thinking স্থান: ঝিগাতলা টু জুরাইন।
মাধ্যম: সিএনজি অটো
সদস্য সংখ্যা: ২(দুই) জন। আমি এবং চালক।
আলোচনার সূত্রপাত: আজিমপুর মোড়ে ট্রাফিক সার্জন কর্তৃক সিএনজি আটকানো এবং অথঃপর কাগজপত্র দেখিয়ে এবং কথা বলে ড্রাইভারের হাসিমুখে আবার সিএনজি চালানো শুরু করা।
এই ভুদাই: ভাই কোন কেইস দিসে?
ড্রাইভার: না
ভুদাই: কয় টাকা দিলেন
ড্রাইভার: এক টাকাও না।
ভুদাই: সার্জেন্ট বোধহয় ইমানদার লোক। ঘুস খায়না।
ড্রাইভার: হ ৩০০ টাকা চাইছিল।
ভুদাই: চাইছিলো মানে!! টাকা না দিয়াই আইতে পারলেন!!!
ড্রাইভার: ক্ষমতা থাকলে সবই পারে। আমার চাচতো ভাই যাত্রাবাড়ী থানার এসআই, হের পরিচয় দিলাম।
ব্যাটা কয় আপনে আমার বাড়টা বাজাইলেন। আমার টাইম লস করলেন। তাড়াতাড়ি ভাগেন।
ভুদাই: ও তাই বলেন।
ড্রাইভার: ভাইর কপালে আল্লায় ভালোই রিজিক লেখছে।
চাকরি লইতে খালি ২ লাখ টাকা লাগছে।
ভুদাই: ভালোইতো।
ড্রাইভার: ভাই আমার দেশে যেই দালান করছে হের দাম আছে কম অইলেও ৬০ লাখ টাকা।
ভুদাই: তাইলেতো ভালোই ইনকাম করতাছে।
ড্রাইভার: হ আল্লায় দিসে।
বছরে কম কইরা হইলেও ১ কোটি কইরা কামায়। আমারে এই সিএনজিডাও সে কিইনা দিসে। ভাইর উপরে আল্লাহর রহমত আছে।
ভুদাই: আলাদিনের চেরাগ পাইছে?
ড্রাইভার: ভাইজান কি আমার সাথে রহস্য করতাছেন? যাই করেন, অনেকেই সরকারী চাকরি করে কিন্তু ঘুস খাইতে পারেনা। ভাইজানরে আল্লায় সুযুগ কইরা দিছে।
ভুদাই: তা ঠিক। কিন্তু ভাই ঘুস তো হইলো ডাকাতি।
ড্রাইভার: তাতে কি অইছে। সুযুগ পাইলে আপনেও খাইতেন।
ভুদাই: এইযে নিজেরে ডাকাইতে ভাই বইলা পরিচয় দেন এতে লজ্জা লাগেনা?
ড্রাইভার: (হো হো হো) আপনে যে কি কন!! এইডার জন্য যদি আমার লজ্জা পাইতে হয় তাইলেতো শ্যাক হাছিনার আত্মীয় স্বজনগো সুইসাইড করা উচিত।
সে তো দেশটারে পুরা নিলামে উঠাইছে। আমাগো সবাইরে চোর চ্ছ্যাচ্চর বানাইছে। কোন দেশ এখন আর এই দেশ থেকে মানুষ নেয়না।
ভুদাই: ঠিকই কইছেন। একটা পাগলা ঘোড়া টাইনা নিতাছে এই দেশ।
যেখানে সাওয়ারিদের কোন নিজশ্ব বোধ বলে কিছু অবশিষ্ট নাই। শুধু ভুদাই হয়ে চেয়ে চেয়ে রই।
কনকুলেশন: অবশেষে নির্দিষ্ট স্থানে ভাড়া দিয়ে এই ভুদাইয়ের নির্বাক প্রস্থান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।