`গরিব হওয়াই ছিল আমাদের অপরাধ। দীর্ঘদিন নির্যাতনের পর এবার আমার মেয়ে ময়নাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল তার স্বামী টাকাওয়ালা সাজিদ। কার কাছে এ নালিশ জানাব'। গতকাল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এভাবেই আর্তনাদ করছিলেন ময়নার বাবা তসলিমউদ্দিন।
হাসপাতাল ও পুলিশ সুত্র জানায়,গতকাল ভোর ৫টার দিকে ৩১/এ দ্বীননাথ সেন রোডের বাসায় ময়না আক্তার ২৫ ও তার স্বামী হাজী মো: সাজিদ আলীর (৫৮) সংগে জগড়া হয়।
এক পর্যায়ে সাজিদ ময়নাকে বেদম মারধর করে গলায় ছুরি বসিয়ে দেন। চিৎকারে আশপাশের লোকজনএসে সাজিদ আলীকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ গুরুতর আহতবস্তিয় ময়নাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
গেন্ডারিয়াথানার উপপরিদর্শক সারোয়ার জাহান জানান,সাজিদ আলী তার স্ত্রীকে মারধর করার কথা স্বীকার করেছেন। তার স্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে সুইডেন প্রবাসী।
এ কারণে ২০০৮ সালের ১৩ ই আগষ্ট তিনি ময়নাকে বিয়ে করেন। ঐ ঘরের বড় মেয়েকে দুই বছর আগে বিয়ে ও দিয়েছেন সাজিদ। গত্যকাল সন্ধ্যা ৭ টার দিকে এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ময়না আক্তারের ছোট ভাই রাজু আহমেদ জানান,তার চি বিক্রি করে সংসার চালান। তিন বছর আগে বিভিন্ন লোক লাগিয়ে তার বোন ময়নাকে বিয়ে করে সাজিদ।
পরান ঢাকায় সিলভার তৈরীর কারকানা আছে সাজিদের। তবে বিয়ের কয়েক মাস যেতে না যেতেই তার উপর অমাণসিক নির্যাতন শুরু করেন। আমাদের কারোরট সাথে কথা বললেই তাকে অমানবিক নির্যাতন করতেন সাজিদ। ময়না কন্ঠনালী কেটে গেছে বলে তাদের জানিয়েছেন ডাক্তাররা। জানা যায়,ময়নার বাবার গ্রামের বাড়ি শেরপুরের পেকুরিয়া থানায় চটপাড়া এলাকায়।
তিন বোন ও এক ভাই এর মদ্ধ্যে ময়না সবার বড়।
আসলে আজকের এই প্রতিবেদনটি পড়ে বুঝা যায়,আমরা কতটুকু সচেতন আর কতটুকু প্রতিবাদি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।