আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পোষা প্রাণীর কেরামতি



পোষা প্রাণীর কেরামতিবাড়িতে শখ করে কুকুর, বিড়াল পোষার শখ অনেকেরই। তবে এসব পোষা প্রাণীর মধ্যে কিছু কিছু আবার একেবারেই আলাদা। তাদের বিচিত্র কাণ্ডকীর্তি আর মালিকের সঙ্গে চমৎকার বোঝাপড়ার গল্প । সার্ফার বাগসি হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের ওয়াইকিকি বিচে নতুন বেড়াতে আসা পর্যটকদের ধন্দে পড়ে যেতে হয়। চোখ রগড়ে দেখে নেন আসলেই ঠিক দেখছেন কি না! এ জন্য দোষ দেওয়া যাবে না তাদের।

জ্বলজ্বলে দুপুরে একটা কুকুর সমুদ্রে সার্ফিংয়ে মেতে উঠেছে, এটা তো আর যেনতেন দৃশ্য নয়। তবে স্থানীয়দের কাছে এটা গা-সওয়া হয়ে গেছে। তাঁরা জানেন, আট বছর বয়সী কুকুরটার নাম বাগসি (প্রচ্ছদের ছবি)। বাগসির মালিক ডেভিড ইউ তাকে সার্ফ বোর্ড নিয়ে শিখিয়েছেন সার্ফিং! কিন্তু কথা নেই-বার্তা নেই একটা কুকুরকে কেন সার্ফিং শেখাতে গেলেন ইউ? একদিনের ঘটনা। সৈকতে হাঁটতে হাঁটতে এক সার্ফারের মূর্তির সামনে চলে এলেন ইউ আর বাগসি।

খেয়ালের বশেই একটা ছবির তোলার জন্য কুকুরটাকে সার্ফ বোর্ডের ওপর দাঁড় করিয়ে দিলেন তিনি। কিন্তু ওটাকে বোর্ডের ওপর এমনই মানিয়ে গেল যে আজব একটা চিন্তা মাথায় খেলে গেল ইউর। এর কিছু দিন পরেই দেখা গেল দুজনে মিলে মহানন্দে সাগরে সার্ফিং করে বেড়াচ্ছেন। দশ ফুটি রাবারের প্যাডের একটা সার্ফ বোর্ডে চড়ে তার কেরামতি দেখায় বাগসি। বোর্ডের রাবার আটকে থাকায় বেশ সুবিধা হয়ে যায়।

ইউ জানান, কুকুরটা এখন সার্ফিং এতটাই ভালোবেসে ফেলেছে যে একে আটকে রাখতেই হিমশিম খেতে হয় তাঁকে। তবে বাগসি কিন্তু এতটা প্রাণবন্ত ছিল না। মেডিসিনের ডাক্তার ইউ তিন মাস বয়সী প্রাণীটাকে দত্তক নেওয়ার দুই দিনের মাথায় প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় আক্রান্ত হয় ওটা। যেকোনো সময় এটা নিউমোনিয়ার দিকে মোড় নিতে পারে। তাড়াতাড়ি প্রাণীটাকে একটি পশু হাসপাতালে নিয়ে যান ইউ।

সেখানে কয়েকদিন চিকিৎসার পর বাসায়ও চলে তদারকি। শেষমেষ সুস্থ হয়ে ইউর মুখে হাসি ফোটায় ছোট্ট প্রাণীটা। আর এর মাধ্যমেই তাদের দুজনের মধ্যে তৈরি হয় চমৎকার বিশ্বাসের সম্পর্ক। 'সে জানে যাই ঘটুক না কেন আমি তার যত্ন নেব। ' বলেন ইউ।

