জন্মের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শিশুটি তার বাবাকে হারাল। সারা জীবনের জন্য বঞ্চিত হলো সে বাবার স্নেহ থেকে। সংঘাতের রাজনীতির শিকার হয়ে পিতৃহীন হলো শিশুটি।
যে শিশুটির কথা বলা হচ্ছে, তার বাবা নড়াইল সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমিরুল ইসলাম। গত রোববার শহরের মুচিপোল এলাকায় সন্ত্রাসীরা আমিরুলকে কুপিয়ে হত্যা করে।
এদিকে আমিরুল হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গতকাল সোমবার সদর থানায় হত্যা মামলা করা হয়েছে। আমিরুলের স্ত্রী খাদিজা খানম বাদী হয়ে পৌর যুবলীগের সম্পাদক সরদার আলম ওরফে কাহার আলমকে প্রধান আসামি করে ১৮ জনের বিরুদ্ধে এই মামলা করেন। আমিরুল হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিন দিনের কর্মসূচি পালন করছে ছাত্রলীগ।
গতকাল সোমবার স্থানীয় একটি ক্লিনিকে আমিরুলের স্ত্রী খাদিজা খানমের সঙ্গে এই প্রতিবেদকের কথা হয়। এ নবজাতককে কোলে নিয়ে অপলক দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে ছিলেন তিনি।
আবেগতাড়িত কণ্ঠে খাদিজা বলেন, ‘পত্রিকায় লিখে আর কী হবে। যে চলে গেছে, তাকে তো আর ফিরে পাব না। ’ তাঁর প্রশ্ন, ‘এই অবুঝ শিশুটির এখন কী হবে?’
তিন বছর আগে নিজেদের পছন্দে বিয়ে করেছিলেন আমিরুল ও খাদিজা। খাদিজা বলেন, ‘বিয়ের পর তাকে অনেকবার রাজনীতি ছেড়ে দিতে বলেছিলাম। সে রাজনীতি ছেড়ে দিতে রাজিও হয়েছিল।
কিন্তু তার সহকর্মীরা তাকে রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে দেয়নি। রাজনীতিই আমার জীবনে কাল হয়ে দেখা দিল। ’
খাদিজার মা সাফিয়া খাতুন বলেন, ছেলের জন্য স্বর্ণের চেইন আনার কথা বলে আমিরুল হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে গেল। কিন্তু আর ফিরে আসতে পারল না সে।
হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে জেলা ছাত্রলীগের তিন দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল সংগঠনের নেতা-কর্মীরা কালো ব্যাজ ধারণ করেন।
আজ মঙ্গলবার শহরে শোকযাত্রা ও আদালত চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে। কাল বুধবার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি পেশ করা হবে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা প্রথম আলোকে জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারে জোর তৎপরতা চলছে। শহরে চাপা উত্তেজনা থাকায় সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ চত্বরসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আমরা কবে পাব সেই সুদিন রাজনীতি হবে মানুষের জন্য,দেশের জন্য,পৃথিবীর জন্য?? আওয়ামী লীগ , বিএনপি , জামাত ,জাতীয় পাটি কাউকে লক্ষ্য করে লিখছি না ,শুধু জানতে চাই ,দেখতে চাই রাজনীতিক গুন গত পরিবতন ।
আশা কি করতে পারি আমরা রাজনীতিবিদ দের কাছে????
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।