স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজারবাগ দরবার শরীফের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জামায়াতের অব্যাহত সহিংসতা আবারও প্রমাণ করে তারা একটি মৌলবাদী সন্ত্রাসী সংগঠন। জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায়ের বিরোধিতা করতে গিয়ে জামায়াতের প্রতিটি কর্মী ইসলামের দৃষ্টিতে ফাঁসির আসামি হচ্ছে। সাঈদী শুধু ধর্মব্যবসায়ী নন, তিনি মওদুদীবাদী আকিদার কারণে কাট্টা কাফের। মঙ্গলবার রাজারবাগ দরবার শরীফের মুখপাত্র মুহম্মদ মাহবুব আলম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়।
রাজারবাগ দরবার শরীফের বিবৃতিতে বলা হয়, জামায়াতে ইসলামের মধ্যে ইসলামের লেশমাত্র নেই।
কারণ পবিত্র কোরান শরিফের মধ্যে ঘোষিত হয়েছে, ‘একজনের দোষত্রুটির দায়ভার অপরজন বহন করবে না’। যদি তাই হয় তাহলে পবিত্র কোরান শরিফের আইন প্রার্থী কথিত জামায়াতের মওদুদীরা কী করে সাধারণ মানুষ ও পুলিশকে প্রতিপক্ষ বানাতে পারে? তাদের নির্বিচারে হত্যা করতে পারে? এটা কী পবিত্র দ্বীন ইসলামী কাজ?
বিবৃতিতে বলা হয়, ব্যাংক লুট, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের খুন, স্টেশনে হামলা, র্যাব-পুলিশ-বিজিবির ওপর আক্রমণ-এসব কী ইসলামী কাজ? তাদের কুখ্যাত নেতা সাঈদী ওরফে বাংলার ইহুদীর ফাঁসির রায়ের প্রতিবাদে এসব ঘৃণ্য সহিংসতা, নাশকতা, আক্রমণ হত্যাকাণ্ড এসব কী ইসলামী কাজ? বলাবাহুল্য সাঈদী ওরফে বাংলার ইহুদীর ফাঁসির রায়ের প্রতিক্রিয়ায় সহিংসতা চালিয়ে জামায়াতের মওদুদীরা আরও ব্যাপক সংখ্যায় ফাঁসির আসামি হচ্ছে। কারণ ইসলামের দৃষ্টিতে যতজন জামায়াতী সন্ত্রাসী মানুষ বা পুলিশ হত্যা করবে তারাও প্রত্যেকে ফাঁসির আসামি হচ্ছে। কারণ পবিত্র কোরান শরিফের আয়াত তথা পবিত্র দ্বীন ইসলামের দৃষ্টিতে ‘হত্যার বদলা হচ্ছে হত্যা’।
আমরা মনে করি সাঈদীর ইস্যুতে তথা মওদুদী জামায়াতের সহিংসতা প্রতিরোধে সরকার সময়োচিত ও প্রজ্ঞাপূর্ণ পথে এগোচ্ছে না।
ইসলামের দৃষ্টিতে একজনের অপরাধের শাস্তি অন্যজন পেতে পারে না। পবিত্র কোরান শরিফের এই আয়াত অনুযায়ী মওদুদীরা যে মহা অনৈসলামিক কাজ করছে, সেটা ধর্মপ্রাণ মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। পাশাপাশি মওদুদী জামাতীরা যে পবিত্র দ্বীন ইসলামের দৃষ্টিতে কাফের, তাদের আকীদা মওদুদীবাদী আকিদাতে পরিপূর্ণ সে কথাও সরকারীভাবে প্রচার করতে হবে। সাঈদী যে মওদুদীর ধারক-বাহক তথা মহাকাফের সে কথাও ব্যাপক প্রচার-প্রসার করতে হবে। পাশাপাশি সাঈদী যে এদেশে ধর্মপ্রাণ মানুষকে অর্ধম শিখিয়েছে, পবিত্র ইসলামের নামে কুফরী আকিদার প্রচার প্রসার করেছে, সর্বোপরি ইলমে তাছাউফ ওলীআল্লাহদের বিরুদ্ধে চরম বিষোদ্গার করে এদেশের ৯৭ ভাগ মুসলামানের ধর্মীয় অনুভূতিতে চরম আঘাত এনেছে সে জন্যও ধর্মদ্রোহী ও ধর্মের অবমাননাকারী সাঈদীর বিচার করতে হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমান পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার যত পবিত্র দ্বীন ইসলামের সাহায্য নেবে, পবিত্র ইসলামের আলোকে চলবে ততই বিষয়টি সহজ হবে। দেশের ৯৭ ভাগ মুসলমানের স্বত্বঃস্ফূর্ত সহযোগিতা ও অকুণ্ঠ সমর্থন থাকবে
সুত্রঃ দৈনিক জনকন্ঠ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।