আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মেজর জিয়া থেকে মৃত্যুঞ্জয়ী জিয়া

ইতিহাসের পেছনে ছুটি তার ভেতরটা দেখবার আশায়

জিয়ার গৌরবগাঁথাকে হেয় করার জন্য কচক্রীমহল ওঠে পড়ে লেগেছে । জাতিকে চরম একটি অনিশ্চয়তা থেকে যে লোকটি মুক্তির আলোতে আনে তাকে ভিলেন বানিয়ে তারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার পায়তারা করছে । আজ হতে ঊনত্রিশ বছর আগে এক গভীর ষড়যন্ত্রের নির্মম শিকার হয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে হয় জিয়াকে। ঘৃণ্য ঘাতকেরা স্টেনগানের একঝাঁক বুলেটে চিরদিনের জন্য স্তব্ধ করে দেয় এক মহান রাষ্ট্রনায়ককে, এক নিয়তি নির্মাতা যুগস্রষ্টাকে। জাতির ভাগ্যে লেপে দেয় এক গভীর কালিমা, যা কখনও অপসৃত হওয়ার নয়।

দুর্ভাগ্য বাংলাদেশের। জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। একাত্তরের মার্চের সেই অগ্নিঝরা দিনগুলোতে সবচেয়ে কঠিন সময় যারা পার করেছে, চরম মানসিক বিপর্যয়ে ভুগেছে, যন্ত্রণাকাতর থেকেছে, তারা নিশ্চিতভাবে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বাঙালি ইউনিটগুলোর বাঙালি সেনা সদস্যরা, সেনা কর্মকর্তা ও সৈনিকেরা। এ এক দুঃসহ দুঃসময়, এক কঠিন অগ্নিপরীক্ষা। তারা প্রত্যক্ষ করছে স্বাধীনতার চেতনায় উত্তাল গোটা দেশ।

অন্যায়ের বিরুদ্ধে অত্যাচারে ফেটে পড়ছে সব মানুষ। টান টান উত্তেজনা। চরম পরিস্থিতি। শুধু মিছিল আর মিছিল চতুর্দিকে। সরকারের হুকুম কেউ মানছে না।

কারফিউ ব্রেক হচ্ছে অহরহ যত্রতত্র। সেনাছাউনির পাঞ্জাব ইউনিটগুলো এরই মধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়েছে নিরস্ত্র সাধারণ মানুষের ওপরে। কঠিন শক্ত হাতে পূর্ব পাকিস্তান শাসন করতে প্রব্লেম চাইল্ড বাঙালিদের চরম শাস্তি দিতে পাকিস্তান জান্তা সরকার অবলম্বন করেছে পোড়া মাটির (scorch earth) জ্বালাও পোড়াও হত্যা কর নীতি। বাঙালি সেনা অফিসারেরা, আন্ডার কমান্ড বাঙালি সৈনিকেরা কী করবে? কী করবে পঁয়ষট্টির পাক-ভারত যুদ্ধের অসীম সাহসিকতার খ্যাতিসমৃদ্ধ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের বাঙালি ইউনিটগুলো, যারা বেশ কয়েকটা ক্যান্টনমেন্টে অবস্থান করছিল? তারা কি শুধু চেয়ে চেয়ে দেখবে তাদের ভাইয়ের মৃত্যু, মায়ের অপমান, বোনের অসম্মান—শুধু নিশ্চুপ হয়ে হাত-পা গুটিয়ে থাকবে? যখন রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে তাদের প্রিয় মাতৃভূমির রাজপথ আর প্রান্তর? অত্যন্ত কড়া নজরদারি তাদের ওপরে। ভীষণ ঝুঁকিতে তাদের সবার জীবন।

তাদের মানসিক প্রতিক্রিয়া আঁচ করে তাদের নিরস্ত্র করার জন্য ছাউনির পাঞ্জাব ইউনিটগুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং তা এক্ষুনি, এ মুহূর্তে। কঠিন সিদ্ধান্ত, জীবনমরণের সিদ্ধান্ত। ঃড় নব ড়ত্ হড়ঃ ঃড় নব । হয় বীরের মতো যুদ্ধ, না হয় কাপুরুষের মতো সারেন্ডার।

