আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

****ফ্যাশন ****

আমার দেশ আমার গর্ব আমার অহংকার.......

ফ্যাশনের নামে একি শুরু হয়েছে আমাদের দেশে । আমাদের দেশ একটি মুসলিম দেশ । যতই দিন যাচ্ছে ততই শুরু হয়েছে ফ্যাশনের নামে বেলাল্লাপনা । ফ্যাশনে ছেলে বা মেয়ে কেহই পিছিয়ে নেই । রাস্তায় চোখ পড়লেই দেখা যায়–মেয়েরা যাচ্ছে ফতুয়া আর জিন্স পড়ে ।

পুরুষ বা মহিলা যে কারো চোখ একবার পড়বেই তাদের উপর । সবাই কটু চোখে তাকায় অথচ সে দিকে তাদের খেয়ালই নেই । ছেলেরা নানাভাবে মেয়েদেরকে লাঞ্চিত করে । দোষটা ছেলেদেরকে দেয়া মোটেই উচিৎ নয় । কারণ মেয়েদেই তো একটু সাবধান হওয়া উচিত ।

মাঝে মাঝে মধ্য বয়স্ক মহিলাদেরকেও দেখা যায় জিন্স আর ফতুয়া পড়ে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে । আবার অনেক মেয়েরা থ্রিপিচ পড়ে ঠিকই কিন্তু ওড়না থাকে গলায় । অথবা জর্জেটের ওড়না বার বার তুলতে সময় যায় । কেন ওড়নার দুপাশে দুটি পিন মারলেই তো আর পড়ার ঝামেলা থাকে না । নাকি এসব ছেলেদেরকে আকর্ষণ করানোর জন্য ।

ছি কি লজ্জা । ফ্যাশনতো রুচিসম্মতভাবেও তো করা যায় । এখন আবার হাল ফ্যাশনের সাথে যোগ হয়েছে চুড়িদার পাজামা । বডির সাথে মাপ দিয়ে একেবাবর আটসাট করে বানানো । জামা ছোট হতে হতে একেবারে হাঁটুর উপরে উঠে গেছে এবং জামার সাইডের কাটাটা এত উপরে উঠেছে যে আংশিক পেটও দেখা যায় ।

ওড়নাগুলো এত পাতলা যে ওড়না পড়া না আর না পড়া সমান কথা । তাছাড়া ছেলে-মেয়ে হাতে হাত ধরে রাস্তা দিয়ে দিব্যি হেটে যাচ্ছে । কোন লজ্জা শরমের বালাই নেই । কোনদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই তাদের । মনে হয় তারা এদেশের বাসিন্দা নয় ।

ফ্যাশন যে কোন পর্যায়ে পৌঁছবে তা আল্লাহ্‌ তালাই ভালো জানেন । দিন দিন মানুষ এমন হচ্ছে কেন? ভয়, লজ্জা-শরম সব হারিয়ে ফেলছে । আমাদের দেশের মেয়েরা শীত আসলে প্রচন্ড শীতে চাদর গায়ে না জড়িয়ে কাঁধে চিকন করে ফেলে দিব্যি অফিস করছে । এ কোন ধরণের ফ্যাশন । শীতে শরীর কাঁপছে আর চাদর কাধেঁ ঝুলানো ।

আমরা তো পশ্চিমা দেশগুলোর বাসিন্দা নই । তাহলে কেন এসব কিছু করছি আমরা । মানুষ মরণশীল । একদিন আমাদেরকে যেতেই হবে । ক্ষণিকের জন্য কেন এতো ফ্যাশন সচেতনতা ।

ফ্যাশন যদি করবই তাহলে ভদ্র-রুচিশীল পোশাক পরে নয় কেন । এসব পোশাক পরেও স্মার্ট হওয়া যায় । অন্তত: আব্রুতো রক্ষা পাবে । ছেলেরা ইদানিং ফ্যাশনের সাথে নতুন মাত্র যোগ করেছে তাহলো জিন্সের প্যান্ট কোমরের এত নিচে পরে আর শার্ট বা গেঞ্জি এত ছোট পরে যে বসলেই প্যান্টখানা ফাঁকা হয়ে গিয়ে ভিতরের আন্ডার গ্রাউন্ড পর্যন্ত দেখা যায় । তাছাড়া কানে দুল হাতে চুড়ি গলায় হার এসব কিছু তো আছেই ।

এখন দেখা যাচ্ছে, স্কুল কলেজের ছেলেমেয়েরা এত লম্বা স্কুল ব্যাগ কাধে ঝুলায় যে তা মাটি ছুঁই ছুঁই করে । ব্যাগখানা দেখলে মনে হয় যেন কুকুরের জিহ্বা ঝুলছে । হাটছে আর পায়ে বাড়ি লাগছে । এতেতো কোন সুবিধা দেখছি না । বরঞ্চ অনেক কষ্ট করে ফ্যাশন চালিয়ে যেতে হচ্ছে ।

দিন দিন যে এসব উদ্ভট ফ্যাশন কোন জায়গায় গিয়ে দাঁড়াবে তা আল্লাহ্‌ই ভাল জানেন । জানি আমরা জেনেশুনে অনেক অপসংস্কৃতির স্বীকার । আসুন রুচিশীল ফ্যাশনে আকৃষ্ট হয়ে নিজেদের সৌন্দর্য ও ব্যক্তিত্বকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করি এবং সবাই যার যার আব্রু বাঁচিয়ে চলি । এতে জীবনে শান্তি নেমে আসবে ।



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.