মজার ঘটনা তারা দুজনকে শুধু এক সঙ্গে সার্ফিংই করেন না, কখনো বা স্কাই ডাইভিংয়ের মতো বিপজ্জনক কসরতে মেতে ওঠে দুজন। দন্ত চিকিৎসক এইমি কিমের সঙ্গে গত বছর ইউর বিয়ের সময় বাগসি উপস্থিত হয়েছিল ডিনারের পোশাকে। কনের পীড়াপীড়িতে বাগসি আর ইউকে স্কাই ডাইভিংয়ে অংশ নিতে হয়েছিল ওইদিন। ইউ বললেন 'আমি জীবনে যে আনন্দ করছি তা যেন কুকুরটাও পায় তাই চাই আমি। ' বলেন ইউ।

নাম তার রকি আমেরিকার মন্টানার সুয়ান স্টেনজারের চেস্টনাট গেল্ডিংটার পিঠে চড়তে বুকে হিম্মত লাগে। এমনকি দক্ষ ঘোড়সওয়ারকেও মাঝে মাঝে পিঠ থেকে ফেলে দিয়ে বিপত্তি ঘটায় রকি। কিন্তু স্টেনজারের পাঁচ বছরের মেয়ে বেইলির সঙ্গে কিভাবে যেন দারুণ বনে গেল ওর। মাত্র তিন বছর বয়সে জটিল মৃগী রোগ ধরা পড়ে মেয়েটার। এর পর থেকে দিনে ১০-১২ বার রোগটার আক্রমণ রুটিনে দাঁড়িয়ে গেছে।

কিন্তু এর মধ্যেও ব্যারেল রেসিং নামের এক ঘোড়াদৌড় প্রতিযোগিতায় দারুণ ঝোঁক মেয়েটার। যে সব পরিবারের প্রচুর ঘোড়া থাকে আর নিয়মিত ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। বেইলির দাদি অ্যাপালুসা নামে সংকর এক জাতের ঘোড়ায় চড়ে দাবড়ে বেড়াতেন। বাবা হাই স্কুলে পড়ার সময়ই ষাঁড়ের পিঠে সওয়ার হতেন। আর তার মাও ব্যারেল দৌড়ে অংশ নিতেন।

একদিন এক রেসের সময় বেইলির ঘোড়াটা অসুস্থ হয়ে গেলে রকির পিঠে চড়তে চায় সে। শুরুতে বিষয়টা মোটেই পছন্দ করলেন না তার মা। 'আমি ভয়ে ছিলাম সে হয়তোবা ঘোড়াটা ভালোভাবে সামলাতে পারবে না। ' বলেন স্টেনজার। কিন্তু কি আশ্চর্য, বেইলি সেডলে চড়ে বসতেই যেন একেবারে শান্তশিষ্ট নিরীহ হয়ে গেল ঘোড়াটা।

চমৎকার, মসৃণভাবে দেঁৗড়ায়, ছোট্ট ঘোড়সওয়ারের কথা শুনতে লাগল কোনো প্রতিবাদ ছাড়াই। মজার ব্যাপার হলো বদলে গেল বেইলিও। ঘোড়াটায় চড়ার পরবর্তী কয়েক মাসে দেখা গেল আগের মতো আর ভিরমি খাচ্ছে না সে। এভাবে দুজনের মধ্যে দারুণ একটা সমাঝোতা হয়ে গেল। এক দিন দারুণ এক কাণ্ডও ঘটিয়ে চমকে দিল প্রাণীটা।

সেদিন রকিকে স্যাডল পরানোর সময় মাটিতে পড়ে গেল বেইলি। আর পরল তো পরল একেবারে ঘোড়াটার সামনের দুই পায়ের মাঝে। অন্য কোনো ঘোড়া হলে হয়তোবা সামনে এগিয়ে যেত কিংবা মেয়েটার শরীরের ওপরই পা নামিয়ে নিতো। কিন্তু রকি করল কি পা উঁচু করে বেইলির ওপরই দাঁড়িয়ে থাকল, যেন মেয়েটার গায়ে তাঁর পা না লাগে! স্টেনজার আসার আগ পর্যন্ত এভাবেই ছিল রকি। ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে বেইলির মস্তিষ্কে অস্ত্রপচার হয়।