চট্টগ্রাম সেনা ছাউনির ৮ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড মেজর জিয়া যুদ্ধই বেছে নিলেন। গোটা ইউনিটকে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়লেন। কালুরঘাটের বেতার স্টেশন থেকে স্বাধীনতার ডাক দিলেন। ইথারে ভেসে এল, আমি মেজর জিয়া বলছি। আমি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি।

মার খাওয়া মানুষ, বিভ্রান্ত জনতা, দিশাহারা জাতি সংবিত্ ফিরে পেল। তারা উত্তর আকাশের ধ্রুবতারাকে ঠিক চিনে নিল। তারা হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার বাঁশির আওয়াজ শুনল-যুদ্ধের আওয়াজ। শুনল রণডঙ্কা, রণ দামামা। মন্ত্রমুগ্ধের মতো গোটা জাতি অস্ত্রধারী বাহিনী, ছাত্র-শ্রমিক-কৃষক-পেশাজীবী মানুষ, পুরুষ-নারী, আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা অস্ত্রহাতে যুদ্ধে নেমে পড়ল।

এর পরের ইতিহাস রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসের কঠিন ইতিহাস। শত সহস্র গেরিলা অভিযান, রেইড, এ্যাম্বুশ শত্রুঘাঁটিতে অতর্কিত আক্রমণ, সম্মুখযুদ্ধ, এটাক, কাউন্টার এটাক, ইস্পাত কঠিন মনোবল আর মৃত্যুপণ লড়াইয়ের ইতিহাস। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রক্তের আখরে লেখা এক অনবদ্য গৌরবগাথা এক বীর জাতির বীরত্ব কাহিনী। জাতির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অর্জনের এক অমর আখ্যান। এ মুক্তিযুদ্ধ আমাদের ব্রাকেটবন্দি করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা যুদ্ধের সঙ্গে, ব্রাকেট বন্দি করেছে মাও সেতুং পরিচালিত গণচীনের মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে হো চি মিনের কঠিন ভিয়েতনাম যুদ্ধের সঙ্গে। আমার গর্ব, আমার জাতীয় সেনাবাহিনীর জন্ম মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগৃহে। এর উত্থান ও বিকাশ মুক্তিযুদ্ধের রক্তাক্ত প্রান্তরে। এ সেনাবাহিনীই গোটা মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছে। ফোর্স সংগঠিত করেছে।

অস্ত্র সংগ্রহ করেছে, রসদ সম্ভার জুগিয়েছে। অভিযান পরিচালনা করেছে। শত্রুকে পরাজিত করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছে। দেশকে স্বাধীন করেছে। মেজর জিয়া ও তার পরিচালিত জেড ফোর্স গোটা মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের ইতিহাসের এক বড় অধ্যায়।

স্বাধীনতার অব্যবহিত পরে সেনাবাহিনী পুনর্গঠনের প্রাক্কালে আমরা জিয়াকে অবমূল্যায়িত হতে দেখেছি। তদানীন্তন সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার জানি না কোন রহস্যজনক কারণে তাকে যথাযথ মূল্যায়ন করতে ত্রুটি করে। দুর্ভাগ্যের বিষয়, পরবর্তীকালে আমরা দেখেছি জাতির ভাগ্যাকাশে দুর্যোগ, রাষ্ট্রব্যবস্থায় অনেক সঙ্কট। ঘটনার ক্রমবিবর্তনে আমরা প্রত্যক্ষ করেছি জাতির অনেক অস্থিরতা আর অনিশ্চয়তায় সংঘটিত পঁচাত্তরের ৭ নভেম্বরের সিপাহি জনতার বিপ্লব। আর এ বিপ্লবের মধ্য দিয়ে তারই উত্তাল তরঙ্গে এক মহাশূন্যতায় জেনারেল জিয়া উঠে আসেন রাষ্ট্রীয় শীর্ষ নেতৃত্বের পাদ-প্রদীপে।

সৈনিক জিয়া মহান। রাষ্ট্রনায়ক জিয়া মহত্তর। তিনি গণতন্ত্রের প্রাণ-পুরুষ। আধুনিক বাংলাদেশের নির্মাতা। তার ছিল সুদূরপ্রসারী দৃষ্টি।

