আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ব্যাচেলর কিচেন-১। (সর্বপ্রকার মৎস রান্না)

পাওয়ার অব পিপল স্ট্রংগার দেন দি পিপল ইন পাওয়ার। http://mhcairo.blogspot.com/

আপুমনিরা না ঢুকলেও চলবে, তবে ঢুকলে সাবধান। নো ভুল ধরা ধরি ব্যাচেলর যারা ম্যাচে থাকেন তারা সাধারণত মাছ খেতে পারেন না, কারন রান্নার ভয়। মাছ রান্নার ভয় দূর কর্তে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি 'অল ফিস ইন ওয়ান ফর্মুলা'। প্রথমেই জেনারেল ফর্মুলা ফর অল যারা ম্যাচে থাকেনঃ ম্যাচের যে প্রথম খেতে বসবেন তার অবশ্যই উচিৎ হবে রান্নার প্রশংসা করা, কারণ প্রথমে ভাল বললে সাধারণত সবাই ভাল বলে, খারাপ বললে খারাপ।

এবার মাছ রান্না ফর্মুলাঃ মনে রাখবেন সাধারণত আমাদের দেশে যেই প্রক্রিয়ায় রান্না করা হয় সেটাকেই যে ফলো কর্তে হবে তা কিন্তু ঠিক না। খাবার মজা হলেই হলো, আপনি আরো এ্যাডভান্স হলে, খাবার খাওয়া গেলেই হলো!! যা অবশ্যই প্রয়োজনঃ ১) যে কোন ধরণের মাছ। তেলাপিয়া, টাকি, পুটি, রুই, ঈলিশ, মাগুর। ২) রান্নার পাত্র, চামচ। ৩) আগুন,পানি,লবন,পেয়াজ,কাঁচা মরিচ,হলুদের গুড়া।

৪) তেল। (যে কোন খাবার তেল, সয়াবিন হলে ভালু) এই চারটা হলেই আপনার মাছ রান্না সম্ভব। তবে একটু রুচিকর হতে হলে আরো কিছু জিনিস/মাল লাগবে। ৫) রশুন। ৬) ধনিয়া গুরা, মরিচের গুরা।

৭) একটা টমেটু। ৮) ফ্রাইপেন/কড়াই। যথেষ্ট। যেভাবে শুরু কর্বেন!! মনে রাখবেন, আপনি এই মাছ রান্নায় দের ঘন্টায় করতে পারবেন, আবার ২০ মিনিটেও সম্ভব। তাই আপনার হাতের সময় অনুযায়ি প্রস্তুত হয়ে নিন।

প্রথম মাছ পরিস্কার করে কেটে কেটে একটা পাত্রে একটু লবন/নুন দিয়ে রাখুন। আর যদি মাছ ভাজি করে খেতে ইচ্ছে হয় তবে, ফ্রাইপেনে তেল গড়ম করতে দিয়ে আপনি লবন দেয়া মাছগুলোকে একটু হলুদের গুড়া ও মরিচের গুড়া দিয়ে একটু নেড়ে মরিচও হলুদ মাছের গায়ে ভাল করে লাগিয়ে দি। ফ্রাইপেনের তেল ইতিমধ্যে গড়ম হয়ে যাবে। এবার ফ্রাইপেনের আয়তন অনুযায়ি ৪/৫/৬ টুকরা ছেড়েদিন। আগুন মিডিয়াম রাখুন, তাড়া হলে আঘুন বাড়িয়েদিতে পারেন তবে আস্ত আস্ত করে একটু পর পর নেড়ে দিতে হবে।

মাছ ভাজা হতে থাক। আপনি অন্ন চুলোয় মাছ রান্নার পাতিল তুলেদিন। একটু তেল দিন, গড়ম হতে হতে আপনি ৩/৪টা পেয়াজ আপনার মাছের পরিমান অনুযায়ি চেকন চেকন করে কেটে নিন। সাথে ৩/৪টা কাচা মরিচ লম্বা লম্বা ভাবে ফেরে/কেটে নিন। তেল গড়ম হয়ে উঠলে মরিচ,পেয়াজ ছেড়েদিন।

পরিমান মত লবন দিন। রশুন থাকলে একটা রশুন ছোট ছোট করে কেটে সাথে দিয়ে দিন। একটু পরে দিলেও সমস্যা নেই। ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। একটু পর পর নাড়তে থাকুন যাতে পুড়ে না যায়।

মিনিট ৫/সাতেক পরে দেখবেন পিয়াজ সিদ্ধ হয়ে সাদা সাদা হয়ে গিয়েছে। পেয়াজের পরিমান বেশি হলে তেলও কিন্তু বেশি লাগবে, তখন আবার সময়ও বেশি লাগবে। পেয়াজ সিদ্ধ হয়ে গেলে এবার, চা চামচের এক চামচ হলুদের গুড়া, অর্ধ চামচ মরিচের গুড়া, কোয়ার্টার চামচ ধনিয়ার গুড়া দিয়ে নেড়ে নিন। মিনিট খানেক পর একটু বেশি করে পানি দিয়ে দিন। এক গ্লাশ পরিমান দিতে পারেন।

এবার ভাল করে ঢেকে আগুন বাড়িয়ে দিন। মাঝে মাঝে একটু নেড়ে দিতে ভুল করবেন না। মিনিট ৫/সাতেক বা দশেক পর পানি শুকিয়ে যাবে যাবে তখন একটি চামচ নিয়ে নাড়তে থাকুন। একটু বড় চামচ নিলে খারাপ হবে না, কারন এতে আপনার পেয়াজগুলো দ্রুত গলে যাবে। মিনিট ছয়েক নাড়তে থাকুন।

পানি শুকিয়ে গিয়ে দেখবেন পিয়াজগুলোও মিহিন/মাখনের মত হয়ে গিয়েছে। এবার আবার দের গ্লাস পানি দিয়েদিন। সাথে ফ্রাইপেনের ভাজা মাছগুলো দিয়েদিন। এবং আগুন একেবারে বাড়িয়ে দিন। ঢেকে দিন।

বাস্‌ কাজ প্রায় শেষ। মিনিট দশেক পর দেখবেন ঝুলটা মাছের থেকে নিচে নেমে গিয়েছে। এখন আপনি একটা টমেটু কেটে দিতে পারেন। ধনিয়ার পাতা থাকলে ধুয়ে কেটে দিয়ে দিতে পারেন। একটু লবন/নুন পরীক্ষা করে দেখেন।

সব ঠিক ঠাক থাকলে চুলোর আগুন কমিয়ে দিয়ে আপনি থালা বাসুন ধুয়ে খাবার আয়োজন কর্তে পারেন। মাগুর মাছের ক্ষেত্রে একটু আদা দিতে পারেন। আপুরা অনেক কিছু বললেও এইভাবে কিন্তু রান্না অনেক মজা হয়। প্রমাণিত। ---- সামনে আসছে... ২) হাও টু কুক অল কাইন্ড অব ডাল।

৩) মুরগি/মুরগা কিভাবে রাধবেন!! ৪) গরু, খাশি ভক্ষন করার বাংলা উপায়। ৫) ভর্তা/ভাজি রেসিপি।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।