মের শেষ দিকে অবস্থার উন্নতি হলে রকিকে নিয়ে মন্টানার এক ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় নামার সিদ্ধান্ত নেয়। পর পর দুই দিন দুটি প্রতিযোগিতায় পুরস্কার জিতে নেয় এই জুটি। যতই দিন যাচ্ছে তাদের সম্পর্ক আরো গভীর হচ্ছে। 'সে জানে আমি ছোট, আর নিজের দায়িত্ব নিতে পারি না। তাই দেখে রাখে আমাকে।

' বলে এখন ১২ বছর বয়সী বেইলি। কাজের কাজি পেইগি আমেরিকার ভার্জিনিয়ার লরেন জিরার্ডের আছে পেইগি নামের চমৎকার একটা কুকুর। প্রতিদিন সকালে ২৫ বছরের এই তরুণীকে ঘুম থেকে জাগায় পেইগি। তারপর কম্বলটার একটা কোণা মুখে পুরে টানতে শুরু করে ও। এবার চোখ মেলেই গুড মর্নিং জানান জিরার্ড।

একটি প্রতিষ্ঠানের রসায়নবিদ জিরার্ডকে খুব ব্যস্ত সময় কাটাতে হয়। তবে পেইগি তাঁর চিন্তা অনেকখানি কমিয়ে দিয়েছে। ঘরের অনেক কাজেই জিরার্ডকে সাহায্য করে ও। মুখ দিয়ে জিরার্ডের কাপড়-চোপড় জড়ো করে ওয়াশিং মেশিনের কাছে নিয়ে যাওয়া, খাওয়া শেষে ধোয়ার সময় প্লেট-বাটি জিরার্ডের দিকে এগিয়ে দেয় পেইগি। শুধু তাই নয়, ফ্রিজ খুলে ভেতরে খাবার-দাবারও রাখতে পারে ও।

যদিও হট ডগগুলো চেখে দেখার লোভ সামলাতে নিজের সঙ্গে কঠিন পরীক্ষায় নামতে হয় তাকে। তিন বছর আগে ইন্টারনেটের এক বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে কলি কুকুরটাকে পায় জিরার্ড। তবে শুরুতে যখন আট সপ্তাহের কুকুরটা বাড়িতে এল তখন তাকে নির্দেশ তালিম করা শেখাতে প্রশিক্ষণ দিতে হয়। এখন ব্যস্ত একটা দিনের শেষে রাতে ঘুমানোর সময় নিজেকে কুকুরের বিছানায় ছুড়ে দেয় পেইগি। এটাতে লাফালাফি করতে করতে এক সময় সে তলিয়ে যায় ঘুমে।

তবে পর দিন সকালে ঠিকই সময়মতো জাগিয়ে দেয় জিরার্ডকে। ফ্রিডমের কেরামতি একটা গলফ মাঠে বাল্ড প্রজাতির ঈগলটাকে যখন পাওয়া গেল তখন ভেঙে দুমড়ে-মুচড়ে গেছে ওর ডানা। সম্ভবত ঝড়ো বাতাসে বাসা থেকে এখানে এসে পড়ে ঈগলটা। তারপর তাকে আনা হয় আমেরিকার আর্লিংটনে সার্ভে ওয়াইল্ড লাইফ কেয়ার সেন্টারে। দেখাশোনার দায়িত্ব পান ৫৬ বছর বয়সি জেফ গিডরি।

যে ঈগল উড়তে পারে না, সাধারণত মৃত্যুকেই চূড়ান্ত পরিণতি হিসেবে বেছে নেয় ও। তবে জেফ গিডরি তাকে আপন করে নেওয়ায় পাল্টে যায় পরিস্থিতি। শুরুতে ওটাকে নল দিয়ে নরম খাবার খাওয়ান। পরে রেসকিউ সেন্টারের ভাঁড়ার থেকে ইঁদুর, স্যামন মাছ আর কোয়েল পাখিও খাওয়াতে শুরু করেন। বেঁচে যায় পাখিটা।