তিনি ছিলেন এক ভিশনারি, এক স্বপ্নদ্রষ্টা। কবি কাজী নজরুল ইসলামকে তিনি জাতীয় কবির মর্যাদা দিয়েছিলেন। নজরুলও সৈনিক ছিলেন। নজরুল লিখেছেন, চির উন্নত মম শির, শির নেহারি আমারি, নত শির ঐ শিখর হিমাদ্রির। জিয়া বিশ্বাস করতেন, জাতীয় কবির এ মহান অভিব্যক্তি বাঙালি জাতির সব মানুষের জন্য, গোটা বাংলাদেশের জন্য।

নিজের দুই শক্ত পায়ের ওপর দাঁড়িয়ে বিশ্ব সভায় হিমালয়ের উচ্চতায় দৃশ্যমান থাকবে বাংলাদেশের শির। জিয়া জাতিকে একটি সত্যিকার গণতন্ত্রের শক্ত ভিত্তির উপরে দাঁড় করাতে চেয়েছিলেন। আনতে চেয়েছিলেন অর্থনৈতিক মুক্তি। দিতে চেয়েছিলেন জাতিকে সম্মান আর গৌরব, সেই মুক্তিযুদ্ধের ব্রাকেটবন্দি দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্র, গণচীন আর ভিয়েতনামের মতো। জিয়ার রাষ্ট্র ক্ষমতার সময়কাল অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত—মাত্র পাঁচ বছর বা তার একটু বেশি।

এ স্বল্প সময়ে তিনি যুগান্তকারী সব কাজ করে গেছেন। তার সঙ্গে আমি ভারতবর্ষের ইতিহাসের সেই পাঠান সম্রাট শের শাহের অনেক মিল খুঁজে পাই। শের শাহের শাসনকাল ছিল এমনি অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত। কিন্তু জনকল্যাণে সাধারণ মানুষের মঙ্গলে তার কীর্তিগুলো ছিল অভিনব। ছিল অত্যন্ত সুদূরপ্রসারী প্রভাবের, যা আজও তার দূরদর্শিতার স্বাক্ষর বহন করে চলেছে।

জিয়া জাতীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতিটি বিষয়ে একটা বড় রকমের ঝাঁকুনি দিয়ে গেছেন। রাজনীতি, অর্থনীতি, কৃষি শিক্ষা, সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও নারী-শিশু সবকিছুতেই একটা বিপ্লব ঘটিয়ে গেছেন। গোটা জাতিকে তিনি একাত্তরের মতো একতাবদ্ধ করতে পেরেছিলেন। একটি দৃঢ় জাতীয় সংহতি সৃষ্টি করতে পেরেছিলেন। পরিচয় সংকটে আক্রান্ত হীনম্মন্যতায় ভোগা জাতি।

তাকে তার সত্যিকারের পরিচয় তার আপন স্বাধীন স্বকীয়তার পরিচয় তিনি দিতে পেরেছিলেন। আর সে পরিচিতি বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের সংমিশ্রণে হাজার বছরের যে রসায়ন তারই আবিষ্কার তিনি ঘটিয়েছিলেন। নাম দিয়েছিলেন বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ। এই জাতীয়তাবাদের ওপরই প্রতিষ্ঠিত তার মন, মনন ও চেতনা—তার রাজনৈতিক দর্শন। তাই তার প্রিয় গান যা তিনি আপন মনে গুণ গুণ করে গাইতেন তা হলো : জীবন বাংলাদেশ আমার মরণ বাংলাদেশ।

জিয়ার এক বড় অবদান আমার কাছে মনে হয়েছে তার রচিত স্বাধীন পররাষ্ট্র নীতি। নতজানু নয়, মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে গোটা বিশ্বকে চিত্কার করে বলা আমি যুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছি। শৃঙ্খল ভেঙেছি। আমি এক স্বাধীন জাতি। জিয়ার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, তার দূরদৃষ্টি, তার বৈপ্লবিক চেতনা, বিশ্বাস ও স্বাধীনচেতা দৃঢ় চরিত্র আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

মহান গণচীনসহ অনেক বড় বড় দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বের হাত প্রসারিত করে। সহযোগিতায় এগিয়ে আসে। ১৯৮০ সালের জুলাই মাসে জেনারেল জিয়া গণচীন সফর করেন। আমি তখন পিকিংয়ে মাত্র কিছুদিন আগে বাংলাদেশ দূতাবাসে সামরিক এটাশে হিসেবে যোগদান করেছি। জেনারেল জিয়াকে চীনা সরকার, চীনা জনগণ অভূতপূর্ব সংবর্ধনা দেয়।

