এ লেখাটি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের বিশ্বকাপের পারফরমেন্স নিয়ে লেখা নয়। বরং এ লেখাটি লেখা বাংলাদেশ দলের দর্শকদের অপ্রত্যাশিত প্রত্যাশাকে নিয়ে। কোন একটি কারণে বাংলাদেশ দলের ছোট ছোট অর্জনগুলোকে বেশী করে দেখে আর জনৈক সাংবাদিকদের অতি প্রশংসায় মুখরিত লেখাগুলো পড়ে হয়ত আমাদের প্রত্যাশাগুলো অনেক বেশী বেড়ে যায়। আর তখনই হয়ত আমরা ভাবতে শুরু করি, বাংলাদেশ এবার বুঝি দেখিয়ে দেবে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে আমরা এখনো ক্রিকেটে বিশ্বমানের দলগুলোর চেয়ে অনেক অনেক পিছিয়ে আছি - আগেও ছিলাম, এখনো আছি।
বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা যে পরিমান সুযোগ সুবিধা আর প্রচার পেয়েছে গত দশ পনেরো বছরে তা চোখে পড়ার মতন। তারপরও বলতে গেলে অবস্থার কোন পরিবর্তন হচ্ছে না। কিন্তু আমরা দশর্করা চোখ ছল ছল করে বসে থাকি ম্যাজিক দেখার জন্য। ফলে যা হবার তাই হয়। আমরা আশা বঞ্চিত হয়ে হা হুতাশ করে থাকি।
পত্রপত্রিকায় এই সেই লেখালেখি হয়। 'বিকেল বেলায় বন্ধুদের সাথে খেলতে বের হয়েছি' মার্কা দেশের জাতীয় দলের খেলায়াড়রা কলাম লেখে, টিভিতে এসে গান করে আর নতুন করে পাবলিকদেরকে স্বপ্ন দেখায়। আর আমরাও স্বপ্ন দেখতে থাকি।
প্রশ্ন জাগে, বাংলাদেশ দলের কয়জন খেলোয়াড় গত সাত আট বছর ধরে ফর্ম বজায় রেখে খেলতে পারছে? আমরা যে শ্রীলংকার উদাহরণ টেনে আনি, আমরা যে ১৯৯৬ সালের কথা টেনে আনি, সেই দলের শ্রীলংকার খেলোয়াড়দের সবাই ছিলেন দীর্ঘ সময় ফর্ম ধরে জাতীয় দলের সাথে খেলে আসা (গুরুসিং, মহানামা, ডি সিলভা, জয়সুরিয়া, রানাতুঙ্গা, তিলেকরত্না)। আমাদের বাংলাদেশে সেই দল এখনো তৈরি হয়নি।
বাংলাদেশের কয়জন খেলোয়াড় ইংলিশ কাউন্টি বা ভারতের আইপি্এলে খেলে বা খেলার যোগ্যতা রাখে? এ সংখ্যাগুলো যদি না বাড়ে, তাহলে দশর্করা কি করে আশা করে যে বাংলাদেশ বিশ্বকাপে এসে একদম দেখিয়ে দিবে। বিশ্বকাপে অঘটন ঘটেই। অঘটন আর ভালো পারফরমেন্স এক না। আমাদের দশর্কদেরকে বুঝতে হবে অঘটন আর ভালো পারফরমেন্স এক না। আর তাই বেশী প্রত্যাশা করলে নিজ ঝুকিতে করবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।