গিডরি তার নাম দেন ফ্রিডম। সময় যত গড়াতে থাকে তার সাদাটে মাথা, চকচকে সাদা লেজ, সোনালি ঠোঁট আর হলুদ চোখ আমেরিকার জাতীয় পাখির সব বৈশিষ্ট্য এনে দিল এর মধ্যে। ওয়াইল্ড লাইফ সেন্টারের আশপাশ আর স্কাজিত নদীর পাড়ে ঈগলটাকে নিয়ে ঘুরে বেড়াতে বেড়াতে প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করলেন। বছর দুয়েক পরের ঘটনা। হঠাৎ নিজের গলায় একটা মাংসপিণ্ড আবিষ্কার করলেন গিডরি।

এক পর্যায়ে ক্যান্সারে রূপ নিল ওটা। গিডরি যখন চূড়ান্ত পদক্ষেপ হিসেবে কেমোথেরাপির শরণাপন্ন হওয়ার কথা ভাবছেন, এমন সময় এক বন্ধু তাঁকে বিশেষ ভিজুয়্যালাইজেশন তথা কল্পনাশক্তির বলে রোগমুক্তির কথা জানালেন। কোনো একটা বিষয়ে মনোযোগী হয়ে ধানমগ্ন হওয়াটাই ভিজুয়্যালাইজেশ। আর এটা শুনে গিডরি মনোযোগ দিলেন ফ্রিডমের দিকে! আট মাস পর চিকিৎসকরা জানালেন, গিডরি সম্পূর্ণ সুস্থ। সেদিনই ওয়াইল্ড লাইফ সেন্টারে ফিরে এসে ফ্রিডমকে নিয়ে হাঁটতে বের হন গিরডি।

এ সময় হঠাৎই গিরডিকে অবাক করে পাখা ছড়িয়ে আলিঙ্গন করল পাখিটা। প্রতিদান দিতে জানে জব মার্চের ১১ তারিখ। কুকুরের তীক্ষ্ন চিৎকারে কেঁপে উঠল আমেরিকার নেব্রাস্কার ওয়েডেরিনদের বাড়ি। তার পরই ৪১ বছর বয়স্ক তেরেসা ওয়েডেরিন বাড়ির পোষা কুকুর জবের পড়িমরি করে দৌড়ে আসার শব্দ শুনলেন, তার বেডরুমের দরজায় হুমড়ি খেয়ে পড়ল। দরজা খুলতেই জামা ধরে টানতে টানতে লিভিং রুমে নিয়ে এল তাঁকে।

এখানে এসে দেখলেন তাঁর ১৯ বছরের ছেলে ডমিনিক 'অ্যালার্জি-অ্যাটাক'-এর মাঝামাঝি অবস্থায় আছে। নিঃশ্বাস নেওয়ার জন্য হাঁসফাঁস করছিল ডমিনিক। ভেজা শার্ট কামড়ে ধরে তাঁকে চেয়ার থেকে টেনে নামাল কুকুরটা। ডমিনিকের মা দ্রুত তাকে এফিনেফরিনের একটা ইঞ্জেকশন দিলেন। দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হলে বেঁচে যায় ডমিনিক।

প্রথমবার জবকে দেখে ডমিনিক হয়তো ভাবতেই পারেনি তাঁর জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে কুকুরটা। ২০০৮ সালে বাড়ি ফেরার সময় হাইওয়েতে দুর্বল শরীরের কুকুরটাকে ইতঃস্তত ঘুরঘুর করতে দেখে সে। কি মনে করে গাড়ি থামিয়ে দরজাটা খুলে দিয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে ভেতরে ঢুকে তার পাশে এসে বসে ওটা। বাসায় আনার পর মা-বাবাকে এটাকে পালক নেওয়ার কথা বলে ডমিনিক।