বিপুলভাবে সম্মানিত করে। তিনি যখন যেখানে গেছেন, সীমাহীন মানুষের ভিড়। রাস্তার দুই ধারে ফুল হাতে কিশোর কিশোরী, যুবক-যুবতী, বৃদ্ধ ও বৃদ্ধা মংচিয়ালা মংচিয়ালা (বাংলাদেশ বাংলাদেশ) বলে চিত্কার করছে আর হাত নাড়ছে। সে এক গর্বভরা বিচিত্র অনুভূতি আমার। মাও সেতুংয়ের তিরোধানের পর তখন চীনের নেতৃত্বে প্রিমিয়ার হুয়া কুয়া ফেং।

আমার সুযোগ হয়েছিল শীর্ষ বৈঠকে উপস্থিত থাকার। আমি প্রিমিয়ার হুয়া কুয়া ফেংকে উচ্ছ্বসিতভাবে জেনারেল জিয়ার প্রশংসা করতে শুনেছি। বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিশ্চয়তায় অর্থনৈতিক উন্নয়নে চীনের পূর্ণ সহযোগিতার দৃঢ় আশ্বাস তিনি ব্যক্ত করেন। আমার মনে পড়ে, একটি হৃদয়গ্রাহী সফল সফর শেষে পিকিং পুরনো বিমানবন্দরে (নতুন বিমানবন্দর তখনও নির্মিত হয়নি) বাংলাদেশ বিমানের এয়ারক্র্যাফটে বিদায়ী রাষ্ট্রপতি যখন আরোহণ করতে যাচ্ছেন আমি তাঁকে একটি চৌকস স্যালুট করি। তিনি হাত বাড়ালেন হ্যান্ডশেকের জন্য।

আমার হাতে শক্ত করে চাপ দিলেন। পিকিং বিমানবন্দরের টারমাকে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রপতির সেই করমর্দনের স্পর্শ আমি আজও অনুভব করি। তিনি আমাকে বলছিলেন— Mahbub, I am leaving, you will be here. China is our friend. It is a great country. Work hard, develop the relations. Promote the friendship. Do remember this is the country to which we look forward. This is the country in which we fully trust. কে জানত জেনারেল জিয়ার সঙ্গে সেই হবে আমার শেষ সাক্ষাত্। তার বিদায়বেলার কথাগুলো এখনও আমি শুনতে পাই। আমার কানে অনুরণিত হয়।

তখনও আমি পিকিংয়ে। ১৯৮১ সালের ৩০ মে’র প্রদোষে আমার বাসার টেলিফোনটি অনবরত বেজে চলেছে। এত ভোরে কখনও কেউ কল দেয় না। বুকটা ধড়াস করে উঠল। ঢাকা থেকে হবে হয়তো কোনো দুঃসংবাদ।

রিসিভার তুলতেই চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ফরেন লিয়াজোঁ অফিসার কর্নেল সু চুইন ফিংয়ের গলা। আপনি কি জানেন, আপনাদের রাষ্ট্রপতি জেনারেল জিয়াকে আজ গভীর রাতে চট্টগ্রামে হত্যা করা হয়েছে? কারা করেছে? কেন করেছে? তিনি আমাদের একজন খাঁটি বন্ধু ছিলেন। আমি স্তম্ভিত। আমি বাকরুদ্ধ। আমি বিদ্যুত্স্পৃষ্ট।

কর্নেল সু ওদিক থেকে বলে চলেছেন, ব্রিগেডিয়ার আপনি কি শুনতে পাচ্ছেন? ব্রিগেডিয়ার, আপনি কি আমাকে শুনছেন? আমি নিশ্চুপ। আমি হতবাক। আমি নিথর। রবীন্দ্রনাথের কবিতার দুটি লাইন আজ জিয়া স্মরণে তাকে নিবেদন করছি। উদয়ের পথে শুনি কার বাণী, ভয় নাই ওরে ভয় নাই।

নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান, ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই। জিয়া মৃত্যুঞ্জয়ী, জিয়া অমর। জিয়া অক্ষয়। জিয়া বাংলার আকাশে জ্বল জ্বল করা চির ভাস্বর এক নক্ষত্র। সংগৃহীত : লে. জেনারেল মাহবুবুর রহমান (অব.)


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.