার।

সালাতে সিজদার কথা সরাসরি উল্লেখ আছে ৪:১০২ এ। সিজদার মাধ্যমেই সালাত শেষ হয় (৪:১০২)। Sultan Ashiq Mahmud সালাতের শিক্ষাঃ সালাতের শিক্ষা হচ্ছে আল্লাহর সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে ব্যক্তিগতভাবে চরিত্র গঠন ও সামষ্টিকভাবে সামাজিক ভারসাম্য রক্ষার জন্য সর্বাত্নক প্রচেষ্টা। দরিদ্রকে অবজ্ঞা করা মানে হল দ্বীনকেই অস্বীকার করা (১০৭:১-২)। প্রয়োজনীয় দান না করা ব্যক্তির সালাতএকদম লোক দেখানো, আর লোক দেখানো সালাতের ফলাফল শূন্য না বরং শূন্যেরও নিচে।

কারন কুরআন বলেছে তাদের জন্য রয়েছে দুর্ভোগ (১০৭:৫)। বিষ খেলে মানুষ মারা যাবে। কারন বিষ জীবন নাশ করে। একজন লোক বিষ না খেয়ে বিষের কালারের অন্য জিনিস খেলে তার প্রাণ নাশ হবে না। তেমনই সালাত মানুষকে কুকর্ম থেকে বিরত রাখে (২৯:৪৫)।

এখন একজন লোক সালাতের ভঙ্গিতে অন্য কিছু করলে সে কুকর্ম থেকে বিরত হতে পারবে না। শুধু অঙ্গভঙ্গি করলেই যে সালাত হবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। সালাতের ফলাফল পাওয়া যাবে চরিত্র থেকে। সে কুকর্ম থেকে ফেরত আসতে পারলো কি না এটা দিয়ে পরিমাপ করা যাবে যে সে প্রকৃতপক্ষে সালাত আদায় করেছে কি না। Sultan Ashiq Mahmud পরিশেষে আমাদের প্রার্থনাঃ “হে আমার পালনকর্তা, আমাকে সালাত কায়েমকারী করুন এবং আমার সন্তানদের মধ্যে থেকেও।

হে আমাদের পালনকর্তা, এবং কবুল করুন আমাদের দোয়া। ” (১৪:৪০) Sultan Ashiq Mahmud: motantore saririk ruku kora jete pare. Sekhetre ruku ar sejdai ek e tasbih ba takbir path kora jete pare. Sultan Ashiq Mahmud: quranix.net e pete paren. ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।