একজন পশু চিকিৎসক এসে জানালেন, কুকুরটার পাঁজরের হাড়ে ফাটল, লেজের হাড় ভাঙা আর চোখের চারপাশেও ক্ষত আছে, তখন এটাকে বাড়িতে রাখার আগ্রহ অনেকটাই হারিয়ে ফেলেন তাঁরা। কুকুরটার শরীরের পেছনে যে সাদা ক্ষত আছে সেটার কারণে শ্বাস নিতেও কষ্ট হয় প্রাণীটার। কিন্তু কি আশ্চর্য, এখন উল্টো তার মনিবকেই দেখেশুনে রাখে কুকুরটা। 'আমি তাকে বাঁচিয়েছিলাম। এখন সে আমাকে বাঁচিয়েছে।

' বলে ডমিনিক। স্বপ্ন দেখায় স্কুটার শিরদাঁড়া ভাঙা একটা বিড়ালের বাচ্চা শুয়ে আছে পিটসবার্গে পশু চিকিৎসক বেটসি ক্যাননের পরীক্ষাগারের টেবিলের ওপর। তার পোষা কুকুরটাই ওটাকে মুখে করে নিয়ে এসেছে। নিশ্চয়ই কারো না কারো বিড়াল ওটা। কুকুরের মালিক ক্যানন ভয়ে আছেন।

হয়তো তার কুকুরটার কারণে বিড়ালছানাটার বড় ক্ষতি হয়ে গেল। কিন্তু পরীক্ষা করে ওটার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পেলেন না। শিরদাঁড়া আগে থেকেই ভাঙা ছিল। ক্যানন জানেন, বিড়ালটাকে ভালো করার চেষ্টা বৃথা। অন্য চিকিৎসকরাও আশা ছেড়ে দিতেন।

কিন্তু ক্যানন হাল ছাড়লেন না। ছানাটার বড় উজ্জ্বল চোখ আর করুণ মিউ মিউ ডাক মন জয় করে নিয়েছে তাঁর। কিন্তু ওর গলায় কোনো কলার বা শনাক্তকারী চিহ্ন নেই। তাই ওটাকে বাড়িতে নিয়ে যান ক্যানন। বিড়ালটার যত্নআত্তি করতে শুরু করলেন চিকিৎসক।

পেছনের পা নাড়াতে পারছিল না ছোট্ট প্রাণীটা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সামনের পা দিয়ে নিজেকে সামনে টেনে নিতে লাগল। ক্যানন ওটার নাম দিলেন স্কুটার। একটি প্রতিষ্ঠানের সাহায্যে স্কুটারের চলাফেরার জন্য একটা চাকা-গাড়ি বানানোর ব্যবস্থাও করলেন। ক্যাননের মনে হলো, বিড়ালের বাচ্চাটা তার জীবনীশক্তি অন্যদের মধ্যেও ছড়িয়ে দিতে পারবে।

কাজেই ওটাকে হাসপাতালে নিয়ে এলেন। স্কুটারের প্রথম রোগী একজন বয়স্ক মহিলা। স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে দুদিন ধরে কারো সঙ্গে কথা বলতে পারছিলেন না তিনি। তাঁর কাছে গেলেন ক্যানন। ক্যাননের হাত থেকে লাফিয়ে রোগীর বিছানায় গিয়ে পড়ল বিড়ালটা।

তারপর পা টেনে টেনে তাঁর কাছে গিয়ে কপালে শরীর ঘষতে লাগল। স্কুটারের দিকে তাকালেন মহিলা। তারপর বিড় বিড় করে প্রথম যে কথাটা বললেন তা হলো 'কিটি!'। এখন স্ট্রোক আক্রান্ত রোগীদের সঙ্গে মাসে ১০ দিন করে কাটায় স্কুটার। ক্যানন বার বার অবাক হয়ে দেখছেন কিভাবে মানুষের মনে আশার জন্ম দিচ্ছে তার ছোট্ট বিড়ালটা।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।