ভূমিকম্প ও সুনামিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৩০ হাজার কোটি ডলার বলে প্রাথমিকভাবে হিসাব করেছে জাপান। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণের হিসেবে এটাই সর্বোচ্চ বলে মনে করা হচ্ছে।
গত ১১ মার্চ ৯ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প এবং এর ফলে সৃষ্ট সুনামিতে লণ্ডভণ্ড হয় জাপানের উত্তর-পূর্বাঞ্চল। পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সমস্যা দেখা দেওয়ায় ঝুঁকি ও ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়ে।
সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে বুধবার জাপানি সংবাদপত্র নিকি-তে ছাপা এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু বস্তুগত ক্ষয়ক্ষতির একটি হিসাব করা হয়েছে।
তাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৫০০ কোটি ডলার থেকে ৩০ হাজার ৮০০ কোটি ডলার।
হিসাবে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, কলকারখানা এবং অন্যান্য অবকাঠামোগত ক্ষতি হিসাব করা হয়েছে।
এ হিসাবই আগের ভয়াবহ দুর্যোগের সব ক্ষতিকে ছাপিয়ে গেছে। ১৯৯৫ সালে জাপানেরই কোবে শহরে সংঘটিত ভূমিকম্পে মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছিলো ১০ হাজার কোটি ডলার।
বর্তমান হিসাবের সর্বোচ্চ অঙ্কটি জাপানের জিডিপির প্রায় ৬ শতাংশের সমান।
জাপান বর্তমানে পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ।
২০০৪ সালে প্রলয়ঙ্করী সুনামিতে ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক মূল্য ছিলো ১ হাজার কোটি ডলার।
২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রায় ভূমিকম্পের পর সৃষ্ট সুনামিতে অন্তত ১৪টি দেশের ২ লাখ ৩০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।
জাপানে এবারের ভূমিকম্প ও সুনামিতে এ পর্যন্ত প্রায় ২২ হাজার মানুষ নিহত বা নিখোঁজ। ঘর হারিয়েছে ৩ লাখ ৫০ হাজার মানুষ।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই বিপর্যয়কে জাপানের সবচেয়ে বড় বিপর্যয় বলে ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।