খবরে শুনলাম যে জাপানে ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্রের কাছে থাকা একটি জাহাজে সাধারণ গামা বিকিরণের চেয়ে তিন গুণ বিকিরণ পাওয়া গেছে। সাভাবিকভাবেই এই বিকিরণ এর উপস্তিতি কম বেশি অনেক পণ্যের মধ্যেই পাওয়া যাওয়া উচিৎ।
ইলেকট্রনিক্স অনেক পণ্য ডিজিটাল ক্যমেরা, ল্যপটপ, টিভি, মেমরি চিপ ইত্যাদি কেনার সময় এদেশের জনসাধারণের অনেকেই খোজ করেন জাপানি পণ্য যা অনেক খোজ করলে পাওয়া যায়। সাধারণত চাইনিজ পণ্যেই বাজার সয়লাব। তবে মালয়শিয়ান, তাইওয়ান এর পণ্য পাওয়া গেলে তা চাইনিজ পণ্যের চেয়ে বেশি সমাদৃত হয়।
ইলেকট্রনিক্স ছাড়াও অন্যান্য পণ্যের ক্ষেত্রেও যেমন গাড়ি, মেশিন ইত্যাদিতে জাপানি পণ্যের সমাদর।
জাপানি পণ্যের এই সমাদরের অবশ্যই কারণ আছে। অনেক পণ্যের গুণগত মানেই জাপানিদের ধার কাছেও কেউ নাই। জাপানিদের এই সুনাম অনেকদিনেরও। ওদের টয়েটা, হিনো তো দেশের প্রায় ৮০% মটরযান।
তবে অমার মনে হয় আর এক বছরের মধ্যেই অরিজিনাল জাপানি পণ্য দেশে সহজলভ্য হয়ে যাবে। কারণ এখানে কমিশন এর উপর কিছু হয় না। দুই টাকা লাভ করার জন্য হলেও শিশু খাদ্যে, ঔশুধে ভেজাল মেশানো হয়। মেয়াদোত্তীর্ণ অনেক বিদেশী বিস্কুটই দেশে আসে এবং বিদেশী বিস্কুট হবার জন্য সহজেই বিক্রি হয়ে যায়। একই ভাবে Radioactive অনেক পণ্যই দেশে আসতে পারে কারণ এখানে সাধারণ জাপানি পণ্যের ভাল কদর।
অনেক অসাধু ব্যবসায়ী এই পণ্য গুলো আমদানি করবে এবং চড়া মুনাফায় বিক্রি করবে। এদেশে আমদানি পণ্যে বিকিরণের মাত্রা কত এটা কেই বা দেখবে ? কেউ কিছু বললে টাকা তো আছেই - টাকায় কি না হয়।
কিন্তু সাধারণ জনগনকে সতর্ক থাকা ছাড়া তো কিছু করার দেখি না। বিকিরণ তো দেখা যায় না, এর কোন বর্ণ গন্ধ নাই। যতদূর জানি Geiger-Müller counter দিয়ে এটা মাপে।
আমাদের দুর্নীতিগ্রস্ত সমাজে তাই বেশি আশার আলো দেখি না। মনে হয় না এই ব্যপারে কেউ পদক্ষেপ নেবে। তবে বিকিরণের মাত্রা বেশি হলে ক্যান্সার, বিকালঙ্গ সন্তান জন্মদান ইত্যদি নানা ভয়াবহ সমস্য দেখা দেয়ার সম্ভাবনা থাকে।
এ লেখায় আমার নিজের আশঙ্কার কথা জানালাম। অনেকগুলোই আমার ধারণা মাত্র।
তবে কোনটাই অবাস্তব কল্পনা নয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।