জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্প ও ভয়াবহ সুনামির আট দিন পর গতকাল শনিবার বিধ্বস্ত একটি ভবনের নিচ থেকে এক যুবককে জীবিত উদ্ধার করেছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এদিকে প্রাণহানি ও নিখোঁজ মানুষের সংখ্যা ১৮ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের আট দিন পর গতকাল জাপানের জাতীয় পুলিশ সংস্থার তৈরি করা একটি তালিকায় এ সংখ্যা নিশ্চিত করা হয়।
সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র জানান, মিয়াগি জেলার কেসেনুমা শহরের একটি বিধ্বস্ত ভবনের নিচ থেকে কাতসুহারু মোরিয়া নামের এক যুবককে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর শরীরে আঘাতের তেমন কোনো চিহ্ন নেই।
তবে তিনি এতটাই ভেঙে পড়েছেন যে কথাই বলতে পারছেন না। পরে তাঁকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মৃতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভূমিকম্প ও সুনামির আঘাতে জাপানের উত্তরাঞ্চলীয় হোনশু দ্বীপের প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূল বরাবর বিশাল আবাসিক এলাকা নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। জাতীয় পুলিশ সংস্থা জানায়, ১১ মার্চের ভূমিকম্প ও সুনামির আঘাতে গতকাল পর্যন্ত সরকারি হিসাবে সাত হাজার ১৯৭ জনের মৃত্যু এবং ১০ হাজার ৯০৫ জনের নিখোঁজ হওয়ার খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।
এদিকে উদ্ধার-তৎপরতা এখনো অব্যাহত রয়েছে। তবে এখন আর কাউকে জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা তেমন নেই। তা ছাড়া বিপর্যস্ত উত্তর-পূর্ব উপকূলজুড়ে প্রচণ্ড ঠান্ডা ও তুষারপাতে সেই সম্ভাবনা আরও ক্ষীণ হয়ে আসছে। সেখানে ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে জীবিত কাউকে উদ্ধারের আশা নেই বললেই চলে।
তা ছাড়া নিখোঁজ লোকজনের যে সংখ্যা পুলিশ জানিয়েছে, তাতে উপকূলের সুনামি-বিধ্বস্ত এলাকার অনেকেরই নাম নেই।
মিয়াগির ইশিনোমাকি শহরের মেয়র গত বুধবার জানান, সেখানে এখনো প্রায় ১০ হাজার মানুষের হদিস মিলছে না।
জাপানের পরমাণু-সংকটের সম্ভবত ইতিবাচক অগ্রগতি হচ্ছে। ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটি চুল্লিতে গতকালের মধ্যে বিদ্যুৎসংযোগ দেওয়ার কথা ছিল। বিদ্যুৎসংযোগ দেওয়া সম্ভব হলে পাম্পের মাধ্যমে পানি দিয়ে চুল্লি ঠান্ডা করা সম্ভব হতে পারে। এএফপি, রয়টার্স।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।