আমি কেবলই আমার মতো পৃথিবীতে এমন কোন নজির নেই যেখানে কোন আসামীকে শাস্তি দেওয়া হলে সে মেনে নিয়েছে অথবা তাঁর স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা মেনে নিয়েছে। বাংলাদেশেও চলমান যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে এটা মাথায় রাখা উচিৎ। বরং তাঁদেরকে মানিয়ে রাজি-খুশি করিয়ে আর যাই হোক বিচার হবে না। তাহলে তাঁদেরকে মানানোর জন্য এত চেষ্টা করার কী আছে???
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় শুরু হলে এবং শাস্তি হলে বাংলাদেশ আগাছামুক্ত বৈ অন্য কিছু হবার ন্যুনতম সম্ভাবনা আমি দেখিনা। কেননা, মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধাপরাধ সম্পর্কে ইতোপূর্বে জামায়াত-শিবির তরুন কর্মীদের যে ব্যাখ্যা দিতো সেটা মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে।
আল্লাহ্ ও রাসুল(সা) এর কোরআন ও সুন্নাহ সম্পর্কে যে ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ দিয়ে আল্লাহ্ ও রাসুলের ইসলাম বাস্তবায়নের কথা বলে তরুন কর্মী সংগ্রহ করতো সেটাও তারা ভুয়া প্রমান করেছেন। ফলে তাঁদের জেহাদী জোশে টান পড়েছে এবং শহীদ হবার বাসনা শুন্যের কোঠায় নেমে গেছে। মোদ্দাকথা তারা নিজেরাই নিজেদেরকে ভুয়া প্রমান করেছেন। তাই আমি নিশ্চিত তরুন প্রজন্মের মধ্যে আল্লাহ্ ও রাসুলের কথা বলে কর্মী সংগ্রহের সুযোগ তাঁদের নেই। প্রশ্নবিদ্ধ হবেই এবং যথারীতি উত্তর দিতে পারবে না।
মুক্তিযুদ্ধ নিয়েও প্রশ্নবিদ্ধ হবেই এবং উত্তর নেই। বাকী রইল তাঁদের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে চাকুরীর মোয়া দেখানো। এটাও আবার তাঁদের মৌলিক দর্শনের বৈপরীত। মোদ্দাকথা তাঁদের কথা ও কাজে সাংঘর্ষিকতা অতিমাত্রায়। শুরুতেই চাকুরী দেয়ার কথা বলে কর্মী সংগ্রহ করার সুযোগ খুবই কম।
আমি আগেও বলেছি, বাংলাদেশে ফেসবুক ও ব্লগ দিয়ে কোন বিপ্লব হবেনা কিন্তু এদের মুখোশ খোলে দিতে এই দুটি সামাজিক মাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছে।
হে তরুন ভাই ও বোনেরা, আপনারা রাজনীতি করবেন না এতে আমার কিছু বলার নেই। কিন্তু যখন করতে চান তখন আপনাকে আহ্বানকারী সংগঠনের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের পাশাপাশি সবকিছু খুটিয়ে দেখেই যোগ দিবেন আশাকরি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।